জিপি অ্যাকসেলারেটরের ষষ্ঠ ব্যাচের কার্যক্রম শুরু

কর্তৃক প্রযুক্তি সারাদিন
0 মন্তব্য 397 ভিউজ

গ্রামীণফোন অ্যাকসেলারেটর প্রোগ্রামের (জিপিএ) ষষ্ঠ ব্যাচের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বুধবার (৬ নভেম্বর) এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে স্টার্টআপগুলোর জন্য সাড়ে ৪ মাস মেয়াদি এই কার্যক্রম শুরু হয়।

ভবিষ্যৎ উদ্যোক্তাদের জন্যে ডিজাইন করা এই প্রোগ্রামে মূলত সেরা স্টার্টআপগুলোকে নির্বাচন করা হয়। স্টার্টআপসমূহ গ্রামীণফোন অ্যাকসেলারেটরের রিসোর্স বা সুযোগ-সুবিধাগুলো ব্যবহার করে বাছাই করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য।

গ্রামীণফোন অ্যাকসেলারেটর প্রোগ্রামের ষষ্ঠ ব্যাচে (প্রাক-অ্যাকসেলাটেরর -৪৭৬, অ্যাকসেলারেটর-৬৪৫) অন্তর্ভুক্তির জন্যে মাত্র ৩ সপ্তাহেই মোট এগারোশর বেশি আবেদন জমা পড়ে। আবেদনগুলো যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে নির্বাচিত ৪৫টি দলকে যথাযথ নিয়মানুযায়ী আমন্ত্রণ জানানো হয়। বুট-ক্যাম্পে অংশ নেওয়া দলগুলোর মধ্যে ৩৫টি দলকে পরবর্তী পর্বের জন্যে মনোনীত করা হয়। এই পর্যায়ে স্টার্টআপগুলোকে মুখোমুখি সাক্ষাতকার এবং পিচ প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বিস্তৃত পড়িসরে মূল্যায়ন শেষে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মোট ৯টি প্রতিষ্ঠান জিপি অ্যাকসেলারেটরের ষষ্ঠ ব্যাচের চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়।

তরুণদের জন্য এই ধরনের প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার জন্য গ্রামীণফোনকে ধন্যবাদ জানিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘২০২১ সালের মধ্যে তরুণদের জন্য ১০ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি করা হবে আর এই স্টার্টআপ কোম্পানিগুলোই আমাদের এই লক্ষ্য অর্জনে অন্যতম সহায়ক হবে। তরুণদের জন্য সরকারের সকল প্রকার সহায়তা অব্যাহত থাকবে।’

অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল ফোলি বলেন, ‘ডিজিটালাইজেশনের এই যুগে অবশ্যম্ভাবী পরিবর্তনসমূহের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার জন্যে নিজেদের উপযোগী করে তোলাই আমাদের জন্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের সকল পর্যায়ের ডেভেলপার, উদ্ভাবক এবং স্টার্টআপসমূহকে সহায়তা প্রদানের লক্ষে আমরা জিপি অ্যাকসেলারেটর প্রোগ্রামটি আয়োজন করে থাকি।’

গ্রামীণফোন অ্যাকসেলাটেরর ২.০ মূলত প্রাক-অ্যাকসেলাটেরর এবং অ্যাকসেলাটেরর এই দুটি ভাগে আয়োজন করা হয়ে থাকে। প্রাক-অ্যাকসেলারেটর দুই মাসের একটি আয়োজন। এতে অংশগ্রহণকারী দলসমূহ তাদের ব্যবসায় ধারণাটির যৌক্তিকতা প্রমাণ করে থাকেন এবং তাদের ব্যবসায় ধারণার মৌলিক দিকটি উপস্থাপন করে থাকেন। এই পর্যায়ে অংশগ্রহণকারীদের প্রশিক্ষণ এবং মেন্টরশিপ প্রদানের মাধ্যমে দলসমূহের ব্যবসায় ধারণাসমূহকে একটি ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে রূপ দেবার জন্যে এবং পণ্য কিংবা সেবা বাজারে বিক্রয়ের উপযোগী করে তুলতে সহায়তা প্রদান করা হয়। আর
অ্যাকসেলারেটর প্রোগ্রামটি সাড়ে ৪ মাসব্যাপী। এতে এমন দলগুলোই অংশগ্রহণ করে যাদের ইতোমধ্যেই বিক্রয় উপযোগী পণ্য কিংবা সেবা প্রস্তুত রয়েছে। নির্বাচিত দলসমূহ দেশী-বিদেশী মেন্টর, বিভিন্ন খাতের বিশেষজ্ঞ এবং পেশাজীবীদের সহায়তায় ব্যবসায়ের উন্নয়নের জন্যে খুবই দরকারি বিষয়সমূহ, যেমন টার্ম-শীট, ভ্যালুয়েশন, ফাইনেন্সিয়াল মডেলিং, ব্র্যান্ডিং ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। প্রোগ্রামের শেষ পর্যায়ে স্টার্টআপগুলোর ব্যবসায় সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিনিয়োগ নিশ্চিত সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের সাথে যোগাযোগ স্থাপনে সহায়তা করা হয়ে থাকে। আর্থিক পরিমাপে এই সহায়তা সমূহের বাজারমূল্য প্রায় ৬৫ লাখ টাকার সমান।

গ্রামীণফোন অ্যাকসেলারেটর প্রোগ্রামের কার্যকরী অংশীদার সীডস্টারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা পিয়েরে অ্যালাইন ম্যাসন বলেন, ‘গ্লোবাল স্টার্টআপ মানচিত্রে বাংলাদেশকে এক অনন্য অবস্থানে পৌঁছে দেবার অভিন্ন লক্ষ্যে বাংলাদেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের সাথে একত্রে কাজ করে চলেছে সীডস্টার। স্থানীয় স্টার্টআপসমূহকে এগিয়ে নিয়ে যেতে দারুণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে জিপি অ্যাকসেলাটেরর প্রোগ্রাম।’

এ প্রসঙ্গে জিপির হেড অব ইকোসিস্টেম মিনহাজ উদ্দিন আনোয়ার বলেন, ‘আমরা ব্যাচ-৬# বিয়ন্ড বাউন্ডারিজ এর নয়টি স্টার্টআপগুলোকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সহায়তা করতে আগ্রহী। তারা যেসব সমস্যাগুলোর মুখোমুখি হচ্ছে, সেই সমস্যাগুলোর সঠিক সমাধানে আমরা তাদের সহায়তা প্রদান করবো।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি ডিভিশনের স্টার্টআপ বাংলাদেশের বিনিয়োগ উপদেষ্টা টিনা জাবীন, বেসিস এর সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর, এমওএআর এর সহ প্রতিষ্ঠাতা নাবিলা নওরীন, গ্রামীণফোনের ডেপুটি সিইও ও সিএমও ইয়াসির আজমান, গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল ফোলি এবং অন্যান্য পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0

তুমিও পছন্দ করতে পার

মতামত দিন