শীতকাল এলেই সর্দি-কাশির সমস্যার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের বেশ কিছু সমস্যা দেখা দেয়। এই সময় ময়শ্চারাইজার ব্যবহার না করলে ত্বক ফাটতে পারে। একই কারণে পায়ের গোড়ালি বা পায়ের তলাও ফেটে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। ফাটা পায়ের তলা বা গোড়ালি নিয়ে হাঁটা চলা করাটাও বেশ কষ্টকর। ফাটা গোড়ালি নিয়ে রাস্তাঘাটে হাঁটা চলা করতে গিয়ে ত্বকের ফাটা অংশে ধুলো লেগে পরিস্থিতি আরও মারাত্মক হয়ে ওঠে।
এর জন্য বাজারে নানা রকমের ক্রিম পাওয়া যায়। কিন্তু সেগুলিতে ব্যবহৃত রাসায়নিকের জন্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার একটা আশঙ্কা থেকেই যায়। কয়েকটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন ঘরোয়া পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে পায়ের ফাটা গোড়ালির সমস্যা থেকে সহজেই রেহাই পাওয়া যেতে পারে। আসুন সেগুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
১) নারকেল ও কলার ফুট মাস্ক: পা ফাটার সমস্যা মারাত্মক পর্যায়ে চলে গেলে এই ফুট মাস্কটি ব্যাবহার করার চেষ্টা করুন। সমস্যার সমাধান হবে খুব দ্রুত।
উপকরণ: টুকরো করে কাটা কলা, লম্বা করে কাটা ৩-৪ টুকরো নারকেল।
পদ্ধতি: একটি কলা টুকরো করে নিয়ে এর সঙ্গে টাটকা ৩-৪ টুকরো নারকেল একসঙ্গে ব্লেন্ডারে দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন বা ভাল করে বেটে নিন। এর পর এই মিশ্রণটি পায়ের ফাটা জায়গায় ভাল করে লাগিয়ে নিন। প্যাক শুকিয়ে গেলে সামান্য উষ্ণ গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। যদি হাতের কাছে তাজা নারকেল না-ও পান তবে একটি কলা চটকে নিয়ে তাতে ২-৩ চামচ নারকেল তেল দিয়ে মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করেও লাগাতে পারেন। উপকার পাবেন।
২) চাল বাটা ও তেল: পা ফাটার সমস্যার সমাধানে সবচেয়ে কার্যকরী পদ্ধতি হচ্ছে প্রাকৃতিক স্ক্রাবার ব্যাবহার। ঘরোয়া ভাবে তৈরি এই স্ক্রাবটি প্রতিদিন ব্যাবহার করে খুব দ্রুত পা ফাটার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
উপকরণ: ২-৩ চামচ চাল, অলিভ অয়েল, সাদা ভিনেগার ও মধু।
পদ্ধতি: প্রথমে চাল একটু ভিজিয়ে রেখে ভাল করে বেটে নিন। খুব মিহি করে বাটবেন না। এর পর এর সঙ্গে ৩ চামচ ভিনেগার আর ২ চামচ মধু দিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন।