বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্ন্যন ও সমবায় মন্ত্রণালয় স্থানীয় সরকার বিভাগ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন ফি নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন। এর ফলে আর কেউ অতিরিক্ত টাকা চাইতে পারবে না।
শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে শিশুর পিতা-মাতা,অভিভাবক বা নির্ধারিত অন্য কোন ব্যক্তি শিশুর জন্ম সংক্রান্ত তথ্য শিশু যে এলাকায় জন্ম গ্রহণ করেছে সেই এলাকার নিবন্ধককে দিবে। শিশুর নাম ঠিক করা না হলে নিবন্ধনের ৪৫ দিনের মধ্যে নাম ঠিক করে নিবন্ধকের কাছে দিতে হবে। দেরিতে নিবন্ধনের জন্য নির্ধারিত বিলম্ব ফি দিতে হবে।
কোন ব্যক্তি মারা গেলে মারা যাওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে ঐ ব্যক্তির স্ত্রী/স্বামী,পুত্র,কন্যা,অভিভাবক বা অন্য কোন ব্যক্তি মারা যাওয়ার খবরটি নিবন্ধককে জানাবেন। এক্ষেত্রেও দেরিতে বিলম্ব নিবন্ধনের জন্য নির্ধারিত ফি প্রদান করতে হবে।
জন্ম সনদের প্রয়োজনীয়তাঃ
• পাসপোর্ট ইস্যুর ক্ষেত্রে।
• বিয়ে রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে।
• শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির (ভর্তিকালীন জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদান সম্ভব না হলে ৪৫ দিনের মধ্যে জমা দিতে হবে) ।
• সরকারী-বেসরকারী বা স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ লাভের ক্ষেত্রে।
• ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যুর ক্ষেত্রে।
• ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভূক্তির ক্ষেত্রে।
• জমি রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে।
• বিধিদ্বারা নির্ধারিত অন্য কোন ক্ষেত্রে।
জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন না করলে আইন অনুযায়ী শাস্তি ভোগ করতে হবে। শাস্তি হিসেবে ৫০০ টাকা জরিমানা বা দুই মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড অথবা উভয়দন্ড হতে পারে।
তথ্যসূত্র
• জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন,২০০৪।
• জন্ম নিবন্ধন, বাল্যবিবাহ, বিবাহ রেজিস্ট্রেশন, প্রকাশক-জেন্ডার এ্যান্ড ডেভলপমেন্ট কমিউনিকেশন সেন্টার, স্টেপস টুয়ার্ডস ডেভলপমেন্ট।