একটি পূর্ণাঙ্গ ওয়েবসাইট বানানোর আগে যা জানা দরকার

কর্তৃক প্রযুক্তি সারাদিন
0 মন্তব্য 1500 ভিউজ

একটি প্রতিষ্ঠানের অনলাইন রুপই হচ্ছে ওয়েবসাইট। বর্তমানে ওয়েব সাইট একটি শক্তিশালী মার্কেটিং মাধ্যম। যে কোন প্রতিষ্ঠানের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি যোগাযোগ মাধ্যম। একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ভাবে লেনদেন এবং বর্তমান বাজার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন সম্ভব। ওয়েবসাইট নিয়ে এই পোস্ট টি তে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। ওয়েব সাইট তৈরির আগে নিজেকে প্রস্তুত করুন। ওয়েব সাইট তৈরির জন্য বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক এজেন্সি পাবেন কেউ অনেক কম দামে ওয়েব সাইট বানিয়ে দিবে, আবার কেউ করে দিবে অনেক দামে। দামের তারতম্যের অনেক কারন রয়েছে। আপনার যদি অল্পকিছু ধারনা থাকে তাহলে আপনার ওয়েব সাইট এর ধরন অনুযায়ী ওয়েবসাইট এর জন্য বাজেট করতে সুবিধা হবে। চলুন জেনে নেই ওয়েবসাইট এর জন্য কি কি প্রয়োজন হবে-

ডোমেইনঃ  ডোমেইন মানে হচ্ছে একটা নাম। যেমন কোন প্রতিষ্ঠান বা দোকান বানানোর জন্য সবার আগে যে জিনিসটি প্রয়োজন তা হচ্ছে দোকানের নাম বা সাইন বোর্ড, ঠিক তেমনই ওয়েবসাইট এর জন্য সেই সাইন বোর্ড টি হচ্ছে ডোমেইন। ডোমেইন একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় এবং একই নাম দুই জন ব্যবহার করতে পারেন না। এই ক্ষেত্রে নামের সামনে বা পিছনে কোন কিছু সংযুক্ত করে নেয়া যেতে পারে। ডোমেই এর শেষ অংশ বিভিন্ন রকমের হতে পারে যেমন- .com, .net, .news, .tv. এরকম অনেক ধরনের ডোমেইন রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে .com ডোমেইন। এছাড়া .bd ডোমেইন নিতে পারবেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) থেকে।সাধারণত ডোমেইন এর দাম ১৭-২৫$ এর মধ্যে হয়ে থাকে। এছাড়া কিছু ডোমেইন থাকে প্রিমিয়াম। সেগুলো কিনতে আপনার অনেক টাকা লাগবে প্রায় হাজার ডলার এর উপরে। আপনার যদি ডলার লেনদেন করার জন্য কার্ড থেকে থাকে তাহলে আপনি নিজেই কিনে নিতে পারেন। না হলে দেশি কোন কোম্পানি থেকে বাংলা টাকা দিয়ে লেনদেন করতে পারেন। আপনারা ITDHAKA.COM থেকে ডোমেইন নিতে পারেন। এরা .com ডোমেইন এর জন্য ৯৫০টাকা করে নিয়ে থাকে। অন্যান্য ডোমেইন কেনার ক্ষেত্রে আলোচনা সাপেক্ষে কথা বলে নিতে পারেন। উল্ল্যেক্ষ যে প্রতিটি ডোমেইন ১বছরের জন্য হয়ে থাকে। এরপর প্রতি বছর রিনিউ (হালনাগাদ) করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে পুর্বের দামই থাকে। আপনি ইচ্ছে করলে শুরুতেই ৩-৪ বছরের জন্য নিয়ে নিতে পারেন।

হোস্টিংঃ ডোমেইন নির্বাচনের পর আপনাকে হোস্টিং নিতে হবে। ধরুন ডোমেইন যদি আপনার দোকানের নাম হয়ে থাকে তাহলে হোস্টিং হচ্ছে দোকান করার জন্য জায়গা। মানে আপনি যে ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে চাচ্ছেন তার জন্য একটা যায়গা প্রয়োজন। হোস্টিং এর মূল্য হয়ে থাকে ঠিক কতটুকু যায়গা আপনি নিতে চান তার উপর। একটি সাধারণত মানের ওয়েবসাইটের জন্য ১জিবি হোস্টিং যথেষ্ট। তবে প্রয়োজন আনুসারে আপনি বেশিও নিতে পারেন। ডোমেইনের মত হোস্টিংও ১ বছরের জন্য হয়ে থাকে। সেক্ষত্রে আপনি যেখান থেকে ডোমেইন নিবেন সেই যায়গা থেকেই হোস্টিং নিতে পারেন। তাহলে আপনার পরবর্তি বছরের জন্য রিনিউ (হালনাগাদ) তারিখ একই থাকবে।

