রোহিঙ্গাদের ওপর নজরদরি জন্য রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ২৪টি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার স্থাপন এবং ইউটিউব চ্যানেলের কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণ ও দেখভালের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে ইউটিউবের স্থানীয় সব চ্যানেল নিবন্ধনের আওতায় আনার কথা ভাবা হচ্ছে। দেশে বড় কোনো ঘটনা তদারকির জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করা হবে।
মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের পর গণমাধ্যমকে এ কথা জানান কমিটির প্রধান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। এ ছাড়া ভার্চুয়ালভাবে বৈঠকে যুক্ত হন আইন মন্ত্রী আনিসুল হক এবং নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী। বৈঠিকে অংশ নেন পুলিশের আইজি বেনজীর আহমেদ, র্যাবের মহাপরিচালক, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, দেশের বড় কোনো ঘটনা সঠিকভাবে তদারকির প্রয়োজনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হবে। দেশে বড় কোনো ঘটনা বা দুর্ঘটনা ঘটলে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এই সংক্রান্ত প্রতি এই কমিটির কাছে জমা দেবে। বৈঠকে আলোচনায় উঠে আসে যে, ইউটিউব চ্যানেল খুলে যে যার মতো কনটেন্ট ছেড়ে দিচ্ছে সোশ্যাল নেটওয়ার্কে।
প্রচলিত গণমাধ্যমের মতো চ্যানেলগুলো মনিটর করা সম্ভব হচ্ছে না বলে এক ধরনের ঝুঁকি থেকেই যায়। তাই চ্যানেলগুলোকে নজরদারির আওতায় আনার প্রয়োজনীয়তার ওপর বৈঠকে জোর দেওয়া হয়। স্থানীয় ইউটিউব চ্যানেলগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনার কথা ভাবা হচ্ছে বলে বৈঠকে জানান কমিটির প্রধান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
তিনি আরো বলেন, ইউটিউব ও ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে ঢাকায় একটি অফিস খুলতে বলবে সরকার।