প্রতিদিন মাত্র দুটি খেজুরে মিলবে নানা উপকারীতা

কর্তৃক নাহিদ পারভীন
0 মন্তব্য 934 ভিউজ

সাধারণত যে কোনো ফলের চেয়ে খেজুরের পুষ্টিগুণ বেশি। বছরে যতোগুলো দিন আছে, খেজুরে তার চেয়েও বেশি গুন রয়েছে। আপনি শুধু রমজান মাসের জন্য নয় সারা বছর পরিবারের সবার জন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এই ফলটিকে রাখা যেতে পারে। এতে করে আপনার শরীর ও মন দুটাই সুস্থ থাকবে। খেজুরের বিচিও রোগ নিরাময়ে বিশেষ ভূমিকা রাখে। খেজুরর বিচি চূর্ণ করে দাতের মাজন হিসেবে ব্যবহার করলে দাঁত পরিষ্কার হয়। তাছাড়া খেজুর ফুলের পরাগরেণু পুরুষের বন্ধ্যাত্ব দূর করে শুক্রাণু বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

প্রতি ১০০ গ্রাম পরিস্কার ও তাজা খেজুরে সাধারণত প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি রয়েছে। এছাড়া রয়েছে ৭৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ২.৫ গ্রাম প্রোটিন এবং ০.৪ গ্রাম ফ্যাট। খেজুরে স্বল্প পরিমাণে পানি থাকে যা কিনা শুকানো অবস্থায় তেমন প্রভাব ফেলে না।সাধারণত পাকা খেজুরে প্রায় ৮০শতাংশ চিনিজাতীয় উপাদান রয়েছে। বাকী অংশে রয়েছে খনিজ সমৃদ্ধ বোরন, কোবাল্ট, ম্যাঙ্গানিজ, সেলেনিয়াম ফ্লুরিন, ম্যাগনেসিয়াম, এবং জিঙ্কের ন্যায় গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উপাদান। চলুন দেখে নেই প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় মাত্র দুটি খেজুরে কি কি উপকারীতা পাওয়া যাবেঃ

হজমপ্রক্রিয়া : সুষ্ঠু হজমের জন্য আঁশ যুক্ত খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেহের বর্জ্য তৈরি ও তা বের করে দেওয়ার প্রক্রিয়া সহজ করে দেয় খাবারের আঁশ। খেজুর একটি আশ যুক্ত খাবার যা সহজেই হজম হয়।

দেহের শক্তি বৃদ্ধি : খেজুর অনেক মিষ্টি হওয়ার পরও এটা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়ায় না। এর আঁশ হজমপ্রক্রিয়াকে ধীরগতি করে। ফলে রক্তে খুব দ্রুত বেশি পরিমাণে গ্লুকোজের উপস্থিতি দেখা দেয় না। আবার খেজুরের উচ্চমাত্রার ক্যালরি দেহে অনেক শক্তি দেয়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: খেজুর তার শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের মাধ্যমে দেহের দূষিত উপাদান নিষ্ক্রিয় করে তা বের করে দিতে ভূমিকা রাখে। কোষের ময়লা দূর করে।

মস্তিষ্কের জটিলতা : মানুষের বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যায় অনেক গুন। তবে এ বিষয়ে খেজুর জাদুর মতো কাজ করতে পারে। মস্তিষ্কের ‘গ্রে ম্যাটার’ অঞ্চলের যত্ন নেয় খেজুর।

সাদা চিনির বিকল্প : বিশেষজ্ঞদের মতে, খেজুর সাদা চিনির সবচেয়ে ভালো বিকল্প হতে পারে। মিষ্টি খাবারের রেসিপিতে খেজুর সহজেই ব্যবহার করা যায়। খেজুর বিচি ফেলে দিয়ে পরিষ্কার পানির সঙ্গে ব্লেন্ড করলেই পেস্ট তৈরি হবে। এ পেস্ট চিনির বদলে খাবারে ব্যবহার করা যায় সহজেই।

অঙ্গক্ষয় প্রতিরোধেঃ সাধারণত যারা নেশাগ্রস্ত তাদের অঙ্গক্ষয় প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে খেজুর। স্বাস্থ্য ভালো করতে চাইলে বাড়িতে তৈরী ঘিয়ে ভাজা খেজুর ভাতের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে করে মুখের রুচি বৃদ্ধি পাবে দিগুণ এবং খাবারের প্রতি আগ্রহ বাড়াবে।

হার্টের সমস্যা রোধেঃ বিশেষ করে যাদের হার্টের সমস্যা আছে তাদের জন্য খেজুর খুবই উপকারী। খেজুর দুর্বল হার্টকে মজবুত করতে সক্ষম। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেজুরের ব্লেন্ড করা জুস খেলে হার্টের সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তি ভাল সমাধান পাবেন।

বিদ্রঃ খেজুরকে বলা হয় রাজকীয় ফল। শুধু এর অতুলনীয় স্বাদ আর গন্ধের জন্য নয় বরং খেঁজুরের খ্যাতি তার অসাধারণ রোগ নিরাময়ের জন্যও। আপনার সারা দিনের ক্লান্তি দুর করতে প্রতিদিন মাত্র দুটি খেজুরই আপনার জন্য যথেষ্ট।

0 মন্তব্য
0

তুমিও পছন্দ করতে পার

মতামত দিন