যে বিষয়গুলি ফ্রিজ কেনার আগে অবশ্যই মাথায় রাখবেন

কর্তৃক প্রযুক্তি সারাদিন
0 মন্তব্য 407 ভিউজ

নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন হোম এপ্লায়েন্স জিনিস গুলো আমাদের জীবনকে আরো সুন্দর ভাবে সাজাতে গোছাতে সাহায্য করে।বর্তমান সময়ে এ সকল হোম এপ্লায়েন্স ছাড়া আমাদের এক মুহূর্ত চলে না । বিশেষ করে আমরা যদি শহরের ভিতর বসবাস করি।তবে এখন প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে সকল হোম এপ্লায়েন্স এর সুবিধা পৌঁছে গেছে। সুতরাং সেখানকার মানুষ এর সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারছে। সেকারণে হোম এপ্লায়েন্স এর জিনিস গুলো খুবই গুরুত্ব প্রভাব ফেলছে৷

এবং হোম এপ্লায়েন্স জিনিস গুলোর ভিতরে সবচেয়ে বেশি যেটি আমাদের প্রয়োজনীয় সেটি হচ্ছে রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ । আমাদের প্রতিদিনের গ্রহণকৃত খাবারগুলো পচনশীলতার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজের উদ্ভব হয়েছে৷ রেফ্রিজারেটর একসময় বিলাসবহূল ছিল । বর্তমানে এটি বিলাসবহূল নয়।

সুতরাং সকল দিক বিবেচনা করে একটি রেফ্রিজারেটর কেনা আবশ্যক। এই আর্টিকেলে আপনাদের সাথে কিছু বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হবে, যেগুলো মাথায় রেখে রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ কিনতে হবে!

১.বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী কিনা?
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ফ্রিজ গুলো একদিকে পরিবেশবান্ধব অপরদিকে আপনার মাসির বৈদুতিক বিলের পরিমাণ অনেকাংশে কমিয়ে আনবে। একটি ফ্রিজ বিদ্যুৎ সাশ্রয় কিনা সেটি নির্ভর করে ফ্রিজে কোয়ালিটির ওপর । এখন আপনি কিভাবে বুঝবেন ফ্রিজ বিদ্যুৎ সাশ্রয় কিনা?

যদি ফ্রিজের গায়ে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় স্টার মার্ক দেওয়া থাকে তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে আপনার ফ্রিজটি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী৷ তবে ফ্রিজ গুলোর দাম তুলনামূলক একটু বেশি । তবে পরবর্তীতে এটি আপনাকে ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলের হাত থেকে রক্ষা করবে।

২.কম্প্রেসার এর মান কেমন?
একটি ফ্রিজ কেনার পূর্বে প্রথমে দেখতে হবে কম্প্রেসার এর মান কেমন?
কারণ একটি ফ্রিজের কম্প্রেসার যত উন্নত হবে ফ্রিজটি তত ভালো হবে কুলিং করতে পারবে৷ সাধারণত ভোল্টেজের ওঠানামা হলেও ভালো কম্প্রেসর যুক্ত ফ্রিজ গুলো ঠিকঠাকমতো কুলিং হয়।

৩.ফ্রিজের আকার কেমন এবং আপনার চাহিদা:
শুরুতেই বলে রাখি ফ্রিজের দাম যতই কম হোক না কেন বেশি আকারের ফ্রিজ নেওয়াটা কখনোই ঠিক হবে না। কারণ এটি নির্ভর করে আপনার পরিবারের চাহিদার ওপর৷ বড় আকারের ফ্রিজ কিনলে তা মোটেও বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয় না । সুতরাং বড় আকারের ফ্রিজ কিনে পরে ভুতোরে বিদ্যুৎ বিলের কবলে পড়তে পারেন।

৪.ফ্রস্ট নাকি নন ফ্রস্ট?
ফ্রস্ট এবং নন ফ্রস্ট ফ্রিজের মধ্যে একটি পার্থক্য রয়েছে। সেটি হচ্ছে ফ্রস্ট ফ্রিজ গুলোতে বরফ জমে এবং নন ফ্রস্ট ফ্রিজ গুলোতে বরফ জমে না। নন ফ্রস্ট ফ্রিজ এর মাধ্যমে খাবারের সতেজতা ক্ষয় হয় না৷ তবে নন ফ্রস্ট ফ্রিজের দাম তুলনামূলক বেশি । এবং এতে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ অপচয় হয়। ফ্রস্ট ফ্রিজ গুলোর দাম তুলনামূলক কম। এবং এতে খুব একটা বিদ্যুৎ অপচয় হয় না। ফ্রস্ট ফ্রিজ গুলো গ্রাম অঞ্চলে ব্যবহারের জন্য বেশ উপযোগী । সেখানে লোডশেডিং এর সমস্যা থাকতে পারে । তবে ৮-১০ ঘণ্টা লোডশেডিং থাকলেও খাবার নষ্ট হবে না।

অপরদিকে নন ফ্রস্ট ফ্রিজ গুলো শরহ অঞ্চলের মানুষদের জন্য উপযোগী । কারণ সেখানে লোডশেডিং এর সমস্যা খুব একটা থাকবে না। ফলে একদিকে খাবারও ভালো থাকবে এবং অপরদিকে খাবারের গুণগত মান বজায় থাকবে।

৫.ফ্রিজের ধারণক্ষমতা:
ধারন ক্ষমতা এবং ফ্রিজে আকার এই দুইটির মধ্যে একটি পার্থক্য রয়েছে৷ ফ্রিজের আকার বড় হলেই ধারণ ক্ষমতা বেশি হবে ব্যাপারটা ঠিক তেমন নয়৷ পূর্বে ধারণক্ষমতা বর্গফুটে পরিমাপ করা হলেও এখন লিটারে পরিমাপ করা হয়।

৬.ব্র্যান্ড
আপনার যদি পছন্দের কোন ব্র্যান্ড থাকে তাহলে সেখান থেকে ফ্রিজটি সংগ্রহ করে নিতে পারেন। তবে সে ক্ষেত্রে প্রথমেই রিভিউ দেখে নেবেন৷ এবং চেষ্টা করবেন নিকটস্থ আউটলেট থেকে আপনার সংগ্রহ করার । এতে ভবিষ্যতে ফ্রিজে কোন সমস্যা দেখা দিলে সাহায্য পাওয়া যাবে৷

0 মন্তব্য
0

তুমিও পছন্দ করতে পার

মতামত দিন