ঋতু পরিবর্তন একটি সাধারণ নিয়ম হলেও এই ঋতু পরিবর্তনে বদলে যায় প্রকৃতি পরিবেশ। এই পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে না চলতে পারলে শরীরে দেখা দেয় নানা বিপত্তি। শীতে বড়দের তুলনায় শিশুরা একটু বেশিই ঝুঁকিতে থাকে। কিন্তু কিছু কার্যকর পদক্ষেপ শিশুদের রাখতে পারে বেশ সুরক্ষিত। যেমন :
♦ ঠাণ্ডাজাতীয় খাবার থেকে দূরে রাখুন। এই সময় ভুলেও তাদের ঠাণ্ডা কোনো খাবার খেতে দেবেন না, বিশেষ করে ফ্রিজে রাখা আইসক্রিম, ফল বা অন্য কোনো খাবার।
♦ হালকা গরম পানি পানের অভ্যাস করান। সম্ভব হলে অজু-গোসলেও গরম পানি ব্যবহার করুন। এটা পরিবারের সবাই করতে পারলে ভালো, বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা। এতে ঠাণ্ডা-জ্বর, গলা ব্যথাসহ টনসিল ফোলার মতো সমস্যা থেকে রেহাই মিলবে।
♦ অবশ্যই গরম কাপড় পরিধান করুন। বিশেষ করে গলা, হাত-পা ভালো করে ঢেকে রাখার চেষ্টা করুন। অসতর্কতাবশত শিশুরা হাত-পা এবং মাথার কাপড় খুলে ফেলে দেয়। তাই সতর্ক থাকুন।
♦ শীতকালে শিশু ঘন ঘন প্রস্রাব করে। এতে ঠাণ্ডা লেগে যেতে পারে। তাই শিশুকে ডায়াপার পরিয়ে রাখুন।
♦ শীতকালে সকালের রোদ খুব উপকারী। ছোট শিশুদের সকালের রোদে কিছুক্ষণ রেখে দিতে পারেন। এতে দেহে ভিটামিন ‘ডি’র চাহিদা পূরণ হবে, যা রোগমুক্ত থাকতে খুবই উপকারী।
♦ শীতে নিউমোনিয়া বা ব্রংকাইটিসের মতো সমস্যাও সৃষ্টি হতে পারে। শিশুদের জন্য দিনে কয়েকবার হাত-পা এবং মুখ হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে দিন অথবা ভেজা নরম কাপড় দিয়ে মুছে দিন।
♦ ময়লা জামাকাপড় পরাবেন না। এতে শীতের তেজ বেশি মেলে। এ সময় শিশুদের পোশাক নিয়মিত পরিষ্কার করুন, মাঝেমধ্যে রোদে দিন।
♦ যদি সম্ভব হয় হালকা গরম পানিতে প্রতিদিন গোসল করান এবং সেটা দুপুর ১২টার আগে। তবে এক দিন পর পর গোসল করালেও সমস্যা নেই। শরীর যেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে সে দিকটিও খেয়াল রাখুন।
♦ গোসলের পর ভালো করে অলিভ অয়েল বা বেবি অয়েল মাখিয়ে দিন।
♦ এ সময় শিশুরা বাসাবাড়িতে মাটিতে বা ফ্লোরে যেন খালি পায়ে না হাঁটে সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখুন। কারণ ঠাণ্ডা মাটি বা মেঝেতে হাঁটাহাঁটি করলে ঠাণ্ডা লেগে যেতে পারে। শিশুকে সব সময় জুতা পায়ে দেওয়ার অভ্যাস করান।
♦ শীতকালে যতটা সম্ভব পর্যাপ্ত ফলমূল খাওয়ার ব্যবস্থা করান। এ ক্ষেত্রে সিজনাল ফলমূল ভালো।
লেখক: শিশু বিশেষজ্ঞ