এখন থেকে ২৪ ঘণ্টাই অভিযোগ নেবে বিটিআরসি

কর্তৃক প্রযুক্তি সারাদিন
0 মন্তব্য 391 ভিউজ

দিনে রাতের যে কোনো সময় টেলিযােগাযোগ সেবার বিষয়ে অভিযোগ জানাতে পারবেন গ্রাহকরা। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ২৪ ঘণ্টা গ্রাহকদের অভিযোগ গ্রহণের এ সেবা চালু করতে যাচ্ছে ‌ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। বর্তমানে অফিস চলাকালীন সময়ে নিজস্ব শর্টকোড ১০০-এর মাধ্যমে কমিশন অভিযোগ গ্রহণ করে থাকে। ২০১৬ সালের মে থেকে এ সেবা চালু রয়েছে। সম্প্রতি এক কমিশন বৈঠকে এ বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়। বিটিআরসি বেসরকারি খাতের ইমপেল সার্ভিস অ্যান্ড সলিউশন্স লিমিটেডের (আইএসএসএল) মাধ্যমে এ সেবা দিচ্ছে। কমিশনের বৈঠকে সার্বক্ষণিক অভিযোগ গ্রহণ চালুর বিষয়ে চুক্তির অনুমোদন দেওয়া হয়।

চুক্তি অনুযায়ী সব সময়ের জন্য সেবাটি চালু রাখতে আইএসএসএল প্রতি ঘণ্টার প্রতি সিটের জন্যে ৭৮ টাকা ৪৩ পয়সা হারে চার্জ করবে। এ জন্য সব মিলে এক বছরে বিটিআরসির খরচ হবে ১৪ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। এত দিন সময় খোলা থাকার সময় অভিযোগ গ্রহণের জন্য ব্যয় হচ্ছে বছরে ৮ লাখ ২৮ হাজার টাকা। চলতি বছরের মে মাসে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার গ্রাহক সেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অভিযোগ গ্রহণের সেবা ২৪ ঘণ্টা চালুর নির্দেশনা দেন। এরপর কমিশন কলেবর বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়। বিটিআরসির সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রতি কর্মদিবসে আইএসএসএল সকাল আটটা থেকে নয়টা পর্যন্ত এক ঘণ্টায় দু’জন কল রিসিভার দিয়ে সেবা দেবে। নয়টা থেকে চারটা পর্যন্ত অভিযোগ গ্রহণকারী কল রিসিভার থাকবেন চার জন। পরের দু’ঘণ্টায় তিন জন অভিযোগ গ্রহণ করবেন। ছয়টা থেকে নয়টা পর্যন্ত এ সংখ্যা হবে তিন জন। এরপর থেকে পরদিন সকাল আটটা পর্যন্ত একজন বিটিআরসির হয়ে অভিযোগ নেবেন।

এতে ২৪ ঘণ্টায় সব মিলে এক দিনে ৫৪ কর্মঘণ্টা অভিযোগ গ্রহণ করা হবে। শুক্র ও শনিবারসহ ছুটির দিনে অভিযোগ গ্রহণে আইএসএসএলের কাছ থেকে ৪৮ কর্মঘণ্টার সেবা নেবে বিটিআরসি। তাতে করে মাসে সব মিলে ১ হাজার ৫৭২ কর্মঘণ্টা সেবা অভিযোগ করা হবে বলে জানিয়েছেন বিটিআরসি’র সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা। ১০০ শর্টকোডের মাধ্যমে অভিযোগ গ্রহণ প্রক্রিয়া সহজ করার কারণে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর বিভিন্ন সেবা নিয়ে বিটিআরসি’র কাছে অভিযোগের সংখ্যা বেড়েছে। গত মে মাসে বিটিআরসি প্রকাশিত এক বছরের হিসাবে দেখা যায়, ২০১৮ সালের মে হতে ২০১৯ সালের এপ্রিল পর্যন্ত সব মিলে ৭ হাজার ৯০৮টি অভিযোগ জমা পড়ে। অভিযোগের মধ্যে সিম ও নেটওয়ার্ক ইস্যু, কোয়ালিটি অব সার্ভিস, ট্যারিফ রেট, রিচার্জ বা বিলিং, ডেটা ভলিউম ব্যবহার, এসএমস, ডেটার গতি, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস, প্রতারণামূলক কার্যক্রম, প্যাকেজ মাইগ্রেশন, কলড্রপ, কুইজ বা প্রাইজ বা অ্যাওয়ার্ড, সোশ্যাল মিডিয়া ও সাইবার সম্পর্কিতসহ বেশ কিছু বিষয় রয়েছে।

বিদ্রঃ ওই তালিকায় গ্রামীণফোনের নামে ছিল ২ হাজার ৪১৩টি অভিযোগ। রবি ও এয়ারটেলের ৩ হাজার ৪২৭, বাংলালিংকের ১ হাজার ১৫৭ এবং টেলিটকের ৯১১টি অভিযোগ ছিল।

0 মন্তব্য
0

তুমিও পছন্দ করতে পার

মতামত দিন