সম্প্রতি জিমেইলের লোগো পরিবর্তন করেছে টেক জায়ান্ট কোম্পানি গুগল। গুগলের অন্যসব সেবার সঙ্গে মিল রেখে জিমেইলে নতুন লোগোর নকশা করা হয়েছে। গুগলের মূল চার রং নিয়ে অর্থাৎ নীল, লাল, হলুদ ও সবুজ রঙে নকশা করা হয়েছে জিমেইলের এবং পাশাপাশি গুগল ম্যাপস, গুগল ড্রাইভসহ অন্যান্য সেবার লোগোর নকশাও সাজানো হয়েছে।
গুগলের এ নকশা পরিবর্তনের ফলে কিছুটা বিপরীত প্রতিক্রিয়া এসেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে। অনেক প্রতিক্রিয়ার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, এই লোগোগুলোকে একনজরে আলাদা করা যায় না।
আসলে প্রতিক্রিয়া একদম ফেলে দেওয়ার মতো না। তবুও এটা খারাপের মধ্যে একরকম ভালোই বলা চলে। গুগল চেয়েছিল যে জিমেইলের নতুন নকশার মধ্যে ‘এম’ অক্ষরটি বাদ দিতে। পাশাপাশি লাল রং বাদ দেওয়ার ব্যাপারটাও বিবেচনায় রেখেছিল তারা। কিন্তু প্রাথমিক জরিপে অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে নেতিবাচক সাড়া পাওয়ার কারণে গুগল এই নতুন লোগোর নকশাটি করেছে।
২০০৪ সালে জিমেইলের পথ চলার শুরু থেকে তাদের লোগোতে বেশ কয়েকবার পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। শুরুর সময়টাতে নাম ছিল ‘গুগল মেইল’। লোগোতেও ছিল প্রতিফলন ‘ শুরু থেকেই এম’ অক্ষরটি খামের মতো।’
ঠিক ওই বছরেই প্রথম লোগোটি কয়েক দিন ব্যবহারের পরই ‘গুগল মেইল’ বাদ দিয়ে ‘জিমেইল’ নাম ব্যবহার করা শুরু হয়। সে হিসেবে জিমেইলের লোগোর প্রথম নকশা তৈরি করে ডেনিস হোয়াং। জিমেইল চালুর ঠিক আগের রাতে এই লোগোর নকশা করেছিলেন তিনি।
একই বছরে, আগের লোগোর নকশা ঠিক রেখে কিছুটা আধুনিক করা হয়। পরীক্ষামূলক সংস্করণ থেকে বেরিয়ে এসে লোগোটি ২০১০ সাল পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়।
এরপর, ছয় বছর পর ২০১০ সালের নভেম্বরে জিমেইলের মূল পাতার নকশায় কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়। একই সঙ্গে গুগলের নকশার সঙ্গে মিল রাখতে জিমেইলের লোগোতেও কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়। সে বছর গুগলের বাম প্রান্তের লোগোটিও ডান প্রান্তে সরিয়ে আনা হয়।
২০১৩ সালের ৩০ মে অন্যবারের লোগোর থেকে একদম নতুন ডিজাইনে জিমেইলের নকশার ঘোষণা দেওয়া হয়। জিমেইল লেখা বাদ দিয়ে শুধু খামের মধ্যে ‘এম’ অক্ষরটি রাখা হয়। সঙ্গে গুগলের লগোও বাদ দেওয়া হয়।
তবে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের জিমেইল অ্যাপে খামের মতো লোগোটি ২০১৪ সালে প্রথম দেখা যায়। এরপর গুগলের অন্যন্য সব সেবায় পর্যায়ক্রমে তা যুক্ত করে দেয় গুগল। কয়েক দিন আগেও এই লোগোই জিমেইলের ওয়েবসাইটে ছিল।