এখন খুব সহজেই একটি খুদে বার্তা পাঠিয়ে গ্রাহকেরা নিজের ব্যবহৃত মোবাইল বৈধভাবে বিদেশ থেকে আমদানি করা বা স্থানীয়ভাবে দেশে উৎপাদিত কি না সহজেই চিহ্নিত করতে পারবে। বৈধ বা অবৈধ মোবাইল যাচাইয়ে তথ্যভান্ডার চালু করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। তথ্যভান্ডার চালু হওয়ার পর গ্রাহকেরা মোবাইলের আইএমইআই নম্বরটি খুদে বার্তার মাধ্যমে একটি নম্বরে পাঠালে ফিরতি খুদে বার্তায় জানিয়ে দেওয়া হবে মোবাইলটি বৈধভাবে বিদেশ থেকে আমদানি করা বা স্থানীয়ভাবে দেশে উৎপাদন করা কি না।
বিটিআরসির তথ্যমতে, ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি থেকে বৈধভাবে বিদেশ থেকে আমদানি বা স্থানীয়ভাবে দেশে উৎপাদিত বেশির ভাগ মোবাইলের আইএমইআই নম্বর তাদের তথ্যভান্ডারে রয়েছে। এই সময়ের বাইরে কোনো মোবাইলের আইএমইআই নম্বর আপাতত পাওয়া যাবে না। তবে এখন থেকে বৈধভাবে বিদেশ থেকে আমদানি বা স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত মোবাইলের আইএমইআই নম্বর বিটিআরসির তথ্যভান্ডারে সংরক্ষণ করা হবে।এছাড়া বিটিআরসি নিজস্ব উদ্যোগে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) ব্যবস্থা তৈরি করছে, যেখানে নেটওয়ার্কে সচল থাকা মোবাইল স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হয়ে যাবে। পাশাপাশি বৈধ মোবাইল নিবন্ধন করা যাবে। অবৈধ মোবাইলগুলো দেশের নেটওয়ার্কে সচল না হয় সে দিকেও মনোযোগ দিচ্ছে বিটিআরসি।
বাংলাদেশ মোবাইল আমদানিকারক সমিতির (বিএমপিআইএ) সহায়তায় বিটিআরসি এই তথ্যভান্ডার তৈরি করেছে, যা ২২ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) উদ্বোধন করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। অনুষ্ঠানে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, বিটিআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জহুরুল হক, কমিশনার (তরঙ্গ) আমিনুল হাসান, বিএমপিআইয়ের সভাপতি রুহুল আলম আল মাহবুব বক্তব্য দেন। এতে মোবাইল অপারেটর ও টেলিযোগাযোগ খাত সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বিটিআরসি তথ্যমতে ২০১৮ সালে প্রায় ২ কোটি ৭৭ লাখ মোবাইলের অনুমোদন বা নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি) দেয়া হয়েছে। যা হিসেব করলে ২০১৮ সালে যত মুঠোফোন আমদানি করা হয়েছে, তার ৬০ শতাংশ ইতিমধ্যে তথ্যভান্ডারে এসেছে। বাকিটা শিগগিরই আসবে। বর্তমানে মোট বাজারের ২৫-৩০ শতাংশ মোবাইল অবৈধভাবে বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়, যার কারণে সরকার প্রায় ১০০০-১২০০ কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে । এর ফলে মোবাইল আমদানিকারকরা আশা করছেন অবৈধভাবে আমদানি করা মোবাইল বিক্রি কমে যাবে এবং সরকারের রাজস্ব আয়ও বাড়বে।
যেভাবে মোবাইল যাচাই করা যাবেঃ
নতুন মুঠোফোন কেনার আগে মোবাইলের ১৫ ডিজিটের আইএমইআই নম্বরটি অপর মুঠোফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে বড় অক্ষরে KYD স্পেস ১৫ ডিজিটের আইএমইআই নম্বরটি লিখে ১৬০০২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি খুদে বার্তায় বিটিআরসির তথ্যভান্ডারে পাঠানো আইএমইআই নম্বরটি আছে কি না তা গ্রাহককে জানিয়ে দেয়া হবে।