বর্তমানে স্মার্টফোন ব্যবহার করে না এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। আর বাজারে এসে গেছে বিভিন্ন ধরনের স্মার্টফোন৷ বিভিন্ন কোম্পানির স্মার্টফোন। যাতে ছেয়ে গেছে বাংলাদেশের স্মার্টফোন বাজার।
এর মধ্যে এক ধরনের স্মার্টফোন রয়েছে যেগুলোকে বলা হয় ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন । এখন এই ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন কি,সেই সম্পর্কে কিন্তু আমাদের সকলের তেমন ধারনা থাকে না৷ আর সে কারণেই আর্টিকেলে ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন কি, ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন কোন কাজে ব্যবহার করা হয়, ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন কোন কোম্পানি গুলো তৈরি করে তার বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
শুরুতেই বলে রাখা ভাল প্রত্যেকটি কম্পানি ফ্লাগশিপ ফোন তৈরি করে না। কিছু কোম্পানি রয়েছে যারা ফ্লাগশিপ ফোন তৈরি করে৷ আবার অনেকে রয়েছে যারা বাজেট মোবাইল ফোন তৈরি করে, আবার অনেকে রয়েছে যারা এ ধরনের ফোনের পাশাপাশি ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন তৈরি করে৷
তো ফ্লাগশিপ ফোন তৈরি করার মূল উদ্দেশ্য কি?
ফ্লাগশিপ ফোন তৈরি করার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ফোনটিতে যেসকল ফিচারস গুলো ব্যবহার করা হবে তাদের মধ্যে যেন একটা ব্যালেন্স থাকে। অর্থাৎ একটা কাট করে আরেক জায়গায় একটু বেশি অ্যাডভান্স এমনটা করা যাবেনা। সব জায়গায় সমানভাবে পরিমিত মাত্রায় ফোনটিতে ফিচারস থাকবে।
বাজেট সিগমেন্ট ফোনগুলোতে কিন্তু কোন না কোন ফিচারস কম বাড়া থাকে। এমন হতে পারে একটা যে ক্যামেরা পিক্সেল ভালো,কিন্তু সেটাতে ডিসপ্লে দিয়েছে খারাপ। কিংবা হয়তো বা ডিসপ্লের প্রটেক্টর দিয়েছে খারাপ। আবার ডিসপ্লে ভালো তবে গেমিং এক্সপেরিয়েন্স স্মুথ নয়।
সোশ্যাল মিডিয়ার সাইটগুলো ব্রাউজ করতে গেলে নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়৷ কিন্তু ফ্লাগশিপ ফোন গুলোতে কেমন হবে না। এখানে ফিচার ব্যালেন্স করা হবে। শুধু যে ব্যালেন্স করা হবে তাই নয় তার পাশাপাশি প্রত্যেকটি ফিচার থাকবে হাই কোয়ালিটির।
এখন আপনার ফোন কিনতে গেলেন। ফোন কিনতে গিয়ে দেখলেন যে আপনার ক্যামেরা পছন্দ হয়েছে তো ডিসপ্লে পছন্দ হচ্ছেনা৷ ডিসপ্লে পছন্দ হচ্ছে তো ফোন এর ডিজাইন পছন্দ হচ্ছে না৷ এবং এই ধরনের সিচুয়েশনে যাতে আপনাকে না পড়তে হয় সে কারণে কিছু মোবাইল ফোন কোম্পানি লো বাজেট এবং মিড বাজেটের পাশাপাশি এমন কিছু ফোন তৈরি করে যাতে অলরাউন্ডিং একটি প্যাকেজ থাকে ।
এখন আপনার প্রশ্ন আসতে পারে কেন সকল ফোন কোম্পানিগুলো ফ্লাগশিপ ফোন তৈরি করে না?
এর মূল কারণটি হচ্ছে বাজেট৷ বুঝতে পারছেন ফোনগুলোতে যে ধরনের ফিচার্চ ব্যাবহার করা নয় খুব হাই কস্ট এবং ব্যালেন্সড ভাবে দেয়া হয়েছে। সে কারণে এই ফোন গুলো খুবই হাই এক্সপেন্সিভ। তবে সাম্প্রতিক সময়ে কিন্তু কিছু চাইনিজ কোম্পানি রয়েছে যারা আমাদের খুবই অল্প দামে ফ্লাগশিপ ফোন ব্যবহার করার সুযোগ দিচ্ছে। যেমন স্যামসাং গ্যালাক্সি এস টুয়েন্টি সিরিজের ফোন,আবার এস ২৯ লোট সিরিজের ফোন।
এছাড়াও ওয়ানপ্লাস এর এইট প্রো এ ধরনের ফোনগুলো কিন্তু খুবই কম মূল্যের ভেতরে আপনাকে ফ্লাগশিপ ফোন এর স্বাদ গ্রহণের সুযোগ করে দেবে।
এই ধরনের ফোনের স্পেসিফিকেশনের দিকে যদি আপনি লক্ষ্য করেন তাহলে দেখবেন এই ধরনের ফোনের ফিচারস গুলোর ভেতরে বড় ধরনের কোনো ল্যাক নেই । যেমন হয়তো ক্যামেরা খুব উন্নত, তবে ডিসপ্লে খুবই খারাপ এ ধরনের কিন্তু বড়োসড়ো কোন পার্থক্য নেই । সব কিছুই কিন্তু ব্যালেন্সড ভাবে দেওয়া হয়েছে৷ বাংলাদেশে এখন এই ফোন গুলোর বেশ চাহিদা রয়েছে।
এখন এই ধরনের ফোনগুলো কতদিন পরপর লঞ্চ করে?
সাধারণত এক বছরের মাথায় অধিকাংশ ফ্লাগশিপ ফোন তৈরির কোম্পানিগুলো তাদের ফ্লাগশিপ ফোন লঞ্চ করে । তবে এর আগে অথবা এরপরেও লঞ্চ করতে পারে।
সত্যি কথা বলতে যে সকল কোম্পানিগুলো ফ্লাগশিপ ফোন তৈরি করে তারা তাদের কোম্পানিগুলোকে রিপ্রেজেন্ট করে। তাদের কোম্পানির মুখপাত্র হিসেবে কাজ করে ফ্ল্যাগশিপ ফোনগুলি!