স্যোশাল মিডিয়া নিয়ে পাকিস্তান সরকারের নতুন নীতিমালার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে ডিজিটাল মিডিয়া জায়ান্টস ফেসবুক, টুইটার এবং গুগল (অন্যান্য আরো সংস্থা) নিয়ে গঠিত একটি জোট। পাকিস্তান সরকার নীতিমালা সংশোধন না করলে দেশটিতে সেবা বন্ধ করার হুমকিও দিয়েছে বলে জানা গেছে।
দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি মাসের শুরুতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কাছ পাঠানো এক চিঠিতে তাঁর সরকারের নতুন অনুমোদিত সোশ্যাল মিডিয়া আইন সংশোধন করার আহবান জানিয়েছে এশিয়া ইন্টারনেট কোয়ালিশন (এআইসি)।
ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বর্তমান আইন এআইসির সদস্যদের জন্য তাদের পরিষেবাগুলো পাকিস্তানি ব্যবহারকারী এবং ব্যবসায়ীদের প্রদান করা অত্যন্ত কঠিন করে তুলবে।’
নতুন আইনে সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলোকে ইসলামাবাদে অফিস চালু করা, তথ্য সংরক্ষণের জন্য সেখানে ডেটা সার্ভার স্থাপন করা এবং কর্তৃপক্ষের শনাক্তকরণের ভিত্তিতে কনটেন্ট মুছে ফেলা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পাকিস্তান কর্তৃপক্ষের এসব নিয়ম মেনে চলতে ব্যর্থ হলে সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলোকে ভারী জরিমানার আওতায় আনা ও এমনকি পরিষেবা বন্ধ করার মতো বিধান রাখা হয়েছে।
নিয়মগুলোকে ‘অস্পষ্ট এবং স্বেচ্ছাচারী’ হিসেবে উল্লেখ করে এআইসি বলেছে যে, এতে তাদেরকে ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রতিষ্ঠিত নিয়মগুলোর বিরুদ্ধে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে।
এআইসি চিঠিতে উল্লেখ করেছে, ‘আমরা সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণের বিরোধী নই এবং আমরা জানি যে, অনলাইনে বিষয়বস্তু পরিচালনা নিয়ে পাকিস্তানের ইতিমধ্যে একটি আইনি কাঠামো রয়েছে। তবে এই বিধিগুলো আন্তর্জাতিকভাবে মত প্রকাশ এবং গোপনীয়তার স্বীকৃত অধিকারের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েছে।’
নতুন আইনে, পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশ-বিদেশে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে টার্গেট করার জন্য দোষী পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে সন্দেহভাজন অ্যাকাউন্টগুলোর ডেটার অ্যাকসেস পেতে সহায়তা করবে। ১৫ দিনের মধ্যে আইন মেনে চলায় ব্যর্থতার ক্ষেত্রে, পরিষেবা স্থগিত বা ৫০০ মিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি (৩ মিলিয়ন ডলার) পর্যন্ত জরিমানা করার ক্ষমতা থাকবে।