অনলাইনে আয় নিয়ে যারা ভাবতে শুরু করেছেন শুধু মাত্র তাদের ভাবনা দূর করার জন্য আজকে আমি ধারনা দিবো বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে আয় করার সেরা ৭টি উপায়। প্রায় প্রত্যকটি উপায়ে আপনি সফলতা পেতে পারেন তবে এর জন্য প্রয়োজন অধিক ধৈয্য ও সাধনা।
১। এফিলিয়েট মার্কেটিং-এর মাধ্যমে আয় –
এফিলিয়েট মার্কেটিং মানে হল অন্যের ওয়েবসাইটের কোন পন্যের মার্কেটিং করে পন্য বিক্রি করা। বিক্রিত পণ্যের ওয়েবসাইট পন্য বিক্রির টাকা থেকে কমিশন প্রধান করবে। এর মাধ্যমে যে কেউ প্রতিমাসে হাজার হাজার টাকা আয় করতে পারবে। বিশ্বের অনেক বড় বড় কোম্পানী তাদের পণ্য এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে বিক্রি করে থাকে। অ্যামাজন, ক্লিক ব্যাংক এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট।
২। গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে আয় –
আপনার একটি ওয়েবসাইট অথবা ব্লগের মাধ্যমে গুগল এডসেন্স থেকে আয় করা সম্ভব। গুগল আপনার ওয়েবসাইটে তাদের বিজ্ঞাপন প্রদশর্ণ করবে সেই বিজ্ঞাপনে যদি কেউ ক্লিক করে তাহলে গুগল এর জন্য আপনাকে টাকা প্রধান করবে। এটি একটি সারা জীবনে সঞ্চয় হওয়ার মত আয়। গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে আয় করার জন্য আপনার ওয়েবসাইটটি তথ্যসমৃদ্ধ হতে হবে।
৩। নিবন্ধ লিখে আয় –
এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে যারা পাঠকদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের লেখায় আপডেট হতে থাকে। কোন কোন সাইটে তারা লেখকদের সাথে মুনাফা ভাগ করে নেয়। আপনি ওইসব ওয়েবসাইটে বিভিন্ন নিবন্ধ লিখতে পারেন আর আপনার নিবন্ধ যতো বেশি পাঠক পড়বে, আপনি ততো বেশি টাকা আয় করতে পারবেন। projuktisaradin.com তাদের মধ্যে অন্যতম।
৪। পেড রিভিউ-এর মাধ্যমে আয় –
পেড রিভিউ মানে হল নির্দিষ্ট কিছু কাজের জন্য টাকা প্রধান করা। এটা অনেকটা সার্ভে বা জরিপ করার মত কাজ। বিভিন্ন সার্ভে সাইটে গিয়ে আপনি নিবন্ধন করে সার্ভে ফর্ম পূরণ করে আপনার মতামত জানাতে হবে বা ইমেইল পড়তে হবে বা তার উত্তর দিতে হবে। প্রতিটি সার্ভের জন্যে আপনি টাকা পাবেন। এসকল কাজ গুলো খুবই সহজ। surveysavvy.com,
microworkers.com অন্যতম জনপ্রিয় ওয়েবসাইট।
৫। পিটিসি বা পেড-টু-ক্লিক থেকে আয়-
পিটিসি বা পেড-টু-ক্লিক এর সাহায্যে যে কেউ আয় করতে পারবে। মূলত ওয়েবসাইট ব্রাউজ করার জন্যে (শুধুমাত্র স্পনসরড্ সাইটগুলো) এই টাকা দেয়া হয়। পিটিসি বা পেড-টু-ক্লিক সাইট গুলোতে দুই ভাবে আয় করা যায় মূলধন জমা দিয়ে বা কোন প্রকার মূলধন ছাড়াই। এই সাইটগুলো থেকে আয়ের তুলনায় সময় অনেক বেশী অপচয় হয়। বিশ্বস্ত পিটিসি বা পেড-টু-ক্লিক সাইট গুলোর মধ্যে newbux.com, buxp.com জনপ্রিয়।
৬। ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আয় –
আপনি যদি একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার হোন তাহলে ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং করে আপনি আয় করতে পারবেন। এর জন্য প্রথমে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলোতে নিবন্ধন করে নিতে হবে। তারপর নিজে যে কাজটি ভালো পারেন তার একটা প্রোফাইল তৈরী করতে হবে। এখানে অনেক ধরনের কাজ থাকে যেমন যদি ডাটা এন্ট্রি, গ্রাফিক্স ডিজাইন অথবা এডমিনিস্ট্রেশনের কাজ। যে কোন একটি কাজে দক্ষতা থাকলে আপনি অনলাইনে এসব কাজ করে আয় করতে পারবেন। upwork.com, freelancer.com অত্যন্ত জনপ্রিয় দুটি ওয়েবসইট।
৭। তোলা ছবির মাধ্যমে আয় –
আপনি যদি একজন ফটোগ্রাফার বা চিত্রগ্রাহক হয়ে থাকেন তাহলে নিজের তোলা সেরা ছবিগুলো অনলাইনে বিক্রি করে আয় করতে পারবেন। সারা বিশ্বের বড় বড় ডিজাইনার্রা তাদের প্রজেক্টের জন্যে অনলাইনে অনেক ছবি খুঁজে থাকে। আপনি খুব সহজেই তাদের কাছে আপনার ছবিগুলো বিক্রি করতে পারেন। ছবির মাধ্যমে আয়ের জন্য istockphoto.com ওয়েবসাইট অনেক জনপ্রিয়।