সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এই নতুন যুগে, সব শ্রেণি, পেশা ও বয়সের মানুষের মধ্যে ছবি তোলা ও অনলাইনে প্রকাশের প্রবণতা ক্রমেই বাড়ছে।
শুধু ছবি তোলা ও প্রকাশ করাই বিষয় নয়, ছবিটা যেন আরও সুন্দর হয়, প্রাণবন্ত হয় এদিকেও লক্ষ রাখেন সবাই। তাই সবার এই আলোকচিত্রে আরও সুন্দর হয়ে ওঠার প্রবণতার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে তৈরি হয়েছে বেশ কিছু অ্যাপ।
তাই স্মার্টফোনে কয়েকটি অ্যাপ থাকলেই আপনার এই ছবিটি হতে পারে আরও সুন্দর।
পিক্স আর্ট স্টুডিও : অন্যতম সেরা একটি ফটো এডিটর অ্যাপ হল পিক্স আর্ট স্টুডিও। একটি ছবিকে সুন্দরভাবে কাস্টমাইজ করতে যেসব টুলস ও ফিচার থাকা প্রয়োজন তার সবই এতে রয়েছে। প্লে স্টোরে ১০০ মিলিয়নেরও বেশি ডাউনলোড করা হয়েছে অ্যাপটি।
পিক্স আর্ট স্টুডিওতে রয়েছে তিন হাজারেরও বেশি টুলস। অন্যান্য ফিচার হিসেবে রয়েছে ওয়ান টাচ ইফেক্ট, অটো ফিক্সিং, ক্রপ, কোলাজ, ড্র, ফ্রেম, স্টিকার ইত্যাদি। এ ছাড়াও ছবির বিশেষ অংশে ইফেক্ট প্রয়োগ করার জন্য রয়েছে ব্রাশ মোড। রয়েছে এআই ইফেক্ট যার সাহায্যে ছবিকে আরও প্রাণবন্ত করা সম্ভব। লাইভ ইফেক্টের সঙ্গে বিল্ট-ইন ক্যামেরা সমর্থিত। অ্যাপটি https://play.google.com/store/apps/details?id=com.picsart.studio) থেকে বিনা মূল্যে ডাউনলোড করতে পারবেন।
প্রিজমা : ছবিকে নতুনত্ব দেয়ার জন্য সব থেকে ভালো অ্যাপ এটি। যার সাহায্যে আপনার ছবিকে পেইন্টিং, স্কেচের মতো ইফেক্ট দেয়া যায়। এই অ্যাপে অনেক ফিল্টার রয়েছে। প্রিজমা অ্যাপ আইওএস এবং অ্যান্ড্রয়েড দুই অপারেটিং সিস্টেমেই পাওয়া যায়।
স্ন্যাপসিড : স্ন্যাপসিড গুগলের তৈরি একটি অসাধারণ ফটো এডিটর অ্যাপ। প্লে স্টোরে অ্যাপটিও ১০০ মিলিয়ন প্লাস ডাউনলোড হয়েছে।
স্ন্যাপসিডের ২৯টি টুলস ব্যবহার করে ছবিকে আরও বেশি প্রাণবন্ত এবং আকর্ষণীয় করা যায়। স্ন্যাপসিডে রয়েছে খুবই সুন্দর একটি ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস। ফটো ক্রপিং, ফটো ফ্লিপিং, ফটো রোটেটিং, ফটো হিলিংসহ প্রয়োজনীয় সব ফিচারই স্ন্যাপসিডে আছে। গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপটি বিনা মূল্যে ডাউনলোড করা যাবে এবং অ্যাপটির অ্যাড-ফ্রি ইউজার ইন্টারফেস থাকায় আপনাকে বিরক্তিকর অ্যাডের সম্মুখীন হতে হবে না।
এ ছাড়াও অ্যাপটিতে RAW ফর্মেট সমর্থন করে। থাকছে নেটিভ ডার্ক থিম মোড। ছবির বিশেষ অংশে ইফেক্ট প্রয়োগ করার জন্য রয়েছে ব্রাশ মোড।
রেট্রিকা : এই অ্যাপেও ব্যবহারকারীরা ছবিতে অনেক ধরনের ইফেক্ট দিতে পারবেন। এই অ্যাপের সাহায্যে আপনি সরাসরি ছবি তুলতেও পারবেন। অ্যাপের ফিচারের সাহায্যে আপনি ছবিকে আরও ভালো এডিট করতে পাবেন।
ক্যান্ডি ক্যামেরা : এই অ্যাপের মাধ্যমে আপনি ছবিতে ১০০ ইফেক্ট আর ফিল্টার লাগাতে পারবেন। এর ফিল্টারের মধ্যে বিউটিফিকেশনের মতো ইফেক্টও রয়েছে। ফলে আপনার সেলফি আরও ক্লিয়ার আর সুন্দর হয়ে উঠবে।
টেলিপোর্ট ফটো : এই অ্যাপের সব থেকে বিশেষ ফিচার হচ্ছে এর সাহায্যে আপনি নিজের ছবির ব্যাকগ্রাউন্ডও পরিবর্তন করতে পারবেন। এই অ্যাপ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে থাকে। ফলে আপনি ছবির রংও পরিবর্তন করতে পারবেন।
টুলওয়িজ ফটোস : মোবাইলে ফটো এডিট করার জন্য একের ভেতর সব ফটো এডিটিং অ্যাপ বলা চলে টুলওয়িজ ফটোস এ অ্যাপটিকে।
টুলওয়িজ ফটোসে পাওয়া যাবে ২০০+ ফটো এডিটিং টুলস যেগুলোর সাহায্যে একটি ফটোকে খুব সহজেই মনের মতো করে ফুটিয়ে তোলা যাবে। সহজ ইউজার ইন্টারফেস থাকায় টুলওয়িজ ফটোস ব্যবহার করাও তুলনামূলকভাবে সহজ। এডিটরের সাহায্যে ফটোতে নানা ধরনের ফিল্টার দেয়া যায়, ‘Saturation’ অ্যাডজাস্ট করতে পারবে এবং ফটো ‘collage’ তৈরি করা যায় সহজেই। এ ছাড়াও অ্যাপটিতে রয়েছে চমৎকার স্কিন পলিশিং টুলস। ছবিকে আকর্ষণীয় করে তুলতে রয়েছে দারুণ সব ফিল্টার।
ইউক্যাম পারফেক্ট : ইউক্যাম পারফেক্ট অ্যান্ড্রয়েডে সহজে ব্যবহারযোগ্য একটি ফটো এডিটিং অ্যাপ। এর সাহায্যে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ফটোকে ইন্সট্যান্টলি এডিট করা যায়। ইউক্যাম পারফেক্টকে বেস্ট সেলফি এডিটরও বলা হয়ে থাকে। অ্যাপটিতে থাকা বিল্ট-ইন ক্যামেরা ফিচারের সাহায্যে সেলফি তোলার পাশাপাশি ভিডিও সেলফিও তোলা যাবে। এটি খুবই জনপ্রিয় একটি ফটো এডিটিং অ্যাপ।
গুগল প্লে স্টোরে ইউক্যাম পারফেক্টের ১০০ মিলিয়ন প্লাস ডাউনলোড রয়েছে। এই অ্যাপে গ্রুপ সেলফি তোলার ক্ষেত্রে রয়েছে মাল্টিপল ফেস ডিটেকশন ফিচার। ফটো থেকে অবাঞ্ছিত বস্তু অপসারণের জন্য রয়েছে কাটআউট এবং রিমুভাল টুল। ইনস্ট্যান্ট ‘বিউটিফাইয়িং’ সমর্থিত।