বয়স বৃদ্ধির প্রভাব দেখা দিতে শুরু করে বাহ্যিকভাবেই।
চেহারায় যেমন বলিরেখা দেখা দেয়, তেমনিভাবে মাথায় দেখা দেয় পাকা চুল। কিন্তু সঠিক বয়সের আগেই অনেকের চুল পেকে যাওয়ার সমস্যাটি দেখা দেয়। এক্ষেত্রে জিনগত সমস্যা থাকার পাশাপাশি মেলানিনের অভাব, হরমোনের সমস্যা, মানসিক চাপ, কেমিক্যালজাত পণ্যের ব্যবহারসহ অনিয়মও দায়ী থাকে।
পাকা চুলের সমস্যা ঢাকতে চুল রঙ করে ফেলার আইডিয়াটা খুব একটা কার্যকর নয়। বরং একটা সময় পর পাকা চুল আরও বেশি দেখা দিতে শুরু করে। তাই পাকা চুলের সমস্যাটি প্রতিরোধ করতে ও কমিয়ে আনতে ব্যবহার করতে হবে প্রাকৃতিক উপাদান।
আমলকি পাউডার অথবা তেল
সুপার শপ কিংবা হারবাল পণ্যের দোকানগুলোতে খুঁজলেই আমলকি পাউডার পাওয়া যাবে। যদি আমলকি পাউডার পাওয়া না যায়, তবে ঘরেই আমলকি তেল তৈরি করে নেওয়া যাবে। এর জন্য প্রয়োজন হবে ৩-৪টি শুকনো আমলকি ও এক কাপ নারিকেল তেল। আমলকি ছোট টুকরা করে নারিকেল তেলে ১৫ মিনিট জ্বাল দিতে হবে। এরপর তেল ঠাণ্ডা করে কাঁচের পাত্রে সংরক্ষণ করতে হবে। এই তেল প্রতি একদিন অন্তর মাথার তালুতে ম্যাসাজ করতে হবে এবং সারারাত রেখে পরদিন শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে।
লাল চা
সাধারণ চা পাতা ২০ মিনিট সময় নিয়ে জ্বাল দিয়ে করা লিকার তৈরি করতে হবে। এবারে এই জ্বাল দেওয়া চা ঠাণ্ডা করে মাথার তালুতে ধীরে ধীরে দিয়ে ম্যাসাজ করতে হবে এবং চুলের নিচের অংশ পর্যন্ত নিয়ে আসতে হবে। আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করে চুল শুকিয়ে আসলে হারবাল ও মাইল্ড শ্যাম্পুতে চুল ধুয়ে নিতে হবে। সপ্তাহে ২-৩ বার এই নিয়মে লাল চা ব্যবহার করতে হবে।
নারিকেল তেল ও লেবুর রস
চুলের জন্য এই মিশ্রণটি তৈরিতে প্রয়োজন হবে দুই চা চামচ লেবুর রস ও দুই টেবিলচামচ নারিকেল তেল। উপাদান দুইটি একসাথে মিশিয়ে চুলা অল্প আঁচে ১০ মিনিট জ্বাল দিতে হবে। জ্বাল শেষে ঠাণ্ডা হলে মাথার তালুতে ম্যাসাজ করে ৩০ মিনিট রাখতে হবে। এরপর ফসালফার-ফ্রি শ্যাম্পুতে চুল ধুয়ে নিতে হবে।
মেথি
এক বাটি পানিতে দুই টেবিল চামচ মেথি সারারাতের জন্য ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালে মেথি বীজগুলো পানির সাথে বেটে নিতে হবে এবং ঘন পেস্ট তৈরি করতে হবে। এই পেস্টটি চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত ম্যাসাজ করে ৩০-৪৫ মিনিট রেখে দিতে হবে। এরপর সালফার-ফ্রি অথবা হারবাল শ্যাম্পুতে চুল ধুয়ে নিতে হবে।