ইনস্টাগ্রামের ছবি পোস্টে ব্যবহৃত অগমেন্টেড রিয়েলিটি (এআর) ফিল্টারিং ফিচারটি কসমেটিক সার্জারির প্রচারণা এবং ইউজারদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতিসাধন করছে। এজন্য ইনস্টগ্রামের প্ল্যাটফর্ম থেকে সব এআর ফিল্টার সরিয়ে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এআর ফিল্টার এফেক্ট ব্যবহারের ফলে ছবিকে কৃত্রিমভাবে বিকৃত করা হয়। এরমধ্যে ঠোঁটে ইঞ্জেকট করা, মুখের অবয়ব থেঁতলে দেওয়া ইত্যাদি। ইতোমধ্যে এসব ফিচারগুলো বন্ধ করে দিয়েছে ইনস্টাগ্রাম।
গবেষকরা বলছেন, মুখের অবয়ব পরিবর্তন করা এই ফিচারটি মানুষের মনে তার চেহারা সম্পর্কে একটা খারাপ অনুভূতি তৈরি করবে। এ থেকে যেকোনো ধরনের বড় বিপর্যয় ঘটতে পারে।
ইনস্টাগ্রামের এক মুখপাত্র ব্লগ বিবৃতিতে জানান, তারা প্রতিষ্ঠানটির নীতিমালা পুনরায় বিবেচনা করে দেখছে। তারা চাইছে এই ফিল্টারটি যেনো মানুষ ইতিবাচক দিক থেকে ব্যবহার করে। পুনরায় বিবেচনার সময় সকল এফেক্ট বন্ধ করে দেবে এবং ভবিষ্যতে এরকম কোনো ফিচার আসলে তা খতিয়ে দেখবে।
অগমেন্টেড রিয়েলিটি (এআর) ফিল্টার এফেক্টের মধ্যে বহুল ব্যবহৃত একটি ফিচার হচ্ছে প্লাস্টিকা। যা হুবহু কসমেটিক সার্জারির প্রভাবগুলোকে তুলে ধরে। অন্য একটি ফিল্টার হচ্ছে ফিক্সমি। এখানে দেখা যায়, কিভাবে একজন কসমেটিক সার্জন রোগীর মুখে সার্জারির পূর্বে বিভিন্ন রঙ্গের কালি দিয়ে দাগ টানেন।
এবছরের ফেব্রুয়ারিতে ইনস্টাগ্রাম ঘোষণা দিয়েছিল, তাদের প্ল্যাটফর্মে প্রকাশিত সকল ধরনের ক্ষতিকর গ্রাফিক কনটেন্ট মুছে দেওয়া হবে।
ফেসবুকের আওতাধীন ছবি শেয়ার করার অন্যতম জনপ্রিয় একটি সোশ্যাল মিডিয়া এই ইনস্টাগ্রাম। বিশ্বব্যাপী যার ১০০ কোটিরও বেশি ইউজার রয়েছে।
সূত্র: বিবিসি