সেবার ধরণ ও মেয়াদ অনুসারে এ সংক্রান্ত খরচকে কয়েকটি ধাপে ভাগ করা হয়েছে। ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস বা ভ্যাসের নির্দেশনা অনুমোদনের পর এ সংক্রান্ত সেবার মেয়াদ এবং সে অনুসারে চার্জ বেঁধে দিল বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। বিটিআরসি’র সিদ্ধান্ত অনুসারে এক দিন মেয়াদের পুশ পুল এসএমএস বেইসড কোনো সেবা অথবা অডিও বা ভিডিও স্ট্রিমিং সেবার জন্যে সর্বোচ্চ দুই টাকা চার্জ করা যাবে। অন্যদিকে সাবক্রিপশন বেজড ভিডিও অন ডিমান্ডের ক্ষেত্রে নাটক, সিনেমা বা টেলিফিল্মের জন্য এক দিনে সর্বোচ্চ চার্জ হবে ৮ টাকা। সাত দিনের জন্যে এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ চার্জ হবে ৩০ টাকা, ১৫ দিনের জন্যে ৪৫ টাকা এবং ৩০ দিনের জন্য হলে ৮০ টাকা। তবে সেবাটি যদি তিন মাসের জন্য হয় তাহলে তার মূল্য হবে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা। কেউ যদি ছয় মাসের জন্য সেবাটি গ্রহণ করেন তবে সেখানে ৩৫০ টাকার ওপরে চার্জ করা যাবে না।
ভ্যালু অ্যাডেড সেবায় স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা আনতে এবং বৈষম্য কমাতে গত বছর এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে বিটিআরসি। এর প্রেক্ষিতেই এখন মেয়াদ ও চার্জ বেঁধে দেওয়ার উদ্যোগ নিল তারা। সম্প্রতি এক কমিশন বৈঠকে বিষয়টি পাসের পর তা সরকারের চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। নীতিমালায় বলা হয়েছে, কেউ যদি ভ্যাস সেবার মাধ্যমে গেইমিং চালু রাখে তবে সেটি এক মাস হিসেবে বিক্রি করতে হবে। এক্ষেত্রে সেবাটির মূল্য সর্বোচ্চ ৯০ টাকা রাখা যাবে বলে বিটিআরসি’র নথিতে বলা হয়েছে। রিং ব্যাক টোন সেবাও এক মাসের জন্য ধরা হয়েছে। এর খরচ ৩০ টাকা। অডিও বা ভিডিও স্ট্রিমিং জন্য এক সপ্তাহ মেয়াদী সেবার খরচ সর্বোচ্চ ১২ টাকা, ১৫ দিনের হলে ২৪ টাকা এবং সেবাটি ৩০ দিনের হলে ৫০ টাকা বেঁধে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
পুশ পুল এসএমএস বেইসড কোনো সেবা হলে সাত দিনের রেট ১২ টাকা, ১৫ দিনের জন্যে ২৪ টাকা এবং ৩০ দিনের জন্যে ৪০ টাকা। এর বাইরে আইভিআরভিত্তিক সেবার জন্য প্রতি মিনিট নির্ধারণ করা হয়েছে দুই টাকা। ওয়াপ বেজড সার্ভিস এক দিনের ৫ টাকা, সাত দিনে ২৫ টাকা, ১৫ দিনে ৪৫ টাকা এবং ৩০ দিনের জন্যে সর্বোচ্চ ৪৫ টাকা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সেবাটি বিটিআরসি এক বছরের জন্যে অনুমোদন করেছে এবং এই সময় পর সেটি আবারও মূল্যায়ন করা হবে বলে বলা আছে। এর বাইরেও শর্ত দেওয়া হয়েছে, যদি কোনো গ্রাহক সেবার বিষয়ে কোনো অভিযোগ উত্থাপন করে তবে সাত দিনের মধ্যে তা সমাধান করে কমিশনকে অবহিত করতে হবে।
তাছাড়া সেবার ক্ষেত্রে অপট ইন এবং অপট আউটের বিষয়টি স্পস্টভাবে উল্লেখ থাকতে হবে; এর জন্যে বাড়তি কোনো চার্জ নেয়া যাবে না। তাছাড় উভয় ক্ষেত্রেই একই পোর্ট ব্যবহার করতে হবে। সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে সেবার ভলিউজম লিমিট পার হয়ে গেলে তা এসএমএস-এর মাধ্যমে গ্রাহককে অবহিত করতে হবে। বিটিআরসি’র সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস শাখার এক কর্মকর্তা বলেন, নির্দেশনাটি কার্যকর হলে ভ্যালু অ্যাডেড সেবা সম্পর্কে গ্রাহকের অভিযোগ অনেকাংশে কমে আসবে এবং সেবা দেওয়া ও নেওয়ার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আসবে।