জেনে নিন-এলার্জি প্রতিরোধের প্রাকৃতিক উপায়

কর্তৃক প্রযুক্তি সারাদিন
0 মন্তব্য 1000 ভিউজ

এলার্জি শব্দটা যদিও আজ আর কারও কাছে নতুন কিছু নয়, তবুও এটা সম্পর্কে সার্বিক ধারণা থাকা সবার জন্য অতীব জরুরি। কেননা শ্বাসকষ্ট, একজিমাসহ বহু চর্মরোগের জন্য দায়ী এই এলার্জি। ধূলাবালি, ফুলের রেনু, নির্দিষ্ট কিছু খাবার ও ঔষধ মানুষের শরীরে প্রদাহজনিত যে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে সাধারণভাবে তাকেই আমরা এলার্জি বলে জানি। এলার্জি শব্দটা অষষড়ং ও ঊৎমড়ং নামক দুটি গ্রীক শব্দের সমন্বয়ে তৈরি, সম্মিলিতভাবে যার অর্থ দাঁড়ায় পরিবর্তিত প্রতিক্রিয়া।

কিছু এলার্জেন (যা এলার্জি তৈরি করে) এর নাম
* মাইট (এমন কিছু যা পুরানো কাপড়ে জন্মায়)
* কুকুর, বিড়ালের পশম, প্রস্রাব ও লালা
* ফুলের রেণু
* ঘরের ধূলাবালি
* তুলা বা পাটের আঁশ
* পোকা মাকড়ের হুল
* স্যাঁতস্যাঁতে কার্পেট
* সিগারেটের ধোঁয়া
* ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া
* বিশেষ কোন খাবার
* হরমোন ইনজেকশন
* চুলের কলপ
* রঙ
* স্বভাব ইত্যাদি
তবে এই সবে সকলেরই যে এলার্জি হবে তা কিন্তু নয়। কিছু কিছু জিনিসে কারো কারো এলার্জি হতে পারে।

এলার্জির ঝুঁকি ও কারণ
শরীরে এলার্জিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ার যে অস্বাভাবিক প্রবণতা তার প্রকৃত কারণ ব্যাখ্যা করতে বিজ্ঞানীরা নানা ধরনের ভিত্তির উপর জোর দিয়ে থাকেন। যেমন- বংশগত কারণ দেখা যায় এলার্জি আক্রান্ত বাবা মার সন্তানেরাও এলার্জিতে আক্রান্ত হয় এবং তাদের এলার্জিতে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা নন-এলার্জিক বাবা-মা’র এলার্জিক সন্তান অপেক্ষা অনেক বেশি প্রকট। বাবা মা কেউ এলার্জিতে আক্রান্ত না থাকলেও সন্তানের মাঝে ১৫% আশংকা থেকে যায়। বাবা মা কেউ যদি এলার্জিতে আক্রান্ত থাকে তবে সন্তানের ৩০% আশংকা থাকে কিন্তু উভয়েই আক্রান্ত থাকলে তা বেড়ে ৬০% এর অধিক দাঁড়ায়। পরিবেশগত কারণ ঋতুজনিত কারণে (বিশেষ করে শীতকালে) বাতাসে যখন ফুলের রেণু বেশি থাকে তখন এলার্জির প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। শিল্পোন্নত দেশগুলোতে বাতাস দূষণের পরিমাণ বেশি হওয়াতে সেখানে এলার্জির প্রকোপও বেশি।

এলার্জি জনিত সমস্যা ও তার উপসর্গ
এলার্জিক রাইনিটিসঃ সাধারণভাবে যেটা হে ফিভার (যবু ভবাবৎ) নামে পরিচিত। এ ধরনের এলার্জিতে রোগীর অসম্ভব রকম হাঁচি হয় এজন্য এর নাম এলার্জি জনিত হাঁচি। বাতাসে অত্যধিক মাত্রায় ফুলের রেণু এর প্রধান কারণ। এছাড়াও ধূলিকণা, কুকুর ও বিড়ালের লোম, ছত্রাকের কারণেও এটা হতে পারে। নিঃশ্বাসের সাথে এই জাতীয় জীবাণু যখন নাকের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে, প্রদাহজনিত কারণে অভ্যন্তরীণ টিস্যুগুলো নানা ধরনের উপসর্গ প্রকাশ করে। নাক সংলগ্ন কান, সাইনাস এবং গলাও এই কারণে আক্রান্ত হয়।

