একটি দুর্দান্ত মিড-রেঞ্জ স্মার্টফোন রিয়েলমি ৭ রিভিউ

কর্তৃক প্রযুক্তি সারাদিন
1 মন্তব্য 1851 ভিউজ

ক্যামেরা, ডিসপ্লে ,ডিজাইন সব মিলিয়ে রিয়েলমির কোন স্মার্টফোন সেরা সেটি যদি জিজ্ঞেস করা হয় তাহলে অবশ্যই উত্তর উঠে আসবে রিয়েলমি সেভেন। বর্তমান সময়ে রিয়েলমি কিন্তু স্মার্টফোন বাজারে এক ধরনের আলোড়ন সৃষ্টি করেছে সুতরাং এই আর্টিকেলের দেখার পালা রিয়েল মি সেভেন রিলিজ হওয়ার পর তাদের ব্যবহারকারীদের কতটুকু সন্তুষ্ট করতে পেরেছে ।

তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক এই স্মার্টফোনটি সম্পর্কে একটি ছোট রিভিউ এবং স্পেসিফিকেশন।

তাহলে প্রথমে আনবক্সিং দিয়ে শুরু করা যাক!

সালমান খানের ছবি সংবলিত রিয়েল মি সেভেন এর বক্সিং তেও এক ধরনের প্রিমিয়াম লুক রয়েছে ।

বক্স টি খোলার সাথে সাথে আপনারা পেয়ে যাবেন আর ও একটি ছোট্ট বক্স। যার মধ্যে রয়েছে একটি সিলিকন কভার। ঠিক তার পরে রয়েছে ইউজার ম্যানুয়াল। ঠিক এর পরে রয়েছে আমাদের কাঙ্ক্ষিত ডিভাইস টি। এরপরই রয়েছে ৩০ ওয়াটের একটি ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজির সমপন্ন চার্জার।

তাহলে শুরুতে কথা বলা যাক এর ডিজাইন এবং বিল্ড কোয়ালিটি নিয়ে।

অন্যান্য সকল স্মার্টফোনের তুলনায় রিয়েলমি তাদের এই স্মার্টফোনটিকে এক ধরনের নতুনত্ব নিয়ে এসেছে বলা যায় ।এর ডিজাইন টি একদম ফান্ডামেন্টালফোনের । পিছনের দিকে সর্বপ্রথম আপনার চোখ আটকে যাবে এর ক্যামেরা সেটআপ এ ৷ পেছনের অংশটা সম্পূর্ণই প্লাস্টিক বিল্ড ।

পেছনের দিকে এক গ্রেডিয়ান কালার থাকার কারণে বিভিন্ন মাত্রার আলোতে বিভিন্ন ইফেক্ট দেখা যায়। ফোনটি সম্পূর্ণ হালকা হাতে নিয়ে মনেই হবেনা যে কোন বড় ডিভাইস ধরে রয়েছেন৷ কারণ এতে সুন্দরভাবে ওয়েট ডিসট্রিবিউশন করা হয়েছে৷ সুতরাং কোনো সমস্যা হবে না৷

বরাবরের মতো রিয়েলমি তাদের ডেডিকেটেড স্লট এ দুইসিম কার্ড এবং একটি মাইক্রো এসডি কার্ড প্রবেশ করানোর সুযোগ করে দিয়েছে৷

তাহলে এবার ফোনের ডিসপ্লে সম্পর্কে আলোচনা করা যাক ৷

 

এতে থাকছে ৬.৫ ইঞ্চি ফুল আইপিএস এলসিডি ডিসপ্লে । এবং এতে ব্যবহার করা হয়েছে ৯০ হার্জ রিফ্রেরেট প্যানেল ৷ রেজুলেশন ১০৮০×২৪০০, ৪০৫ পিপিআই ডেনসিটি। এবং ফোনটির উভয় পাস কে প্রোটেকশন করছে কর্নিং গরিলা গ্লাস ৩।

ডিসপ্লের ভিউ এনগেল ছিল একদমই পারফেক্ট৷ যদিও ডিসপ্লেটি আইপিএস এলসিডি প্যানেলের তবে । তার পরেও খুব কালারফুল ছিল৷ সুতরাং বরাবরের মতো ফোনটির ডিসপ্লে নিয়ে অভিযোগ করার মত কিছুই নেই৷ ৯০ হার্জ সাপোর্টেড হওয়ার কারণে স্ক্রোলিং করতে বিন্দুমাত্র অসুবিধা হবে না।

আউটডোর ভিজিবিলিটি নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই।

এবারে কথা বলা যাক ফোনটির ক্যামেরা নিয়ে।

ফোনের পেছনে থাকছে কোয়াড ক্যামেরা সেটআপ। যার প্রাইমারি সেন্সরটি ৬৪ মেগাপিক্সেল। এবং তার সাথে রয়েছে ৮ মেগাপিক্সেল এর আল্ট্রা ওয়াইড, ২ মেগাপিক্সেল এর মাইক্রো এবং ২ মেগাপিক্সেলের ডেপথ সেন্সর ।

প্রাইমারি ক্যামেরা দিয়ে তোলা ছবিগুলো ছিল বেশি ইম্প্রেসিভ৷ এছাড়াও কালার শার্পনেস সবকিছু ছিল একদম পারফেক্ট৷ ফোকাস করা বস্তুটির কালার বাড়িয়ে দিযচ্ছিলো। তবে সেটি নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই । বরং ভালই লাগছিল!

ডেলাইট এর ছবিগুলো চমৎকার ছিল । স্বল্প আলোয় আপনি নাইট মোড ব্যবহার করতে পারেন। এতে থাকছে সিক্সটিন মেগা পিক্সাল এর একটি সেলফি ক্যামেরা। সেলফি ক্যামেরা পারফরম্যান্স ছিল যথেষ্ট ভালো । সমস্যা কেবল একটা জায়গায়। ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে অভারোলাইট কন্ডিশনে ছবির অবস্থা একদমই বাজে হয়ে যায়।

এবারে কথা বলা যায় ফোনটির ব্যাটারি এবং চার্জার নিয়ে৷

ফাইভ থাউজেন্ড মিলি এম্পিয়ার এর ব্যাটারি থাকছে এর সাথে থাকছে থার্টি ওয়ার্ডের ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজি সম্পন্ন চার্জার৷ যা দিয়ে মাত্র ৭০ মিনিটে খুব সহজে ফুল চার্জ করা যাবে।

বাংলাদেশি মূল্যে এই স্মার্টফোনটির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯৯৯৯৳।

1 মন্তব্য
0

তুমিও পছন্দ করতে পার

1 মন্তব্য

Mark September 12, 2022 - 11:58 am

Thanks for your blog, nice to read. Do not stop.

উত্তর

মতামত দিন