ম্যালওয়্যার কি সেটা নিয়ে আমাদের অনেকেরই বেশ কিছু ভুল ধারনা আছে।আর ভুল ধারনা থাকা কিন্তু মোটেও ঠিক নয়।তাই এই লেখাটি শেষ পর্যন্ত পড়ে ফেলুন। চলুন সবার আগে জেনে নেই যে আসলে ম্যালওয়্যার জিনিসটা কী সেই সম্পর্কে।ম্যালওয়্যার হলো সবার নাটের গুরু।অর্থাৎ যতসব ভাইরাস, ট্রোজান, স্পাইওয়্যার, ওয়ার্ম সবই এই ম্যলওয়্যারেরই বিভিন্ন ধরণ।
এবার চলুন জেনে নেই ম্যালওয়্যার কী কী কাজে ব্যবহার করা হয়।সবচেয়ে সহজ উত্তর হলো অন্যের ক্ষতি করার জন্য ম্যালওয়্যার ব্যবহার করা হয়।এজন্যই দৈনিক নতুন নতুন ম্যালওয়্যার তৈরি হচ্ছে।তবে আরও কারণ হিসেবে বলা যায় অন্যদের গোপন তথ্য হাতিয়ে নেওয়া।
তাহলে এবার হয়ত প্রশ্ন জেগেছে যে এটি কিভাবে আপনার ডিভাইসে কিভাবে প্রবেশ করতে পারে?ম্যালওয়্যার আপনার ডিভাইসে বিভিন্নভাবে প্রবেশ করতে পারে।যেমন অজানা ফাইল ডাউনলোড করার ফলে সেই ফাইলের সাথে আসতে পারে।আবার আপনি যদি এমন কোন ওয়েবসাইট এ যান যেটা নিজেই ম্যলওয়্যার দ্বারা সংক্রমিত তাহলেও আপনার ডিভাইসে ম্যলওয়্যার প্রবেশ করতে পারে।আবার একটা অসম্পূর্ণ লিঙ্কে প্রবেশের মাধ্যমেও আপনার ডিভাইসে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করতে পারে।
এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক কিছু পরিচিত ধরণের ম্যালওয়্যারের নাম ও কাজের ধরণ।
সবার আগে জেনে নেই ভাইরাস সম্পর্কে।বিশ্বের প্রায় সকল ভাইরাসই একটা অ্যাপ্লিকেশান অর্থাৎ এক্সিকিউটেবল ফাইলের সাথে সংযুক্ত থাকে।তার আম্নে আপনি যতক্ষণনা সেই ভাইরাস অ্যাপ্লিকেশানকে চালু বা ওপেন করছেন ততক্ষণ পর্যন্ত ভাইরাসটি আপনার ডিভাইসে থাকলেও কোন ক্ষতি করবে না। তাই আপনি যদি ভুল করে কোন ভাইরাসযুক্ত ফাইল নিজের ডিভাইসে নামিয়েও ফেলেন তাহলে আপনার কাছে একটা সুযোগ আছে একে থামানোর জন্য।ভাইরাস মূলত ইন্টারনেট থেকে কোন ফাইল নামানোর মাধ্যমে ছড়ায়।
এবার জেনে নেওয়া যাক ট্রোজান সম্পর্কে।ট্রোজানকে ছদ্মবেশী চোড় বললে মন্দ হবে না। কারণ এগুলো আপনার ডিভাইসে ভাল অ্যাপ্লিকেশানের রূপ ধরে থাকতে পারে।তাই প্রায় সবাই ট্রোজানকে বিশ্বাস করে সেটাকে চালু করে ফেলে।ট্রোজান শুধু আপনার গোপন তথ্যই চুরি করে না বরং এটি আপনার ডিভাইসে অন্যদের মানে হ্যাকারদের প্রবেশের পথ খুলে দেয়।
এবার আসি বেশ অনেকটাই কম পরিচিত তবে বেশ ভয়ঙ্কর একটি ম্যলওয়্যার যা র্যান্সোমওয়্যার নামে পরিচিত।এটি আপনার ডিভাইসকে জিম্মি করে রাখে এবং আপনার কাছে বিপুল পরিমাণ অর্থ চাওয়ার সাথে সাথে সব তথ্য চুরি করে নষ্ট করার হুমকিও দিয়ে থাকে।
স্পাইওয়্যার নামের মধ্যেই এর কাজের কিছুটা ধারণা পাওয়া যায়।এটি ব্যবহারকারীর উপর সবসময় নজর রাখে।যেমন আপনি কোন ওয়েবসাইট এ কেমন ট্রাফিক ব্যবহার করেছেন আর এটি আপনার টাইপিং এর গতিবিধিতেও নজর রাখতে পারে। অর্থাৎ আপনি যদি কোন ওয়েবসাইট এ গিয়ে সেখানে লগ-ইন করলে সেই স্পাইওয়্যার খুব সহজেই আপনার লগ-ইন করার তথ্য নিয়ে ফেলতে পারে।
ওয়ার্ম বা ইন্টারনেট ওয়ার্ম ভাইরসের মত না যে আপনি ওপেন না করলে চালু হবে না। এটি সাধারণত কম্পিউটার নেটওয়ার্কে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়।আর নেটওয়ার্কে ঢুকিয়ে দেওয়ার সাথে সাথেই এটি সক্রিয় হয়ে উঠে।এবং আপনার ক্ষতি সাধন করে।এটি আপনার নেটওয়ার্ককে ধীর গতি সম্পন্ন করে ফেলতে পারে।আবার আপনার অপারেটিং সিস্টেম বন্ধ করেও দিতে পারে।আর সবচেয়ে বড় বিষয় হলো এটি আপনার ডিভাইসে কোন অ্যান্টিভাইরাস ইন্সটল করতে দেবে না।
এগুলো হলো সবচেয়ে পরিচিত ম্যালওয়্যারের ধরণ।আর এগুলো প্রত্যেকেই বেশ ক্ষতিকারক। তবে এগুলোর থেকে বাঁচার উপায় কি?এই প্রশ্ন হয়ত অনেকের মনে জেগেছে।তবে বলি এগুলো থেকে রক্ষা পেতে হলে আপনার অপারেটিং সিস্টেমকে সবসময় আপডেট করে রাখতে হবে। আর নিশ্চিত করতে হবে যে আপনার ডিভাইসে সর্বশেষ ভার্সনের অ্যান্টিভাইরাস ইন্সটল করা আছে।উইন্ডোজ আর এন্ড্রোইডের তেমন চিন্তা নেই কারণ তাদের সিস্টেমেই অ্যান্টিভাইরাস দেওয়া থাকে।