২৮টি পাড়াকেন্দ্র ডিজিটাল হচ্ছে পার্বত্য চট্রগ্রামের

কর্তৃক প্রযুক্তি সারাদিন
0 মন্তব্য 441 ভিউজ

পার্বত্য চট্রগ্রামের ২৮ টি দুর্গম পাড়া কেন্দ্রকে প্রাথমিক স্তরে ডিজিটাল শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় আনা হচ্ছে। এই লক্ষে্য টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর ও পার্বত্য চট্রগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড এর মধ্যে আজ সোমবার একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার ডিজিটাল প্লাটফর্মে চুক্তি স্বাক্ষর প্রত্যক্ষ করেন।

এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মোস্তাফা জব্বার দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলের সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে উঠার জন্য ডিজিটাল পাড়া কেন্দ্রকে একটি ঐতিহাসিক মাইল ফলক হিসেবে বর্ণনা করেন।

তিনি বলেন, এটি একটি নোভেল ভেঞ্চার। এটি পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠীকে ডিজিটাল করার বর্তমান সরকারের এক মহতি উদ্যোগ। তিনি বলেন, আমাদের মানব সম্পদকে ডিজিটাল দক্ষতা দিতে না পারলে বাংলাদেশের ভবিষ্যত তৈরি হবে না। এই লক্ষ্যে শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকে ডিজিটাল শিক্ষা অপরিহার্য। পাড়াকেন্দ্র এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ডিজিটাল করতে পারলে আমরা বৈষম্যহীন ডিজিটাল সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে পারবো। তিনি ডিজিটাল শিক্ষা প্রসারের জন্য ডিজিটাল কনটেন্ট একটি অপরিহার্য অংশ উল্লেখ করে বলেন, পাড়াকেন্দ্র ডিজিটাল করার কর্মসূচি গোটা দেশের জন্য আমুল রূপান্তরের যাত্রা।

শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের যাত্রাকে বেগবান করতে প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহ ডিজিটাল করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহ ডিজিটাল করার লক্ষ্যে খুব শিগগিরই এ ধরনের সমঝোতা স্মারক সাক্ষর হবে । শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরে তার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, সকলের সহযোগিতা থাকলে ডিজিটাল শিক্ষা চালু করা কঠিন হবে না।

ডিজিটাল শিক্ষা পরিচালনার জন্য ডিজিটাল বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, সামান্য প্রশিক্ষণ পেলে ডিজিটাল ক্লাস পরিচালনা সম্ভব। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয় যে ডাক ও টেলি যোগাযোগ মন্ত্রী ২০০৭ সালে পাড়াকেন্দ্র দেখে তাকে ডিজিটাল করার বিষয় নিয়ে লিখেছিলেন। মাননীয় মন্ত্রী রাঙামাটিতে ২০০১ সালে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও আনন্দ মাল্টিমিডিয়া স্কুল চালু করার পাশাপাশি চাকমা সফটওয়্যার তৈরির স্মৃতিকথাও স্মরণ করেন।

অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো: আফজাল হোসেন, পার্বত্য চট্রগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, বিটিআরসি‘র মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুস্তফা কামাল, টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহসিনুল আলম এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক বদিউর রহমান বক্তৃতা করেন।

বক্তারা দুর্গম পাব্যত্য অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য এই কর্মসূচিকে একটি যুগান্তকারি কর্মসূচি হিসেবে উল্লেখ করেন। তারা বলেন, এ ধরনের কর্মসূচি ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করবে।

0 মন্তব্য
0

তুমিও পছন্দ করতে পার

মতামত দিন