মোবাইলে কথা বলা সময় মাঝে মাঝে আমাদের কল কেটে যায় বা মোবাইল নেটওয়ার্ক সিগনাল শুন্য হয়ে যায়। দিনে দিনে এর পরিমান বেড়ে যাচ্ছে। কারিগরি কোন ত্রুটির কারনে যদি মুঠোফোনের কল কেটে যায় তাহলে তাকে কল ড্রপ বলে। বিটিআরসির আইন অনুযায়ী শতকরা ২ শতাংশের বেশি কলড্রপ করা অপরাধ। বিটিআরসির টেস্ট ড্রাইভের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১ দশমিক ৩৮ শতাংশ কলড্রপ আইন বহির্ভূত ভাবে হচ্ছে। কলড্রপে কল চার্জ না কাটার ব্যাপারে হাইকোর্ট থেকে একটি নির্দেশনা রয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়ন কেন হচ্ছে না তা নিয়ে ভাবছে বিটিআরসি। কলড্রপের কারনে গ্রাহককে নানা রকম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
বর্তমানে দেশে তিনটি বেসরকারি মোবাইল প্রতিষ্ঠানের ৪টি মোবাইল অপারেটর রয়েছে। আর রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান রয়েছে ১টি অপারেটর। বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, কলড্রপে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে নরওয়ের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান টেলিনরের গ্রামীণফোন। যার পরিমাণ শতকরা প্রায় ৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান টেলিটকেরও কলড্রপের পরিমাণও আগের চেয়ে বেড়েছে। উল্লেক্ষ্য নরওয়ের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান টেলিনরের গ্রামীণফোন বছরে ৩ হাজার ৫ শত ২০ কোটি টাকা লাভ করে শুধুমাত্র বাংলাদেশ থেকে। তারপরেও বিশাল অংকের কল ড্রপের পরিমান হিসেবে তাদের কারিগরি ব্যর্থতার ইঙ্গিত দেয়। গ্রাহক স্বার্থরক্ষা ও রাষ্ট্রীয় আইন প্রয়োগে বিটিআরসি কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে সচেষ্ট হচ্ছে।