হুয়াওয়ের বিশেষ প্রোগ্রাম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিকাশে

কর্তৃক প্রযুক্তি সারাদিন
0 মন্তব্য 335 ভিউজ

চীনভিত্তিক হুয়াওয়ে সম্প্রতি এক অনলাইন সম্মেলনে তাদের এশিয়া প্যাসিফিক পার্টনার অ্যাসেন্ড প্রোগ্রাম চালু করেছে। এ প্রোগ্রামের লক্ষ্য হলো এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলকে আরো ডিজিটাল ও ইন্টেলিজেন্ট করতে একটি উদ্ভাবনী ও টেকসই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ইকোসিস্টেম তৈরি করা।

হুয়াওয়ে আয়োজিত ‘অ্যাসেন্ড টু পারভেসিভ ইন্টেলিজেন্স’ প্রতিপাদ্যের অনলাইন সম্মেলনে সরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়িক নেতারা, এ খাতের বিশেষজ্ঞরা ও একাডেমিক স্কলারদের অংশগ্রহণে এআই নিয়ে তাদের সাফল্যের গল্প এবং এ খাতসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে তাদের পর্যবেক্ষণগুলো তুলে ধরেন।

সামিটে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হওয়া এশিয়া প্যাসিফিক অ্যাসেন্ড প্রোগ্রামটি তিনটি সাব-প্রোগ্রাম নিয়ে গঠিত। এ সাব-প্রোগ্রামগুলো হলো ইন্ডিপেন্ডেন্ট সফটওয়্যার ভেন্ডর এআই কোলাবরেশন, ইনস্টিটিউট অব হায়ার লার্নিং (আইএইচএল) এআই ট্যালেন্ট কালটিভেশন ও গভর্নমেন্ট এআই ইন্ডাস্ট্রি ডেভেলপমেন্ট।

উল্লিখিত প্রোগ্রামগুলোর মাধ্যমে হুয়াওয়ে ও অংশীদাররা এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোকে বিভিন্ন বিষয়ে সহায়তা করবে যার মধ্যে রয়েছে—এআই উন্নয়ন, বাজার অভিজ্ঞতা, গ্রাহক সুবিধাদানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ ও বহির্ভাগের কর্মীদের সঠিকভাবে ব্যবহার করে কীভাবে প্রতিযোগিতামূলক বাজারের সুবিধাজনক অবস্থানে থাকা যায় প্রভৃতি। ইন্ডিপেন্ডেন্ট সফটওয়্যার ভেন্ডর এআই কোলাবরেশন প্রোগ্রামের মাধ্যমে ইন্ডিপেন্ডেন্ট সফটওয়্যার ভেন্ডর (আইএসভি), উদ্ভাবক ও উদ্যোক্তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী নানা সুবিধা প্রদান করবে, যার মধ্যে রয়েছে—নন-রিকারিং ইঞ্জিনিয়ারিং ফান্ডিং (এনআরইএস), ক্লাউড রিসোর্স ভাউচার, অ্যাসেন্ড কমিউনিটির মাধ্যমে জ্ঞানের বিনিময়, হুয়াওয়ে এইচসিআইএ-এআই সার্টিফিকেশন এক্সাম-ভাউচার এবং গো-টু-মার্কেট নিয়ে সহায়তা। ইনস্টিটিউট অব হায়ার লার্নিং (আইএইচএল) এআই ট্যালেন্ট কালটিভেশন প্রোগ্রামের মাধ্যমে হুয়াওয়ে ফুল-স্ট্যাক অ্যাটলাস প্রযুক্তিগত সক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর এআই ডিসিপ্লিন খুলতে, এইআই নিয়ে আগ্রহীদের জ্ঞানের বিকাশে এবং এইআই নিয়ে একাডেমিক গবেষণার উন্নয়নে সহায়তা প্রদান করা হবে।

এ নিয়ে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের বিজনেস অ্যানালিটিক্স সেন্টারের ডেপুটি ডিরেক্টর হুয়াং ঝিইয়ং বলেন, ‘এআইয়ের এ যুগে, গবেষণা ও প্রতিভা বিকাশে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর ও হুয়াওয়ের মধ্যকার কৌশলগত অংশীদারিত্ব সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’

এ প্রোগ্রামটি এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোতে অ্যাসেন্ড প্রযুক্তি ব্যবহার করে এআই উদ্ভাবন সক্ষমতা বাড়াতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কারিগরি সহায়তাদান করবে। এছাড়াও হুয়াওয়ে এ খাতের সর্বোত্তম অনুশীলনীগুলো নিয়েও তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরবে এবং এআই ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্ট্যান্ডার্ডসের মতো নীতিসংক্রান্ত বিষয়েও সহযোগিতা করবে।

‘বিপিপিটি কর্তৃক প্রণীত ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় এআই কৌশল দেশের ‘গোল্ডেন ভিশন-২০৪৫’ অর্জনের পথে ইন্দোনেশিয়ার উদ্ভাবনমুখী দেশ হিসেবে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এক্ষেত্রে এইআই অপরিহার্য। এআইয়ের সর্বত্র উপস্থিতি আমাদের দেশকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়তা করবে বলে জানান এজেন্সি ফর দ্য অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাপ্লিকেশন অব টেকনোলজির (বিপিপিটি) প্রধান ড. আইআর হাম্মাম রিযা।

এ প্রোগ্রাম ও ইকোসিস্টেমের মাধ্যমে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলো অভূতপূর্ব ব্যবসায়িক সুযোগ উপভোগ করবে। অঞ্চলগুলোতে এআইয়ের বিকাশ, ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড এবং বিভিন্ন দেশের সহায়ক নীতি এআই কম্পিউটিংয়ের জন্য বাজার বিকাশের সুযোগ তৈরি করেছে।

0 মন্তব্য
0

তুমিও পছন্দ করতে পার

মতামত দিন