পড়াশোনায় ভালো করার জন্য মনোযোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মনোযোগী না হয়ে দিনরাত পড়ালেখা করে কোনো লাভ নেই। যা পড়বেন তা মনোযোগ দিয়ে পড়লে অপেক্ষাকৃত কম সময়ে ভালোভাবে আত্মস্থ করতে পারবেন। ফলে পরীক্ষার ফলাফলও হবে ভালো। আসুন পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়ানোর কিছু নিয়ম জেনে রাখি।
১. পড়াশোনার সময় বেছে নিন : যখন আপনার পড়তে মনোযোগ বেশি থাকবে তখন পড়তে বসবেন। একটানা বেশিক্ষণ পড়লে মনোযোগ দেয়ার ক্ষমতা আস্তে আস্তে কমতে থাকে। তাই শেষের দিকে পড়া মনে কম থাকবে। সকাল, দুপুর, বিকাল যে সময় আপনার পড়তে ভালো লাগে সেই সময়টায় পড়বেন। পড়তে পড়তে বিরক্তবোধ হলে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পড়তে পারেন। একে অপরের সাথে কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করেও পড়তে পারেন। তাতে মনে থাকার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
২. বিরতি দিয়ে পড়বেন : সাধারণত একজন মানুষ একটানা ৪০ মিনিটের বেশি সময় মনোযোগ দিয়ে পড়তে পারে না। তাই পড়ালেখার মাঝে মাঝে ৫-১০ মিনিট বিরতি দিয়ে আবার পড়া শুরু করুন। তবে বিরতির সময় টিভি বা কম্পিউটার চালু করবেন না। তাহলে ৫ মিনিটের জায়গায় আরো বেশি সময় লেগে যাবে কারণ সেটা বিরতি হবে না। আগেই বলেছি পড়তে পড়তে বিরক্তবোধ হলে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পড়ুন তবে ঘরের বাইরে যাবেন না।
৩. মস্তিষ্কের বিশ্রাম : অনেকে পড়ালেখা করতে করতে পড়ার ফাঁকে বিশ্রামের জন্য ফেসবুকে বা ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে লেগে যায়। এতে মস্তিষ্কের কোনো বিশ্রাম হয় না। তার চেয়ে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর জন্য পছন্দের গান শুনতে পারেন, বন্ধুদের সাথে কথা বলতে পারেন। তাতে করে মাথা কিছূটা হালকা হবে এবং পড়াশোনায় মনোযোগ ফিরে পাবেন।
৪. মস্তিষ্কের খাবার : মস্তিষ্ককে সতেজ রাখার জন্য নানা রকমের বাদাম, আখরোট, দেশি ফল, শাকসবজি, সামুদ্রিক মাছ, গ্রীন টি খেতে পারেন। এসব খাবার শরীর এবং মস্তিষ্কের জন্য খুব উপকারী। পড়াশোনার মাঝে পাকা টমেটো বা টমেটোর জুস খেতে পারেন। দিনের মূল খাবারের ফাঁকে দুধ, ডিম, দেশি-ফল, খনিজ এবং লৌহ জাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। মনোযোগ বাড়ানোর জন্য শিশুদের প্রতিদিন দুই-একটা করে আপেল দেয়া যেতে পারে।
৫. ঘুমিয়ে নিন : অনেকক্ষণ ধরে পড়লে মস্তিষ্কের ওপর চাপ পড়ে। ফলে মস্তিষ্ক আর কাজ করতে চায় না। তখন কিছুটা সময় ঘুমিয়ে নিতে পারেন কারণ ঘুমিয়ে নিলে মস্তিষ্ক সতেজতা ফিরে পায়। একজন মানুষকে দিনে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হয়। এভাবে হালকা একটু ঘুম থেকে উঠে আবার পড়া শুরু করুন।