উপসর্গঃ ক) নাক দিয়ে অনবরত পানি ঝরা খ) নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া গ) নাক চুলকানো ঘ) অসম্ভব রকম হাঁচি ঙ) কান ও গলা চুলকানো, খুসখুস করা ইত্যাদি। এলার্জিক এ্যাজমা বা হাঁপানীঃ কষ্টদায়ক এই এ্যাজমার বিভিন্ন কারণের মধ্যে এলার্জি অন্যতম। শ্বাস প্রশ্বাস জনিত এ সমস্যায় ফুসফুস ও এর অভ্যন্তরভাগে প্রদাহের সৃষ্টি হয়। এই প্রদাহ ফুসফুসে বাতাস প্রবেশের পথকে সংকীর্ণ করে, ফলে বাতাস ঢুকতে ও বেরুতে সমস্যার সৃষ্টি হয়।

উপসর্গঃ ক) প্রথম দিকে সর্দি কাশি বা শুকনো কাশি শুরু হয়, খ)ক্রমশ শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়, গ) নিঃশ্বাসে শো শো শব্দ হয় ঘ) দম বন্ধ হয়ে আসার উপক্রম হয় ইত্যাদি। এলার্জিক কনজাংকটিভাইটিস বা চোখের এলার্জিঃ শরীরের অন্যান্য অংশের মত চোখেও এলার্জির সৃষ্টি হয়। অক্ষিগোলকের চারপাশের পর্দায় এবং চোখের পাতার নীচের ভাগে এলার্জির কারণে প্রদাহ দেখা দেয়। ঋতু পরিবর্তনের সময় এ ধরনের এলার্জি বেশি দেখা যায়। কোনো ফুলের রেনু (যেমন বাঁশফুল, আতাফুল, ঘাসফুল, পেঁপের ফুল, সজনে ফুল, নারকেল ফুল ইত্যাদি) হাওয়ায় ভেসে চোখে লাগলে চোখের এলার্জি হতে পারে। এছাড়া কাজল, আইলাইনার, মাসকারা ইত্যাদি প্রসাধনও অনেক সময় চোখের এলার্জির কারণ হয়।

উপসর্গঃ ক) সমস্ত চোখ বিশেষ করে চোখের পাতার নীচে লাল হওয়া খ) চোখ চুলকে ফুলে ওঠা গ) চোখ ছলছল করা ও পানি পড়া। এলার্জিক একজেমাঃ ত্বক এলার্জিক কোনো কিছুর সংস্পর্শে এলে এটপিক ডার্মাটাইটিস বা একজেমায় আক্রান্ত হয় যা এলার্জিতে আক্রান্ত রোগগুলোর মধ্যে খুবই সাধারণ।

উপসর্গঃ ক) সমস্ত শরীর চাকাচাকা হয়ে লাল হয়ে ফুলে ওঠে ও ভীষণ চুলকায় খ) শরীরের ত্বক শুকনো ও রুক্ষ্ম হয়ে যায় এবং প্রচন্ড চুলকায় গ) বিশেষ করে বাচ্চাদের মুখে ও ঠোঁটের কোনে ঘা হয়, বড় ছেলেমেয়েদের বেলায় চোখের চারপাশে, কনুইয়ের ভাজে, হাঁটুর নীচে এবং বয়স্কদের শরীরের মধ্যভাগে ফুস্কুড়ি বের হয় ও চুলকায়।

হাইভস্ঃ এলার্জিক ও নন এলার্জিক উভয় ব্যক্তির শরীরেই হাইভস দেখা দিতে পারে। বিশেষ কোন খাবার বা ওষুধের কারণে শরীরের যে কোনো অংশের ত্বকে এই প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।

