রসুন হল পিঁয়াজ জাতীয় একটি ঝাঁঝালো সবজি যা রান্নার মশলা ও ভেষজ ওষুধ হিসাবে ব্যবহৃত হয়। রসুনের বৈজ্ঞানিক নাম হল অ্যালিয়াম স্যাটিভাম (Allium sativum)। প্রচলিত নিয়মে খাবারে রয়েছে রসুনের অনেক ব্যবহার। যে কোন খাবারের সাথে রসুন ব্যবহারের ফলে খাবারের অন্যরকম স্বাদ চলে আসে। খাবারের স্বাদ বাড়ানো ছাড়াও রসুনের রয়েছে পেটে মেদ ঝরানোর মত উপকারিতা। রসুনে থাকা ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি, ফাইবার, ম্যাংগানিজ এবং ক্যালসিয়াম শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। সম্প্রতি ‘জার্নাল অব নিউট্রেশন’ এ প্রকাশিত এক গবেষণাধর্মী রিপোর্ট বলা হয়েছে, কাঁচা রসুনে থাকা এক ধরনের কেমিক্যাল জাতীয় উপাদান মানব দেহে পেটের মেদ কমাতে সক্ষম।
কাঁচা রসুন খাওয়ার নিয়মঃ-
ঘুম থেকে উঠে সকালে খালি পেটে পানির সঙ্গে মিশিয়ে কাঁচা রসুন খাওয়া যেতে পারে। অনেকে কাঁচা রসুন এর ঝাঁঝ বা গন্ধের কারনে ঠিক মত খেতে পারেন না। কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস এর সাথে কাঁচা রসুন কুচি করে মিশিয়ে পান করতে পারেন। এভাবে নিয়মিত কাঁচা রসুন খেতে পারলে পেটের মেদ কমবে এবং শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। রসুনকে কাটলে অ্যালিনেজ নামে একটি উৎসেচক থেকে অ্যালিসিন তৈরি হয়। অ্যালিসিন দেহে কোলেস্টেরল তৈরিতে বাধা দেয় রান্না করলে অ্যালিনেজও নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। তাই ভেষজ গুণের জন্য কাঁচা রসুন বেশি উপকারী।
রসুনে আরও যেসব উপকার পাওয়া যায়ঃ-
রসুন অনেকক্ষণ পর্যন্ত এনার্জি ধরে রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত রসুন খাওয়ার ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার ইচ্ছা লোপ পায়। এতে থাকা ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব হেলথে প্রকাশিত এক গবেষণা মতে, রসুন রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া রসুন ১) কৃমি নাশক ২) শ্বাস কষ্ট কমায় ৩) হজমে সহায়তা করে ৪) প্রস্রাবের বেগ বাড়ায় ৫) শ্বাসনালীর মিউকাস বের করে দেয় ৬) এ্যাজমা রোগীর উপশম দেয় ৭) হাইপারটেনশন কমায় ৮) চুল পাকানো কমায় ৯) শরীরে কোলেস্টেরল লেভেল কমায়। ১০) হাড়ের বিভিন্ন রোগ সারায়।
বিদ্রঃ যাদের রসুন খাওয়ার ফলে এলার্জি হবার আশঙ্কা রয়েছে তারা কাঁচা রসুন খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এছাড়া যাদের রসুন খাওয়ার ফলে মাথা ব্যথার সমস্যা হয়, বমি বমি ভাব হয় বা অন্য কোন সমস্যা দেখা যায় তাদের কাঁচা রসুন না খাওয়াই ভাল।