১৫০ বছর পর একই দিনে চাঁদের তিন রূপ সুপার মুন, ব্লাড মুন ও ব্লু মুন

কর্তৃক মাহমুদুল হাসান
0 মন্তব্য 1330 ভিউজ

প্রায় দেড়শ বছর পর একই দিনে পূর্ণিমা ও পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ দেখতে পাবে বিশ্ববাসী। এসময় দেখা যাবে চাঁদের তিন রূপ সুপার মুন, ব্লাড মুন ও ব্লু মুন। ১৮৬৬ সালের মার্চে শেষবার এ দৃশ্য দেখা গিয়েছিল। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার মতে, ৩১ জানুয়ারি প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল, মধ্য ও পূর্ব এশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের এই তিন পর্যায় স্পষ্ট দেখা যাবে। বিরল এ দৃশ্য দেখা যাবে বাংলাদেশ থেকেও।

এ দিন, ঘুরতে ঘুরতে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আসবে চাঁদ। বিশাল এই সুপার মুন দেখা দেয়ার পরই শুরু হবে চন্দ্র গ্রহণ। পৃথিবীর ছায়ার কারণে লালচে বর্ণ হবে চাঁদ। আর একে বলা হয় ব্লাড মুন। এসময় পৃথিবী তার কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে, চাঁদ ও সূর্যের মাঝে একই সরলরেখা বরাবর চলে আসবে। পৃথিবীর ছায়া থেকে সরে চাঁদ, সূর্যের আলোয় ফিরে এলে দেখা মিলবে ব্লু মুনের। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার গবেষক ড. নূহ পেট্রো এর মতে এই দিনে রঙ পরিবর্তনের সাথে সাথে চাঁদের তাপমাত্রাও কমতে থাকবে। দেখে মনে হতে পারে, ওভেনের মধ্য থেকে গরম চাঁদ বেরিয়ে এসে ঠাণ্ডায় জমে যাচ্ছে।

চন্দ্রগ্রহণের সময় :
যুক্তরাষ্ট্র ও তার পাশের দেশগুলোতে আজ বুধবার সূর্যোদয়ের আগে এ দৃশ্য দেখা যাবে। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসগরীয় অঞ্চলে বুধবার সূর্যাস্তের পরই শুরু হবে চন্দ্রগ্রহণ। আজ বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত স্থায়ী হবে এই মহাজাগতিক ঘটনা।

কোথায় দেখা যাবে চন্দ্রগ্রহণ :
বাংলাদেশের জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর চাঁদের এই তিন রূপ পর্যবেক্ষণের জন্য ফেসবুকে একটি ইভেন্ট খুলেছে। এছাড়া দুটি পর্যবেক্ষণ ক্যাম্পের আযোজন ও করেছে তারা। একটি রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর আর অন্যটি কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত, কলাপাড়া, পটুয়াখালী। এসকল ক্যাম্প থেকে প্রয়োজনীয় ছবি ও বৈজ্ঞানিক তথ্য সংগ্রহ করা হবে খুব সহজেই। ক্যাম্প শুরু হবে সন্ধ্যা ৫টা ৪৮মিনিট থেকে গ্রহণ শেষ হওয়া পর্যন্ত এবং সকল পর্যবেক্ষণ ক্যাম্প সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

বিদ্রঃ ২০৩৭ সালের আগে, সুপার, ব্লু, ও ব্লাড মুনের এই মহাজাগতিক দৃশ্য আর দেখা যাবে না বলে মনে করছেন নাসার গবেষকরা।

0 মন্তব্য
0

তুমিও পছন্দ করতে পার

মতামত দিন