উপসর্গঃ ক) তীব্র চুলকানি খ) ত্বক লাল হয়ে ফুলে যাওয়া

এলার্জিক শকঃ কোনো কোনো এলার্জিক প্রতিক্রিয়া জীবনের জন্য হুমকী স্বরূপ, কেননা এটাতে একইসাথে শরীরের একাধিক জায়গা আক্রান্ত হয়। হরমোনাল ইনজেকশন বা কোনো পোকামাকড়ের হুল দ্বারা এ ধরনের প্রতিক্রিয়া হতে পারে।
উপসর্গঃ ক) দ্রুত শ্বাস নেওয়া, সাথে শো শো আওয়াজ হওয়া খ) গলা শুকিয়ে আসা গ) নাক বন্ধ হওয়া ঘ) ব্লাড প্রেসার কমে যাওয়া ঙ) সমস্ত ত্বক লাল বর্ণে রূপ নেওয়া।

ফুড (খাবার) এলার্জি ফুড এলার্জি বা খাবারের ফলে এলার্জিক প্রবণতার বেশ কিছু কারণ- * জন্মের পরপর একাধিকবার ডায়রিয়াজনিত রোগে ভোগা * জীবনের শুরুতেই নানাবিধ এন্টিবায়োটিক ঔষধ গ্রহণসহ যাদের পরিপাকতন্ত্র একটু দেরিতে পরিণত অবস্থার দিকে এগোয় তাদেরও খাবারে এলার্জি দেখা দেয় * কোন কারণে পাকস্থলীতে প্রদাহ দেখা দিলে এলার্জি বৃদ্ধি পায় * এছাড়াও কোনো কারণে পরিপাকতন্ত্রের ব্যাক্টেরিয়াল ফ্লোরা বিপর্যস্ত হলে ফুড এলার্জি দেখা দেয়। একারণে ডায়ারিয়া বা যে কোনো দীর্ঘ মেয়াদি অসুস্থতার সময় এবং তার থেকে অব্যাহতির পরে খাদ্য নির্ধারণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

খাবার থেকে এলার্জি দেখা দিলে তার ফল স্বরূপ সাধারণত আমবাত, একজিমা, শ্বাসকষ্ট, পেটের গোলমাল ও বমি দেখা দেয়।
বিরল এলার্জিঃ আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে মনের সাথে অসুস্থতার একটা অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক আছে, আর তাই মানসিক কারণেও অনেক সময় এলার্জি হতে পারে। টেনশন বা মানসিকচাপ বেড়ে গেলে গায়ে র‌্যাশ বেরোয়, হাঁচি বা কাশি হয় অথবা হাঁপানির টান ওঠে। ডাক্তারী ভাষায় এর নাম কোলিনার্জিক আর্টিকোরিয়া। কোনো মানুষ সম্পর্কে তিক্ত অভিজ্ঞতা থাকলে তাকে দেখা মাত্রই কারও মাঝে এলার্জিক প্রবণতা তৈরি হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। আর ঠিক এ কারণেই স্বামীর সাথে ঠিকমত বনিবনা না থাকলে কোনো মহিলার তার স্বামীকে দেখলেই গায়ে র‌্যাশ বেরোয় বা হাঁচি শুরু হয়। উত্তেজনা কমে গেলে বা বিরক্তিকর মানুষটি সামনে থেকে সরে গেলে এই সমস্ত উপসর্গও কমে যায়। অনেক সময় মানসিক কারণে বাড়াবাড়ি রকমের এলার্জি হতে পারে।

অনেকের রঙে এলার্জি দেখা দেয় অর্থাৎ বিশেষ কোনও রঙ দেখলে শরীর চুলকে ফুলে ওঠে। সহবাসের সময়ও অনেকের এলার্জি হয়। বিভিন্ন ধরনের কনডম এর একটি বিশেষ কারণ। এমন অনেক মানুষ আছে যাদের পানি থেকে এলার্জি হয়। এদের ক্ষেত্রে পানি খেলে গলার ভিতরে চুলকাতে থাকে এবং ফুলে ওঠে। গোসল করলে সমস্ত শরীরে র‌্যাশ বেরোয়। আরও মারাত্মক ব্যাপার হল এরা যদি পুকুরে ডুব দিয়ে গোসল করতে যান তবে শ্বাসনালীতে ইডিমা ও এলার্জি হয়ে অজ্ঞান হয়ে যান।

