বৈশ্বিক সোস্যাল মিডিয়া জায়ান্ট ফেসবুক ইউরোপে তাদের কোর অ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামের কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে পারে। আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে প্রতিষ্ঠানটি কীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ডাটা পাঠায়, সে প্রক্রিয়া আক্রান্ত হলে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে। খবর বিজনেস ইনসাইডার ও গার্ডিয়ান।
ইউরোপে ফেসবুকের মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪১ কোটি ছাড়িয়েছে। সম্প্রতি আইরিস ডাটা প্রোটেকশন কমিশনের (ডিপিসি) সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে আদালত পর্যন্ত যেতে হয়েছে ফেসবুককে। দেশটি ফেসবুকের বিরুদ্ধে ডাটা সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ব্যর্থতার অভিযোগ এনেছে।
গত জুলাইয়ে ইউরোপের বিচার বিভাগীয় আদালতের এক রায়ে বলা হয়, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্য পাওয়ার অপতত্পরতার বিরুদ্ধে সুরক্ষা নিতে ফেসবুকের পদক্ষেপ পর্যাপ্ত নয়। এ রায়ের পরই চলতি মাসের শুরুতে আয়ারল্যান্ডের ডাটা সুরক্ষা কমিশন তথ্যের গোপনীয়তার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ইইউ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফেসবুকের তথ্য স্থানান্তর করার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়েছে।
আইরিস পর্যবেক্ষক সংস্থার এমন হুমকির পরই ডাবলিনের উচ্চ আদালতে একটি এফিডেভিট করেছে ফেসবুক। যেখানে ফেসবুকের বিরুদ্ধে দেয়া ডাটা সুরক্ষা কমিশনের প্রাথমিক আদেশের চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে।
ডিপিসির এমন অবস্থানের কারণে ইউরোপ থেকে কার্যক্রম গুটিয়ে নিতে ফেসবুক বাধ্য হবে উল্লেখ করে আয়ারল্যান্ডে প্রতিষ্ঠানটির ডাটা সুরক্ষা বিভাগের প্রধান এবং অ্যাসোসিয়েট জেনারেল কাউন্সিল ইভোনি কুনানি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ডিপিসির প্রস্তাব অনুযায়ী, ফেসবুককে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদান পুরোপুরি বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এটা কোনোভাবেই স্পষ্ট না যে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদান ব্যতীত ইউরোপে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের কার্যক্রম কীভাবে পরিচালনা করা সম্ভব।
তবে ফেসবুকের একজন মুখপাত্র এখনই এটিকে হুমকি হিসেবে না দেখার কথা বলছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ফেসবুক ইউরোপ থেকে কার্যক্রম গুটিয়ে নেয়ার হুমকি দিচ্ছে না। বরং তারা আইরিশ উচ্চ আদালতে আইনি কাগজপত্র জমা দিয়েছে। যেখানে এ বিষয়টি সহজভাবেই উল্লেখ করা হয়েছে যে কেবল ফেসবুক নয়, বরং অন্য যেকোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সংগঠন ও সেবা সম্পর্কিত বিষয়গুলো পরিচালনা করার জন্য ইইউ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তথ্যের আদান-প্রদানের ওপর নির্ভরশীল।