ফ্রিল্যান্সিংঃ-
নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অধীনে না থেকে স্বাধীনভাবে কাজ করাকে ফ্রিল্যান্সিং বোঝায়। এধরণের কাজ যারা করেন তাদের বলা হয় মুক্তপেশাজীবী বা ফ্রীলাঞ্চার। এধরণের কাজে যেমন কোনো নির্দিষ্ট মাসিক বেতন নেই তেমনি সবসময় কাজ পাওয়ারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। তবে যদি কনো কাজ আপনি পেয়ে থাকেন তা যে কোন সময় সতর্কতা ছাড়াই, আপনার নিয়োগকর্তা আপনার কাজ থেকে অব্যাহতি দিতে পারে।তবে স্বাধীনমনের ব্যক্তিদের আয়ের জন্য এটা একটা সুবিধাজনক পন্থা। কারন এখানে কোন বস নেই, কোন নিয়ম নেই, কোন ফিক্স সময় নেই, বরং যে কোন জায়গা থেকে কাজ করা যায় এবং কাজগুলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে থাকে। ফলে ফ্রীলাঞ্চারা ঘরে বসেই তাদের কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এ পেশার মাধ্যমে অনেকে প্রচলিত চাকরি থেকে বেশি আয় করে থাকেন, তবে তা আপেক্ষিক।
ফ্রিল্যান্সিং কাজের ধরণঃ-
ফ্রিল্যান্সিং কাজের পরিসীমা অনেক বেশি। বিশ্বব্যাপী এধরণের কর্মপদ্ধতির চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে শীর্ষে থাকা কয়েকটি কাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
ইন্টারনেট মার্কেটিং: ইন্টারনেটভিত্তিক বাজারজাতকরণ কার্যক্রম, যেমন ব্লগ, সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটে বিপণন।
গ্রাফিক্স ডিজাইন: অ্যানিমেশন, লোগো, ছবি সম্পাদনা, ওয়েবসাইট ব্যানার, ইত্যাদি।
ওয়েব ডেভলপমেন্ট: ওয়েবভিত্তিক সফ্টওয়্যার তৈরি, ওয়েবসাইট তৈরি, হোস্টিং ইত্যাদি।
কম্পিউটার প্রোগ্রামিং: ওয়েব প্রোগ্রামিং থেকে ডেস্কটপ প্রোগ্রামিং সবই এর আওতায় পড়ে।
লেখালেখি ও অনুবাদ: ওয়েবসাইট কন্টেন্ট, নিবন্ধ, সংবাদ বিজ্ঞপ্তি, ছোট গল্প, প্রাপ্তবয়স্কদের গল্প এবং এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় ভাষান্তরকরণ উল্লেখযোগ্য।
সাংবাদিকতা: যারা এবিষয়ে দক্ষ তারা বিভিন্ন দেশি-বিদেশি পত্রপত্রিকায় লেখালেখির, চিত্রগ্রহণের পাশাপাশি ইন্টারনেটভিত্তিক জনসংযোগ করে থাকেন।
প্রশাসনিক সহায়তা: দেশি-বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন কাজের ডাটা এন্ট্রি করণ, ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে কাজ করা ইত্যাদি।
গ্রাহক সেবা: দেশি-বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানির গ্রাহককে টেলিফোন, ইমেইল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা ইত্যাদি।
এসকল কাজের মধ্যস্থকারী ব্যবসায়ী ওয়েবসাইটগুলো কয়েকটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইটের মধ্যে উল্লেখযোগ্য আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ডট কম, ফাইভআরআর, গুরু ইত্যাদি।