বিশেষজ্ঞদের মতে, তিনটি পর্যায় বা ধাপ রয়েছে স্মৃতির সংকেত, মুহূর্ত ধরে রাখা বা সঞ্চয়, আর পুনরুদ্ধার বা মনে করা। এই তিন পর্যায়ের মাধ্যমে আমাদের জীবনে ঘটে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত স্মৃতিপটে ধরে রাখি মস্তিষ্কে।এই সঞ্চয়ের সংকেত পাঠায় মস্তিষ্ক। যাকে দরকারে তাকে আমরা আবার মনে করতে পারি। এটাই পুনরুদ্ধার। কাজের চাপে, বয়সের ভারে কিংবা অতিরিক্ত উদ্বেগে অনেক সময় কোনও কাজ করেই সেটা আমরা ভুলে যাচ্ছি ইদানিং। বা কিছুক্ষণ আগে শোনা কথা মনে করতে পারছি না। যাঁরা এই সমস্যায় ভুগছেন স্মৃতিশক্তি বিলুপ্ত হয়েছে মনে করে ভেঙে পড়বেন না। স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করার কিছু পদ্ধতিও রয়েছে। স্মৃতিশক্তি বাড়াতে নীচের পদ্ধতি অনুসরণ করলে উপকার পেতে পারেন:
১. মন দিয়ে স্মরণ করুন
কোনও কিছু মনে করার আগে, যা শুনেছেন, দেখেছেন, বলেছেন—তা মনে করার চেষ্টা করুন ভালোভাবে। প্রয়োজনে নিজের সমস্ত ইন্দ্রিয়কে সজাগ করুন। এতে ভুলে যাওয়া জিনিস মনে করতে সুবিধে হবে।
২. স্মৃতি ধরা থাক মন্ত্রে
সত্যিই এটি মনে রাখার মন্ত্রগুপ্তি। বিশেষ করে কোনও জায়গা বা ঐতিহাসিক কোনো ঘটনা কিংবা তারিখ মনে রাখার আগে একটা করে নাম দিন। সেই নাম অনুসরণে সেগুলি মনে রাখুন। তা হলেও অনেক জিনিস সহজে মনে রাখতে বা মনে করতে পারবেন।
৩. ছোট ছোট তথ্য মনে রাখুন
একসঙ্গে অনেকটা মনে রাখার বদলে ছোট ছোট করে তথ্য মনে রাখুন। এতে চট করে ভুলবেন না। মনেও থাকবে সহজে।
৪. পর্যাপ্ত ঘুম
প্রতিদিন আট ঘণ্টা ঘুম মাস্ট। নির্দিষ্ট সময়ে শুয়ে নির্দিষ্ট সময়ে উঠলে এবং গাঢ় ঘুম হলে শরীরের পাশাপাশি মনও তরতাজা হয়ে যায়। কারণ, ঘুমের সময় প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সঙ্গে বিশ্রাম নেয় আমাদের মস্তিষ্কও। এই সময় শরীরে আর ব্রেনে নতুন করে অক্সিজেন ঢোকে। তাই টানা ঘুম দিয়ে ওঠার পর দেখবেন, অনেক শক্ত কাজও কেমন সহজে করতে পারছেন। মনে পড়ছে আগের দিনের ভুলে যাওয়া কথাও।
৫. কাজের মাঝে বিশ্রাম
টানা কাজ কিন্তু শরীরের সঙ্গে মনকেও ক্লান্ত করে। তখন স্মৃতিশক্তিও দুর্বল হয়। সহজে কিছু মনে পড়তে চায় না। একঘেয়ে লাগে সবকিছু। তাই কাজের ফাঁকে মিনিট পনেরো একটু উঠুন। ঘুরে নিন। কথা বলুন সহকর্মীদের সঙ্গে। তারপর আবার কাজে বসুন। মন ভালো থাকবে। মগজাস্ত্র হবে ক্ষুরধার।