ফুটো বাড়ছেই ওজন স্তরের

কর্তৃক প্রযুক্তি সারাদিন
0 মন্তব্য 377 ভিউজ

করোনার দাপটে দীর্ঘ লকডাউন পৃথিবীর প্রায় অর্ধেকাংশে। যার জেরে দূষণের অভিশাপকে কিছুটা রোধ করা গিয়েছে বলে হাতে-কলমে প্রমাণ মিলছে। কিন্তু সত্যিই কি তাই? এরই মধ্যে আরেক আশঙ্কার কথা শোনাল পরিবেশ বিজ্ঞানীদের একটি দল। মাসখানেক ধরে সুমেরু অঞ্চলের বায়ুমণ্ডলের ওজন স্তরে তৈরি হয়েছে একটি বড়সড় ছিদ্র। যার কারণ এখনও স্পষ্ট নয় তাদের কাছে।

ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির (ESA) একদল বিজ্ঞানীর মতে, ওজন স্তরে এত বড় মাপের ছিদ্র তৈরি হওয়া ব্যতিক্রমী ঘটনা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়ছে। আর এই ছিদ্র পৃথিবীর স্বাস্থ্যে বড়সড় প্রভাব ফেলবে। ওজন স্তরের কার্যকারিতা সম্পর্কে আমরা সকলেই ওয়াকিবহাল।

সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করে, তার ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করে। এখন মাত্রাতিরিক্ত দূষণের জেরে এমনতিই পাতলা হচ্ছে ওজন স্তর। তার উপর আবার এত বড় ছিদ্র তৈরি হওয়ায় অতিবেগুনি রশ্মি বাধাহীনভাবে পড়বে সরাসরি ভূপৃষ্ঠের উপর। তার প্রভাব যে কী মারাত্মক হতে চলেছে, তা নিয়েই চিন্তিত বিজ্ঞানীরা।

কিন্তু কেন ওজন স্তরে এই ক্ষত? বিজ্ঞানীদের একাংশের মতে, দূষণ কমতে থাকায় মেরু অঞ্চলের তাপমাত্রা এবং বায়ুমণ্ডলে তেমন পরিবর্তন হচ্ছে না। উষ্ণ আর শীতল বায়ুর সংঘাতে মেরু ঘূর্ণাবর্তও কম। এই ঘূর্ণাবর্ত যত হয়, তত ঝঞ্ঝা থেকে বাঁচতে ওজন স্তরের বিস্তারও ঘটে। কিন্তু ঘূর্ণাবর্ত না থাকলে, বায়ুমণ্ডলের নির্দিষ্ট স্তরে ওজন গ্যাস থেকে যায়। ফলে তাকে ভেদ করা সহজ। এখন যা হচ্ছে।

তবে এই ঘটনার রেশ কতটা পড়বে পৃথিবীর আবহাওয়ার উপর কিংবা এই ছিদ্র পরে কীভাবে মেরামত হবে, সেই উত্তর হাতড়ে বেড়াচ্ছেন পরিবেশ বিজ্ঞানীদের একাংশ।

0 মন্তব্য
0

তুমিও পছন্দ করতে পার

মতামত দিন