করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এ বছর ডিভাইস বাজার বিশেষ করে পিসি, ট্যাব আর স্মার্টফোনের বাজারে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান গার্টনার বলছে, ২০২০ সালে বৈশ্বিক ডিভা্ইস শিপমেন্ট ১৩ দশমিক ৬ শতাংশ কমে যেতে পারে। এ বছর ১৯০ কোটি ইউনিট ডিভাইস বিক্রি হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে গার্টনার।
বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির সাম্প্রতিক পূর্বাভাসের ক্ষেত্রে পিসি, ট্যাব আর স্মার্টফোনকে ডিভাইস হিসেবে ধরা হয়েছে। ২০২০ সালে পিসি শিপমেন্ট ১০ দশমিক ৫ শতাংশ হ্রাস পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে নোটবুক, ট্যাবলেট এবং ক্রোমবুক এ বছর পিসি বাজারের তুলনায় ধীরে ধীরে হ্রাস পাবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তবে শুধু পিসি বাজার বিবেচনায় নিলে অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে।
গার্টনারের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, করোনাভাইরাস লকডাউন পরিস্থিতির কারণে বাড়ি বসে কাজ (ওয়ার্ক ফ্রম হোম) নতুন চল শুরু হলেও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ বেশি নোটবুক, ট্যাবলেট ও ক্রোম ডিভাইসে ঝুঁকেছে। গার্টনারের জ্যেষ্ঠ গবেষণা পরিচালক রঞ্জিত আটওয়াল বলেন, এই প্রবণতাটির সঙ্গে নমনীয় ব্যবসায়িক ধারাবাহিকতা পরিকল্পনা নিলে ২০২১ ও ২০২২ সালের মধ্যে ডেস্ক ভিত্তিক পিসিগুলোকে নোট স্থানচ্যুত করবে।
মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রে ২০২০ সালে শিপমেন্ট ১৪ দশমিক ৬ শতাংশ কমবে। এ বছর ১৩০ কোটি ইউনিট মোবাইল ফোন বাজারে আসবে। প্রতিবেদনে এমনকি বলা হয়েছে যে এ বছরে গ্রাহকেরা তাদের ফোনটি ব্যবহারের সময়কাল গড়ে ২.৫ বছর থেকে ২.৭ বছরে বাড়িয়ে তুলতে পারে।
আটওয়াল বলেন, ব্যবহারকারীরা লকডাউনের সময় সহকর্মী, অংশীদার, বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সংঙ্গে যোগাযোগের জন্য তাদের মোবাইল ফোন ব্যবহার বাড়িয়েছে। তবে আয়ের পরিমাণ হ্রাস হওয়ার ফলে কম গ্রাহকেরা তাদের ফোন আপগ্রেড করতে পারবেন।
প্রতিবেদনে বলা হয় , এ বছর বাজারে আসা মোট স্মার্টফোনের ১১ শতাংশ হবে ৫জি সুবিধার। সামগ্রিকভাবে, ৫জি ফোনের ব্যয় চীন বাদে বেশির ভাগ অঞ্চলে প্রভাবিত হবে, যেখানে ৫জি অবকাঠামোতে অব্যাহত বিনিয়োগ আশা করা হচ্ছে। এতে চীনা স্মার্টফোন সরবরাহকারীরা কার্যকরভাবে ৫জি ফোন বাজারজাত করতে পারবে।