সাড়ে ১৩ মিলিয়ন ইউনিটে পৌঁছবে ফাইভজি স্মার্টফোন সরবরাহ

কর্তৃক প্রযুক্তি সারাদিন
0 মন্তব্য 308 ভিউজ

বৈশ্বিক টেলিযোগাযোগ খাতে পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি ফাইভজি চালু হলে স্মার্টফোন বাজার চাঙ্গা হবে। বিভিন্ন বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান এমনটাই পূর্বাভাস দিয়েছিল। এবার বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইএইচএস মার্কিটের পক্ষ থেকে চলতি বছর ফাইভজি সমর্থিত স্মার্টফোন সরবরাহ ১ কোটি ৩৫ লাখ ইউনিটে (১৩ দশমিক ৫ মিলিয়ন) এবং ২০২০ সালে তা কয়েক গুণ বেড়ে ২৫ কোটি ৩০ লাখ ইউনিটে (২৫৩ মিলিয়ন) পৌঁছানোর পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। খবর টেলিকম লিড।

বিশ্বের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ টেলিযোগাযোগ বাজারে ফাইভজির বাণিজ্যিক ব্যবহার শুরু হয়েছে। বাণিজ্যিক ব্যবহারের দিক থেকে ফোরজির চেয়ে ফাইভজির বিস্তার দ্রুত হচ্ছে। উন্নত ও দ্রুতগতির এ নেটওয়ার্ক সেবা ব্যবহারে ফাইভজি সমর্থিত স্মার্টফোন প্রয়োজন। যে কারণে ফাইভজি সমর্থিত স্মার্টফোনের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। একই সঙ্গে ফাইভজি ফোনের চাহিদা বৃদ্ধি সামগ্রিক স্মার্টফোন বাজারের মন্দা ভাব কাটিয়ে উঠতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

বিশ্বজুড়ে ফাইভজির পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্যিক ব্যবহার শুরুর লক্ষ্যে কার্যক্রম জোরদার করেছে সেলফোন অপারেটরগুলো। এ মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি গ্রহণযোগ্যতার দিক থেকেও ফোরজির চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। এছাড়া ফাইভজি নেটওয়ার্ক প্রযুক্তির ফলে সেলফোন অপারেটরগুলোর আয়ের নতুন পথ উন্মোচন হবে। ফলে টেলিযোগাযোগ সেবায় বৈপ্লবিক পরিবর্তনের আশা করা হচ্ছে।

আইএইচএস মার্কিটের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বৈশ্বিক বাজারে যতসংখ্যক ইউনিট ফাইভজি ফোন বিক্রি হয়েছে, তার তিন-চতুর্থাংশই স্যামসাং ব্র্যান্ডের। অর্থাৎ বৈশ্বিক ফাইভজি স্মার্টফোন বাজারেও আধিপত্য ধরে রেখেছে স্যামসাং। জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির ফাইভজি স্মার্টফোন সরবরাহ ৩২ লাখ ইউনিটে পৌঁছেছে, যা প্রান্তিকটিতে বিশ্বজুড়ে সরবরাহ হওয়া মোট ৪৩ লাখ ফাইভজি স্মার্টফোনের ৭৪ শতাংশ।

চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) স্যামসাংয়ের ফাইভজি স্মার্টফোন সরবরাহ ১৫ লাখ ইউনিটে পৌঁছেছিল, যা তৃতীয় প্রান্তিকে দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে বৈশ্বিক ফাইভজি স্মার্টফোন বাজারের ৮৩ শতাংশই ছিল স্যামসাংয়ের দখলে।

0 মন্তব্য
0

তুমিও পছন্দ করতে পার

মতামত দিন