বাংলাদেশে দক্ষ ও পরিশ্রমী স্টার্টআপ তৈরি করতে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি সবধরনের সহযোগিতা দিবে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার। এজন্য দক্ষিণ কোরিয়ার মিনিস্ট্রি অফ জাস্টিসের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি সিউল ইন্টারন্যাশনাল ইনোভেশন ফেয়ার ২০১৯-এ দক্ষিণ কোরিয়ার মিনিস্ট্রি অফ জাস্টিস, আইসিটি ডিভিশন বাংলাদেশ, কোরিয়া ইনোভেশন প্রমোশন অ্যাসোসিয়েশন (কাইপা) এবং কোরিয়া প্রোডাক্টিভিটি সেন্টারের (কেপিসি) মধ্যে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়।
বাংলাদেশর পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রকল্প পরিচালক কাজী হোসনে আরা।
সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী গ্লোবাল স্টার্টআপ টু অন্ট্রাপ্রনর (জি-সেন) প্রোগ্রামের আওতায় বাংলাদেশের ৫টি স্টার্টআপ গ্রুপকে কোরিয়ায় নিয়ে গিয়ে স্টার্টআপ থেকে অন্ট্রাপ্রনর হওয়ার জন্য সবধরনের সহায়তা দিবে কেপিসি।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, দেশের তরুণ উদ্ভাবকদের কাজে লাগিয়ে বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশর স্থান আরও বেশি শক্তিশালী করার বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কোরিয়ার সহযোগিতায় বাংলাদেশের স্টার্টআপরা অনেক এগিয়ে যাবে বলে মনে করেন পলক।
স্টার্টআপ নির্বাচনে কোরিয়ার সাথে কাজ করছে বাংলাদেশ ফিস এক্সপার্ট লিমিটেড। সিউল ইন্টারন্যাশনাল ইনভেনশন ফেয়ার ২০১৮-এ সিলভার মেডেল বিজয়ী এই প্রতিষ্ঠানও বলছে নতুন চুক্তি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
প্রতিষ্ঠানটির কো-ফাউন্ডার ও সিইও শফিউল আলম জানান, যেখানে একজন স্টার্টআপ তার প্রোডাক্টটাকে মার্কেটের উপযোগী করে তৈরি করতে প্রায় দুই বছর সময় লেগে যায়, সেখানে বাংলাদেশর স্টার্টআপরা কোরিয়ার জি-সেন থেকে মাত্র ৬ মাসের মধ্যে মার্কেট রেডি প্রোডাক্ট তৈরিতে সহায়তা পাবে।
তিনি আরও জানান, তাছাড়াও তারা আন্তর্জাতিক প্যাটেন্টসহ নানা সহযোগিতা পাবে, যা স্টার্টআপদের অন্ট্রাপ্রনর হতে সাহায্য করবে। অল্পকিছু দিনের মধ্যই অনলাইন আবেদন এর মাধ্যমে স্টার্টআপ নির্বাচনের কাজ শুরু হবে বলেও জানান তিনি।
প্রতিষ্ঠানটির কো-ফাউন্ডার ও সিটিও তানিয়া তাহ্রিমা বলেন, ফিস এক্সপার্ট লিমিটেড কেপিসির পার্টনার হিসেবে কাজ করছে কারণ তাদের সঙ্গে আমরা দুই বছর ধরে কাজ করছি। বাংলাদেশের স্টার্টআপ কালচার এবং কোরিয়ার স্টার্টআপ কালচারের সঙ্গে আমারা খুব ভালোভাবে পরিচিত।
বাংলাদেশে দক্ষ স্টার্টআপ তৈরিতে কোরিয়ার পাশাপাশি অন্যদেশের সঙ্গেও একই ধরনের চুক্তি গড়তে কাজ চলছে বলে জানিয়েছে তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।