অপোর মিডরেঞ্জের জনপ্রিয় স্মার্টফোন সিরিজ ‘এফ সিরিজের’ যাত্রা শুরু হয় ২০১৬ সালে। এই সিরিজের প্রথম স্মার্টফোন ছিল অপো এফ১, এফ১ প্লাস এবং এফ১এস। দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠা সেলফি ট্রেন্ডকে মাথায় রেখে এই সিরিজ বাজারে এনেছিল অপো। দারুণ সেলফি তোলার জন্য ‘সেলফি এক্সপার্ট’ হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছে এফ সিরিজের স্মার্টফোনগুলো।
এরই ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে বাজারে আসে অপো এফ৩ এবং এফ৩ প্লাস। এ দুটি স্মার্টফোনে ছিল ডুয়েল সেলফি ক্যামেরা। এছাড়া গ্রুপ সেলফি নেয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল ওয়াইড লেন্স। ২০১৭ সালের অক্টোবরে অপো বাজারে নিয়ে আসে এফ৫ এবং এফ৫ ইয়ুথ। স্মার্টফোন দুটিতে অপো প্রথমবারের মতো ব্যবহার করে ফেস আইডি। দুটি স্মার্টফোনেই ছিল ৬ ইঞ্চি ডিসপ্লে।
ক্যামেরায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ ঘটিয়ে অপো বাজারে আনে এফ৭ এবং এফ৭ ইয়ুথ। সেলফির কোয়ালিটি এবং কালার গ্রেডিং আরও প্রাণবন্ত করার লক্ষ্যে অপোর এ দুটি ফোনে এআই সেলফি ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছিল। এফ৭ এবং সিরিজের পরবর্তী স্মার্টফোনগুলোতেও এআই ক্যামেরা ব্যবহারের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে অপো। এর ফলে আরও ভাইব্রেন্ট এবং জীবন্ত ছবি তোলার সুযোগ পেয়েছেন ব্যবহারকারীরা।
নেটফ্লিক্স এবং অন্যান্য কনটেন্ট প্ল্যাটফর্মের জনপ্রিয়তার বিষয়টি মাথায় রেখে সর্বোচ্চ বডি টু ডিসপ্লের স্মার্টফোনের দিকেও নজর দিয়েছে অপো। বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে যারা স্মার্টফোনকেই বেছে নিয়েছেন, তাদের বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে অপো বাজারে নিয়ে আসে এফ৯ এবং এফ৯ প্রো। ফোন দুটিতে ব্যবহার করা হয় ওয়াটারড্রপ নচ সমৃদ্ধ ডিসপ্লে যার বডি টু ডিসপ্লে রেশিও ৯৩ দশমিক ৮ শতাংশ। এছাড়া ছিল ২৫ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিশেষ করে ইনস্টাগ্রামের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির কারণে ইনস্টা-পারফেক্ট শট নিতে সক্ষম, এমন ক্যামেরা সমৃদ্ধ স্মার্টফোনের চাহিদা মাথায় রেখে অপো ২০১৯ সালে বাজারে আনে এফ১১ এবং এফ১১ প্রো। ফোন দুটিতে ছিল ব্রিলিয়ান্ট পোর্টেট ক্যামেরা। তবে সেলফি বাইরেও পোর্টেট ফটোগ্রাফিকে অন্য মাত্রা দিয়েছে এফ১১ এবং এফ১১ প্রো। সম্পূর্ণ ফুল স্ক্রিনের অভিজ্ঞতা প্রদানে এফ১১ প্রো’তে ব্যবহার করা হয়েছিল রাইজিং ক্যামেরা।
নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে এই সিরিজে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনার ইঙ্গিত দিয়েছে অপো। ধারণা করা হচ্ছে এফ সিরিজের নতুন স্মার্টফোন এফ১৫ শীঘ্রই বাংলাদেশের বাজারে আসছে।