তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন তুলনামূলক বেশি। কারণ তৈলাক্ত ত্বক তুলনামূলক বেশি তেল উৎপন্ন ও নিঃসরণ করে। এতে করে সহজেই ত্বকে ব্রণের প্রাদুর্ভাবসহ অন্যান্য সমস্যাগুলো দেখা দেয়। তবে তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে শুধু বাহ্যিক পরিচর্যাই যথেষ্ট নয়। এর সাথে প্রয়োজন তেমন ধরনের উপকারী খাদ্য উপাদান গ্রহণ। জেনে রাখুন এমন চারটি উপকারী খাদ্য উপাদানের নাম যা তৈলাক্ত ত্বকের জন্য উপকারী ভূমিকা রাখবে।
আখরোট
ত্বকের জন্য উপকারী ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ আখরোট ত্বকে প্রাকৃতিক ব্যারিয়ার বা প্রতিরক্ষামূলক অবস্থা তৈরি করে। যা ত্বককে ক্ষতিকর প্যাথোজেন ও টক্সিন উপাদান থেকে রক্ষা করতে কাজ করে। বিশেষত আখরোটের স্বাস্থ্যকর ফ্যাট প্রদাহ প্রতিরোধ করতে কাজ করে। যা ত্বকের ব্রণ ও দাগ হওয়া থেকে রক্ষা করতে বিশেষ উপকারী। এছাড়াও এই বাদামের দ্রবণীয় আঁশ পাকস্থলীকে সুস্থ রাখে বিধায় ত্বকের সমস্যা তুলনামূলক কম দেখা দেয়।
পানি
শরীরকে সুস্থ রাখতে ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কার্যকারিতা সচল রাখতে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান আবশ্যিক। তবে এই পানি পান শুধু শরীরে পানিশূন্যতা রোধেই কাজ করে না, ত্বককে সতেজ রাখতে, ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতেও কাজ করে। তবে পানি ছাড়া চিনিযুক্ত কোন পানীয় গ্রহণ করা যাবে না। চিনিযুক্ত পানীয় ত্বকের উপর নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করে।
শসা
শসা থেকে খুব চমৎকার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান পাওয়া যায়, যা শরীরকে পুনঃআর্দ্রতা দান করে। ৯৫ শতাংশ জলীয় অংশে গঠিত এই প্রাকৃতিক উপাদানটি শরীর থেকে টনিক্স উপাদানকে ছেঁকে বের করে দিতে কাজ করে বলে, ত্বক তুলনামূলক সুস্থ ও ভালো থাকে। এছাড়া শসা তৈলাক্ত ত্বকের তেলকে শোষণ করে এবং ত্বককে ভালো রাখে।
কলা
ফলের মাঝে কলা বিশেষভাবে উপকারী তৈলাক্ত ত্বকের জন্য। কলাতে থাকা পটাশিয়াম, ফসফরাস ও ভিটামিন-এ ত্বককে সুস্থ রাখতে ও ভেতর থেকে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখে। এছাড়া কলাতে থাকা স্ট্রং ডিটক্সিফাইং উপাদান ত্বকের লোমকূপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং ত্বকে অতিরিক্ত ধুলাবালি প্রবেশ হতে বাধাদান করে।