প্রযুক্তির আমাদের জীবনকে অনেক সহজ করে তুলছে কিন্তু তারপরও সমাজের কিছু সুবিধা বঞ্চিত পিছিয়ে রয়েছে। আর তাদের কথা ভেবেই সারা বিশ্বে কিছু পরিসেবা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে বেশ কয়েকটি সংস্থা। তাদের মধ্যেই অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান জয়কলস বাংলাদেশ। এটি সামাজিক চ্যাটিং আইভি আরপ্ল্যাট ফর্মের সেবাপ্রদান করে থাকে। বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের মোবাইল শিল্পকে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিকশিত করে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের মধ্যে ‘জয়কলস’ শীর্ষে রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি বিপণন প্রস্তাবনা, ফিনটেক এবং মানসংযোজন পরিষেবাগুলো নিয়ে কাজ করে থাকে।
বুধবার (০৭ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এতে বলা হয়, তাদের সেবা যারা গ্রহণ করে থাকেন তাদের মধ্য থেকে একজন গ্রাহককে খুঁজে পেয়েছে, যিনি অন্ধ। শরিফুল ইসলাম। বয়স ৩০। চোখে দেখতে পাননা। বসবাস করেন খুলনার খালিশপুরে। সম্প্রতি জয়ক লসের একটি প্রতিযোগিতা মূলক আয়োজনে বিজয়ী হন। এরপরই প্রতিষ্ঠানটির নজরে আসেন তিনি।
শরিফুল বলেন, জয় কলস যখন আমাকে ডেকেছিলেন এবং বলেছিলেন যে তারা আমার কাছে একটি উপহার পাঠাতে চায়। তখন আমি খুব অবাক হয়েছি। আমি দেড় বছর ধরে জয়কলসের চ্যাটিং সেবা ব্যবহার করছি। আমার মতো দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য এটি খুবই দারুণ একটি সেবা। তাদের আইভিআর পরিষেবা আমাকে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ অনুভব করতে সহায়তা করে। আমিকার ও সাহায্য ছাড়াই এই মাধ্যমে অন্যের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে পারি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জয়কলস বাংলাদেশে পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে টেলিকম মার্কেটে বেশ সুনামের সঙ্গে কাজ করে চলছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে নতুন নতুন বিপণণ কৌশল প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। জয়কলস বিশ্বাস করে প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বের প্রতিটি মানুষের জীবন যাত্রার মানও উন্নত হওয়া উচিত। সেটা যে যেই অবস্থানেই থাকুক না কেন। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি তাদের সেবার বিষয়ে গ্রাহকদের সবসময় আশ্বস্ত করে আসেছে। আর নিরাপত্তার বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে থাকে। গত ১৫ বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের কয়েকটি দেশে সুনামের সঙ্গে এই সেবাপ্রদান করে চলছে।
রবির ডিজিটাল ভাস অ্যান্ড নিউ বিজনেসের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট (ইভিপি) আহমেদ আরমান সিদ্দিকীবলেন, ডিজিটাল পরিষেবা সরবরাহকারী হিসাবে রবি বন্ধু সন্ধানের মতো ডিজিটাল পরিসেবাগুলো ব্যবহার করতে আগ্রহী। কারণ এটি মানুষের জীবনকে আরও সহজ করে তোলে। পাশাপাশি দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন সমস্যার বাস্তব সমাধান প্রদান করে। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে, পরিষেবাটি কীভাবে কারো জীবনকে ইতিবাচক উপায়ে পরিবর্তন আনলে সেটি অবশ্যই দারুণ বিষয়। জয়কলস ও বন্ধু সন্ধানের অংশীদার হতে পরে আমরা সত্যিই গর্বিত ও সম্মানিত।
জয়কলস গ্রুপের আন্তর্জাতিক ব্যবসা শাখার পরিচালক মিখাইল ইভানভ বলেন, বাংলাদেশের মতো দ্রুত বিকাশ কারী দেশের পাশে থাকতে পেরে আমরা গর্বিত। আমরা টেলিযোগাযোগ শিল্পের ক্ষেত্রে আরও বেশি কাজ করে এই দেশের মানুষের পাশে থাকতে চাই।
জয়কলসের বাংলাদেশ বিভাগের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ আহমেদ আদিতো বলেন, আমাদের দলের সকলকে অনেক ধন্যবাদ। তারা আজ বাংলাদেশের বাজারেল ক্ষ্যমাত্রা ভিত্তিক বিপণন এবং মূল্য সংযোজন পরিসেবাতে সাফল্য দেখিয়েছে। সামনে আরও কিছু নতুন পরিসেবা যোগ করার কাজ চলছে। যা গ্রাহকদের জীবনের সঙ্গে বিভিন্ন ভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে থাকবে।
উল্লেখ্য, জয়কলস বাংলাদেশ লিমিটেড জয়কলস গ্রুপের একটি অংশ। বাংলাদেশের টেলিকম খাতে বিপণন ও প্রচারের নানান বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সময় বেশ কিছু গবেষণা করেছে। রাশিয়ান এই প্রতিষ্ঠানটি ইউরোপ এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশে কাজ করছে। বাংলাদেশ ছাড়াও জয়কলস-রাশিয়া, উজবেকিস্তান, কম্বোডিয়া, কিরগিজস্তান, কাজাখস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, ব্রাজিল, মেক্সিকোও কলম্বিয়াসহ বিশ্বের ১২টি দেশে কাজ করছে।