অবাক হবে জেনে ‘বুর্জ খলিফা’ তৈরি করেছে স্যামসাং

কর্তৃক প্রযুক্তি সারাদিন
0 মন্তব্য 440 ভিউজ

সারা বিশ্বে অভিনব সব স্মার্ট পণ্যের জয়জয়কার। এ সময়ের বিশ্ববাজারে বিক্রি হওয়া তিনটি স্মার্টফোনের মধ্যে একটি স্যামসাং ব্র্যান্ডের। অন্যদিকে প্রতি মিনিটে বিক্রি হয় একশটি স্যামসাং টিভি। আরো কিছু বিশালতা নিয়ে কাজ করছে স্যামসাং। নয়নাভিরাম দুবাই শহরে অন্যতম সৌন্দর্য ‘বুর্জ খলিফা’ভবন। উচ্চতা ২ হাজার ৭১৭ ফুট। পৃথিবীর বুকে বিশাল স্থাপত্যশৈলীর অনন্য দৃষ্টান্ত এ ভবন। এছাড়া পেট্রোনাস টাওয়ারের কথাও খুব বেশি যে অজানা তা নয়। এ ভবনের সাথেও মিশে আছে বিশালতার আরেক গল্প। অবাক হবে জেনে, এ দুটি ভবন নির্মাণের পেছনে আছে দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠান স্যামসাং। কারণ এ ভবনদ্বয় নির্মাণ করেছে স্যামসাং কন্সট্রাকশন এবং ট্রেডিং করপোরেশন। অভিনব উদ্ভাবনায় স্যামসাং আজ জীবনের অবিচ্ছেদ্য পণ্য সম্ভারের সৃষ্টিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। আসছে ২০২০ সালে আরো বেশি চমকের আগাম প্রত্যাশার কথাই জানান দিচ্ছে স্যামসাং।

গল্পের শুরুটা হয় ১৯৩৮ সালের ১ মার্চ। নতুন একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শুরু করেন লি বিয়ং চল। প্রতিষ্ঠানের নাম দেন ‘স্যামসাং ট্রেডিং কোম্পানি’। দক্ষিণ কোরিয়ার দায়েগু শহরে ৪০ জন কর্মচারি, কয়েকটি ট্রাক নিয়ে গ্যারেজে শুরু হয় আজকের বিখ্যাত স্যামসাং ব্র্যান্ডের সূচনা যাত্রা। দক্ষিণ কোরিয়া থেকে শুরু করে সারা বিশ্বে বর্তমানে ৮০টিরও বেশি ব্যবসা পরিচালনা করছে স্যামসাং। ব্যবসাগুলোর মধ্যে আছে অ্যাপারেল, অটোমোবাইল কেমিক্যাল, কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স, কম্পোনেন্ট মেডিক্যাল ইকুয়েপমেন্ট সার্ভিস, ডিআরএম, শিপমেন্ট, টেলি কমিউনিকেশন, ইকুয়েপমেন্ট অ্যান্ড হোম অ্যাপলায়েন্সের মতো পণ্য। সার্ভিসের মধ্যে আছে অ্যাডভার্টাজিং ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস হসপিটালিটি ইনফরমেশন, কমিউনিকেশন অ্যান্ড টেকনোলজি, সার্ভিসেস মেডিকেল হেলথ কেয়ার এবং শিপ বিল্ডিং।

এছাড়া স্যামসাংয়ের ভিন্ন ভিন্ন বহুমাত্রিক উৎপাদন বিভাগ আছে। যার মধ্যে আছে স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স, স্যামসাং ইঞ্জিনিয়ারিং, স্যামসাং সি অ্যান্ড ডি কর্পোরেশন, স্যামসাং হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ, স্যামসাং এসডিএস, স্যামসাং লাইফ ইন্সুরেন্স, স্যামসাং ফায়ার অ্যান্ড মেরিন ইন্সুরেন্স এবং স্যামসাং সিল ওয়াইল্ড সার্ভিস। দক্ষিণ কোরিয়ায় স্যামসাং হেলথ কেয়ারের ওপর সবচেয়ে বড় বিনিযয়োগ করছে। যার পরিমাণ ১০ কোটি ডলার। স্যামসাংয়ের নিজস্ব হাসপাতাল ও কেয়ার সেন্টার আছে। এসব কেন্দ্রে তারা নিজস্ব রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের কাজ করে যাচ্ছে। ১ হাজার ২০০ চিকিৎসক এবং ৩ হাজার ২০০ সেবিকা এখানে কাজ করছে।

0 মন্তব্য
0

তুমিও পছন্দ করতে পার

মতামত দিন