হোস্টিং নেয়ার সময় কিছু বিষয় মাথার রাখতে হয়। যেমন এমন যায়গা থেকে হোস্টিং নিতে হবে যেন সার্ভার সব সময় লাইভ থাকে মানে যেকোন সময় ওয়েবসাইটে লোড হয়। সার্ভারের উপরে নির্ভর করে হোস্টিং দুই ধরনের হয়ে থাকে – ১।ক্লাউড হোস্টিং ২। নরমাল সার্ভার হোস্টিং। সাধারণত ক্লাউড হোস্টিং এর দাম একটু বেশি হয়ে থাকে। যেকোন হোস্টিং নেয়ার সময় সেই হোস্টিং এর র‍্যাম, প্রসেসর দেখে নিতে হবে। কারন এগুলোর উপরে নির্ভর করবে আপনার ওয়েবসাইট কত দ্রুত লোড হবে। আপনারা ইচ্ছে করলে ITDHAKA.COM থেকে হোস্টিং নিতে পারেন। ১টি ডোমেইন + ১জিবি শেয়ার হোস্টিং এর জন্য এরা নিয়ে থাকে মাত্র ১৬০০টাকা। এদের হোস্টিং সার্ভার ২৪ ঘন্টা লাইভ থাকে।

ওয়েব ডেভেলপমেন্টঃ ডোমেইন ও হোস্টিং নেয়া হয়ে গেলে আপনার প্রয়োজন হবে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর। আপনি নিজে ডেভেলপার হলে নিজেই ওয়েবসাইট বানাতে পারবেন। ওয়েবসাইট বানানোর ক্ষেত্রে বিভিন্ন উপকরন দরকার হয় , আপনার প্রয়োজন অনুসারে বিচক্ষনতার সাথে আপনাকে তা নির্বাচন করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার বাজেটের সাথে সামঞ্জস্য রেখে উপ করন নির্ধারন করা উভয় ক্ষেত্রেই বিচক্ষন সিদ্ধান্ত।

ওয়েবসাইট বানানোর জন্য প্রোগ্রামিং ভাষা জানা বা শেখা কি জরুরি?

ধরুন আপনি একটি ওয়েবসাইট নিজে বানাবেন। এর ক্ষেত্রে আপনাকে বিভিন্ন ল্যাংগুয়েজ ও টেকনোলজির উপর নির্ভর করে শুরু করতে হবে। ওয়েবসাইটের ধরন অনুযায়ী ল্যাংগুয়েজ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বর্তমানে ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট খুব সহজেই তৈরি করা যায়। ওয়ার্ডপ্রেসের যেকোন থিম ইন্সটল করে প্রয়োজন মত কাষ্টমাইজ করে নিতে হয়। এক্ষেত্রে ডিভি থিম সবচেয়ে ভালো। যেকোন ধরনের ওয়েবসাইট খুব সহজেই এই থিম দিয়ে কাষ্টমাইজ করা যায়। আপনি নিজে যদি ওয়ার্ডপ্রেস থিম কাষ্টমাইজ জেনে থাকেন তাহলে খুব সহজেই যেকোন ওয়েবসাইট বানানো সহজ। না হলে অন্যকারো সাহায্য নিতে হবে। ওয়েবসাইট বানানোর ক্ষেত্রে অবশাই এর সিকিউরিটি মাথায় রাখতে হবে। সিকিউরিটি দুর্বল হলে যে কেউ সাইট হ্যাক করে ডাউন করে দিতে পারে।

ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট এর মূল্য বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। এই মূল্য নির্ভর করে কি ধরনের ওয়াবসাইট হবে তার উপর। এবং যিনি ওয়েবসাইট বানাবেন তিনি কি কি সুযোগ-সুবিধা চান তার উপরে। যে কোন সাধারণ মানের ওয়েবসাইট ১০,০০০-১্‌০০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট এর মূল্য একবারের জন্যই নেয়া হয়ে থাকে। তবে পরবর্তিতে যদি কোন পরিবর্তন করার প্রয়োজন হয় তাহলে কিছু সার্ভিস চার্জ দিলেই হয়ে যায়।

এসম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে চাইলে কমেন্টস করে আপনার প্রশ্ন করতে পারেন।

0 মন্তব্য
0

তুমিও পছন্দ করতে পার

মতামত দিন