এলার্জি নিবারণে খাদ্য বিষয়ক নির্দেশনা
বায়োফ্ল্যাভনয়েড এগুলো প্রাকৃতিকভাবেই শাকসবজি ও ফলমূলে তৈরি হওয়া ফেনলের যৌগ যা এলার্জির বিরুদ্ধে কাজ করে। কোয়েরসেটিন বায়োফ্ল্যাভনয়েড গ্রুপের এক বিশেষ ধরনের রাসায়নিক উপাদান যা ফলের খোসা ও গাছের ছালে বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়। এর অন্য নাম মেলিটিন বা সফরেটিন, কোয়েরসেটিন তৈরি কমাতে সাহায্য করায় হিস্টামিন নির্গমনে বাধা দেয় যার ফলশ্রুতিতে এলার্জি দূরীভূত হয়। এছাড়াও এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে এ্যাজমা প্রতিরোধ করে ও প্রদাহ কমায়।

উৎসঃ পেঁয়াজ, রসুন ও আপেলের খোসা, জিংগোবা, লেবু জাতীয় ফল, ব্রকলি, গ্রীন টি, চেরী ফল, লাল ও কালো আঙ্গুর, কালো জাম, সবুজ শাক-সবজি, মধু (ইউক্যালিপ্টাসের ও চায়ের ফুল থেকে প্রাপ্ত), শিম জাতীয় ফল ইত্যাদি।

ব্রোমেলিনঃ শরীরে প্রদাহ জনিত প্রতিক্রিয়া কমায়। তবে কোয়েরসেটিনের সাথে মিলিতভাবে অধিক কার্যকর।
উৎসঃ আনারস

এন্টিঅক্সিডেন্টঃ এগুলো মানব শরীরে ও প্রকৃতিতে বিদ্যমান রোগ প্রতিরোধের অন্যতম হাতিয়ার। শরীরে ও প্রকৃতিতে তৈরি হওয়া এন্টি-অক্সিডেন্টগুলোর মধ্যে ভিটামিন সি অন্যতম যা শক্তিশালী এলার্জি প্রতিরোধক ও প্রতিষেধক উভয় গুণাগুণে ভরপুর। দিনে ৩ বার ১০০০-২০০০ মি. গ্রা. করে ভিটামিন সি গ্রহণ এলার্জি উপশমের অন্যতম উপায়।

ভিটামিন সি এর উৎস- কাঁচা মরিচ, বাঁধাকপি, আলু, লেবু, বাতাবী লেবু, কমলা লেবু, টমেটো, আঙ্গুর, পেয়ারা, কামরাঙ্গাসহ বিভিন্ন টক জাতীয় ফলে ভিটামিন সি পাওয়া যায়।

ভিটামিন এ এবং জিংক- এরা উভয়েই এলার্জি উপশমে সহায়ক যা পাকস্থলীসহ অন্যান্য প্রদাহজনিত স্থানের প্রদাহ কমায়।
ভিটামিন এ এর উৎস- বাঁধাকপি, ব্রকলি, লেটুস পাতা, পালংশাক, টমেটো, মটরশুটি, গাজর, কুমড়া, মিষ্টিআলু, ধনিয়া পাতা, পীচ, কলা, পেঁপে, তরমুজ, ভুট্টা ইত্যাদি।

জিংক এর উৎস- জিংক এর সবচেয়ে সমৃদ্ধ উৎস হল ওয়স্টার মাশরুম যা এখন আমাদের দেশের সর্বত্রই পাওয়া যায়। অন্যান্য যেসব খাদ্যে জিঙ্ক বিদ্যমান সেগুলো হল মিষ্টি কুমড়ার বীজ, শীম বীজ, বাদাম, সূর্যমুখীর বীজ ইত্যাদি। প্রাণিজ জিঙ্কের জন্য ভাল উৎস হল মুরগীর মাংস। এছাড়া শামুক, ঝিনুক ইত্যাদিতেও প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক পাওয়া যায়।

