আজকে এই পোস্ট এর মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন অনলাইনে আয় করার জন্য ১০ টি প্রধান উপায়। প্রথমেই বলে নেই অনলাইনে আয় করা খুব সহজ কাজ নয়। তবে অনলাইনের যে কোন একটা কাজ নিয়ে আগাইতে থাকলে এবং লেগে থাকলে অবশ্যই আয় করা সম্ভব। আমি সবাইকে একটা উপদেশ দেই। আরবিতে “লা-তাহযান”। বাংলায় “হতাশ হবেন না”। অর্থাৎ আপনি অনলাইনে কাজ করতে থাকুন, শিখতে থাকুন এক সময় অবশ্যই ভাল ফল পাবেন।কখনও কোন সময়ের জন্য হতাশ হবেন না।
অনলাইন এ আয় করার ১০ টি প্রধান উপায়ঃ
এবার আসি আসল কথায়। সত্যি বলতে অনলাইনে আয় করার যে কত উপায় আছে তা বলে শেষ করা যাবে না। তার মধ্যে ১০ টি প্রধান উপায় নিচে আলোচনা করছি। আপনাকে অবশ্যই এসবের যে কোন একটি উপায় বেছে নিতে হবে এবং সেটি নিয়ে ধৈর্য ধরে শিখতে হবে, সামনের দিকে যেতে হবে। কখনই হতাশ হওয়া যাবে না। ধৈর্য হারা হওয়া যাবে না। যদি এইসব গুন আপনার মধ্যে থাকে তাহলে এই পোস্ট টি আপনার জন্যই।
১। ব্লগ অ্যান্ড ব্লগিং
আপনার লেখালেখি করতে ভাল লাগলে আপনি একটি ব্লগ রান করতে পারেন। ব্লগ এ অ্যাডসেন্স যোগ করে আপনি আয় করতে পারবেন। অন্য এক পোস্টে এ বেপারে বিস্তারিত আলোচনা করব।
২। ওয়েব ডেভেলপিং অ্যান্ড প্রোগ্রামিং
আপনি প্রোগ্রামিং করেও অনেক আয় করতে পারেন। অনেক প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ আছে। নিচে তার কয়েকটি উল্লেখ করা হলঃ
- C programming language
- C++
- java
- php
- javascript
- python
- swift for apple osx
ওয়েব ডেভেলপিং এর জন্য HTML, CSS, javascript, jquery, php, java ইত্যাদি শিখতে পারেন। ওয়েব ডেভেলপিং এর জন্য বিভিন্ন CMS(content management system) শিখতে পারেন। যেমনঃ WordPress, joomla, Drupal, magento ইত্যাদি। যখন মনে করবেন কোন এক প্লাটফর্ম এ আপনি পারদর্শী হয়ে গেছেন তখন আপনি upwork, fiverr, peopleperhour, freelancer, guru, linkedIN jobs ইত্যাদি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ব্যাবহার করতে পারেন।
৩। গ্রাফিক্স ডিজাইন
গ্রাফিক্স ডিজাইন করেও আপনি আয় করতে পারেন। ফটোশপ এলাস্ট্রেটর এর কাজ শিখে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ নিয়ে আপনি আয় করতে পারেন। নিচের লিঙ্ক থেকে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
৪। কন্টেন্ট রাইটিং
কন্টেন্ট রাইট করেও আপনি ভাল আয় করতে পারবেন। আর এ জন্য আপনাকে অবশ্যই ইংলিশ রাইটিং এ দক্ষ হতে হবে। বেশির ভাগ মার্কেটপ্লেেসে ইংলিশ রাইটিং এর কাজ পাওয়া যায়।
৫। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
Amazon, aliexpress, ebay, walmart ইত্যাদি ইকমার্স সাইট থেকে কোন প্রোডাক্ট আপনার মাধ্যমে বিক্রি হলে সেখান থেকে আপনি কিছু কমিশন পাবেন। এটাই হল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। এভাবেও আপনি অনেক ইঙ্কাম করতে পারেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অনেক বড় একটা বেপার। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে আমরা পরে বিস্তারিত আলোচনা করব।
৬। ডিজিটাল মার্কেটিং
আপনি আপনার স্কিল ডেভেলপ করার পর আপনি আপনার নিজের একটা পোর্টফলিও বানাতে পারেন। সেই পোর্টফলিও মার্কেটিং করার মাধ্যমে আপনি অনেক ক্লায়েন্ট এর কাছ থেকে কাজ পেতে পারেন। লিঙ্কড ইন প্রোফাইল এর মাধ্যমেও আপনি কাজ পেতে পারেন। আপনি আপনার সেলফ মার্কেটিং করে ক্লায়েন্ট স্কাইপ এ নিয়ে এসে ডিসকাস করে কাজ নিতে পারেন।
৭। ডাটা এন্ট্রি এবং ভারচুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
ডাটা এন্ট্রি এবং ভারচুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজ শেখার জন্য ইউটিউব এ অনেক ভিডিও টিউটরিয়াল খুজে পাবেন। সেখান থেকে ভাল ভাবে শিখে স্কিল ডেভেলপ করুন। দিনে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা সময় দিলে আশা করি ১ মাসের মদ্ধেই আপনি পারদর্শী হয়ে উঠবেন। তারপর শুধু প্রফেশনাল কাজ প্রাকটিস করলেই আপনি দক্ষ হয়ে উথবেন।
৮। সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (SEO)
এস,ই,ও (SEO) এর সম্পূর্ণ অর্থ সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (Search Engine Optimization)। সহজ ভাবে বললে সার্চ ইঞ্জিনে শত শত ওয়েব সাইটের মধ্যে আপনার ওয়েবসাইট ভিজিএবল বা দেখানোর আসল পদ্ধতিই হলো সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন। সার্চ ইঞ্জিন আপনার ওয়েব সাইটে ট্র্যাফিক নিয়ে আসার পৃথিবীর একমাত্র স্বীকৃত পদ্ধতি। গুগল, বিং বা ইয়াহু এর মতো জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিনকে অপ্টিমাইজ করে আপনার ওয়েব সাইটে লিগ্যাল ট্র্যাফিক নিয়ে এসে আপনার সাইট বা ব্লগকে জনপ্রিয় করার একমাত্র পদ্ধতিই এই সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন।
৯। সিপিএ মার্কেটিং
সি. পি. এ. (CPA) এর পূর্ণ রূপ হল Cost per action, সি. পি. এ. (CPA) মার্কেটিং হল এক ধরনের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং যার মাধ্যমে আপনি কোন পণ্য বিক্রি এর পাশাপাশি ছোট কিছু কাজ যেমন ইমেইল সাবমিট, জিপ কোড সাবমিট, ডাউনলোড, সার্ভে ইত্যাদি কাজের মাধ্যমে অনলাইন থেকে আয় করতে পারেন। এজন্যই একে বলা হয়ে থাকে কস্ট পার অ্যাকশন তার মানে যে কোন অ্যাকশন ফুলফিল পূর্ণ করলেই আপনি কমিশন পাবেন।
১০। ইউটিউব মার্কেটিং
নিজে ইউনিক ভিডিও ক্রিয়েট করে ইউটিউব এ আপলোড করে এডসেন্স এর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।