সমান্তরাল আরেক মহাবিশ্বে সময় ধায় পেছন পানে

কর্তৃক প্রযুক্তি সারাদিন
0 মন্তব্য 428 ভিউজ

কল্প বিজ্ঞানের কাহিনী নয়, সত্যি সত্যি সমান্তরাল মহাবিশ্ব বা প্যারালাল ইউনিভার্সের আভাস পেয়েছেন বলে দাবি করছেন নাসা বিজ্ঞানীরা। পদার্থবিজ্ঞানের প্রচলিত নিয়মকানুন উল্টো চলে সেখানে, অন্তত তা-ই বলছেন তারা। নিউ ইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদন বলছে, অ্যান্টার্কটিকায় এক গবেষণা চালানোর সময় ওই প্রমাণ উপাদান নজরে আসে নাসা বিজ্ঞানীদের।

নাসার ‘অ্যান্টার্টিক ইমপালসিভ ট্রানজিয়েন্ট অ্যান্টেনা’ (আনিটা) হলো এক ধরনের তরঙ্গ শনাক্তকরণ যন্ত্র যা বেলুনে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে দক্ষিণ মেরুর বাতাসে। অ্যান্টার্কটিকার জলবায়ু শুষ্ক এবং ঠাণ্ডা হওয়ায় সেখানকার বাতাসে মহাজাগতিক রশ্মি প্রায় অবিকৃতভাবে শনাক্ত করতে পারে এই অ্যান্টেনা।

আনিটা ২০০৬ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যবর্তী সময়ে ঝর্ণার মতো বেরিয়ে আসা উচ্চ শক্তিসম্পন্ন কণার খোঁজ পেয়েছিল। কিন্তু বরফ থেকে নিঃসরিত ওই কণাকে সে সময় প্যারালাল মহাবিশ্বের প্রমাণ হিসেবে মেনে নেননি গবেষকরা। স্রেফ ‘ব্যাকগ্রাউন্ড নয়েজ’-এর তকমা দিয়ে বিষয়টিকে বাতিল করে দেন তারা।

পরে ২০১৬ সালের এক গবেষণায় উঠে আসে ভিন্ন তথ্য। গবেষকরা দেখেন ওই কণার সঙ্গে ‘উল্টো মহাজাগতিক রশ্মি’র মিল রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা এখন বিশ্বাস করছেন, ওই কণাগুলো আদতে সময়ের উল্টোদিকে ধাবিত হচ্ছে। আর সেটি সম্ভব যদি কাছাকাছিই একটি সমান্তরাল মহাবিশ্ব বা প্যারালাল ইউনিভার্স থেকে থাকে। এবং ওই মহাবিশ্বে পদার্থবিজ্ঞানের প্রচলিত নিয়ম চলে ‘উল্টো পথে’।

“প্রথমে মহাজাগতিক রশ্মির মতো কিছু একটা আমাদের মনে হয়েছিল যেটি বরফের আস্তরে প্রতিফলিত হচ্ছে। কিন্তু এটি কোনো প্রতিফলন ছিল না। বরফের ভেতর থেকে বের হয়ে আসছিল ওই মহাজাগতিক রশ্মি”। – বলেছেন ইউনিভার্সিটি অফ হাওয়াই-এর পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক পিটার গরহ্যাম।

গবেষকদের দলনেতা অধ্যাপক গরহ্যাম আরও বলেছেন, “খুবই অদ্ভুত একটি ব্যাপার। তাই আমরা বিষয়টি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছি। সেখানে আমরা জানিয়েছি, পদার্থবিজ্ঞানের আদর্শ মডেলের সঙ্গে যথেষ্ট টানাপোড়েন রয়েছে এর”।“অনেকেই ওই অনুমানের ব্যাপারে স্বস্তি বোধ করেননি”। – স্বীকার করেছেন গরহ্যাম।

“গবেষণা বলছে, ওই তরঙ্গ উপরের দিকে ধাবমান কোনো কণা থেকে এসেছে যা বরফ থেকে নিঃসরিত হওয়ার আগে পৃথিবী ভেদ করে এসেছে। অথচ মহাজাগতিক রশ্মির বেলায় এতো বড় মাপে এমনটি ঘটার নজির নেই। একটি সম্ভাব্যতা হতে পারে, কোনো উজ্জ্বল সুপারনোভার বিস্ফোরণে এই মহাজাগতিক রশ্মি পৃথিবী পর্যন্ত চলে এসেছে”। – লেখা হয়েছে ইউনিভার্সিটি অফ হাওয়াই-এর এক প্রতিবেদনে।

0 মন্তব্য
0

তুমিও পছন্দ করতে পার

মতামত দিন