ক্যারোটিনয়েডঃ ক্যারোটিনয়েড হল উদ্ভিদের মধ্যস্থিত রঞ্জক বা রঙিন পদার্থ। এসবের মধ্যে ক্যারোটিন, বিটা ক্যারোটিন, লুটিন, লাইকোপেন, ক্রিপটোজেন্থিন এবং জিজেন্থিন আমাদের শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। এগুলো এলার্জিক প্রতিক্রিয়ার বিপরীতে কাজ করে।

উৎসঃ সবুজ, হলুদ অর্থাৎ রঙিন শাক শবজিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যারোটিনয়েড পাওয়া যায় যেমন গাজর, মিষ্টি কুমড়া, হলুদ, পালংশাক, ডাটা শাক ইত্যাদি।

ট্রিপটোফেনঃ সমৃদ্ধ খাবার যা সেরোটোনিনে পরিবর্তিত হয় তা এড়িয়ে চলতে হবে। যেমনঃ গরুর মাংস, চিংড়ী মাছ ইত্যাদি।

অন্যান্য
ঋষি মাশরুমঃ এই মাশরুমের এলার্জিক প্রতিক্রিয়া কমানোর এক অসাধারণ ক্ষমতা আছে। এটা হিস্টামিন তৈরিতে বাধা প্রদান করে ও প্রদাহ কমায়।
অনন্তমূলঃ এই গাছের পাতায় ও শিকড়ে টাইলোফিরিন নামে যে উপাদান থাকে তা এলার্জি জনিত শ্বাসনালীর প্রদাহসহ এ্যাজমার প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।
কুঁচিলাঃ এলার্জি থেকে রক্ষা পাবার এক অনন্য নাম কুচিলা। এই গাছে স্টিকনিন, ব্রুসিনসহ নানা মূল্যবান উপদান তৈরি হয়।

কোল্ড এলার্জি থেকে রক্ষার উপায়
একটু শীতেই অনেকে সর্দি, কাশি, গলা ব্যথায় ভোগেন যা কোল্ড এলার্জি নামে পরিচিত। এটা ঘাবড়াবার মত তেমন কিছু নয় এবং কিছু স্বাস্থ্য বিধি মেনে চললেই এ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। যেমন- * বেশি করে পানি পান করা
* বিশেষ পথ্যের দরকার নেই, তবে ফলের রস বিশেষত কমলা লেবু বা পাতি লেবুর রস খেলে উপকার পাওয়া যায়
* গরম পানির ভাপ নেওয়া অন্তত দিনে চারবার
* এক টুকরো মিছরি, লবঙ্গ বা আদা মুখে রাখা
* মধুর সাথে তুলসী বা বাসক পাতার রস মিলিয়ে খাওয়া
* সর্দি-কাশির সাথে গলা ব্যথা হলে এক গ্লাস গরম পানিতে এক চামচ লবণ দিয়ে দিনে ২ থেকে ৩ বার গার্গল বা কুলকুচা করা
* সমপরিমাণ মধু আর লেবুর রস মিশিয়ে ১০ মিনিট অন্তর বড় চামচের এক চামচ খেলে গলা ব্যথায় আরাম পাওয়া যায়
* ৫ গ্রাম শুকনো হলুদ গুড়ো, ২৫০ মি.লি. দুধ এবং ২ চামচ চিনি ১০ থেকে ১২ মিনিট ফুটিয়ে সে দুধ খেলে সর্দি কমে যায়
* আদা ও তুলশী পাতা এক গ্লাস পানিতে ফুটিয়ে তাতে এক কাপ মধু মিশিয়ে দিনে ৪ থেকে ৫ বার খেলে উপকার পাওয়া যায়
* খানিকটা পানি ফুটিয়ে তার সাথে একটি পাতি লেবুর রস আর অল্প চিনি বা লবণ মিশিয়ে গরম গরম খেলে আরাম পাওয়া যায়
* সর্দি-কাশি লেগে থাকলে ওল পোড়ার সাথে নারকেল কোরা ও ৫ থেকে ৭ ফোঁটা ঘি মিশিয়ে খেলে সর্দির দোষটা কেটে যাবে
উপরোক্ত টিপস্গুলো মেনে চললে ঠান্ডা একেবারে সেরে যাবে, তবে অবস্থার যদি খুবই অবনতি ঘটে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

0 মন্তব্য
0

তুমিও পছন্দ করতে পার

মতামত দিন