ল্যাপটপের বয়স বাড়লে গতিও কমে যায়। এই গতি কমার জন্য আপনার ব্যবহারবিধি অনেকাংশে দায়ী। প্রোগ্রাম: ব্যাকগ্রাউন্টে অনেক বেশি প্রোগ্রাম ব্যবহার করার কারণে আপনার পিসির গতি কমে যায়। উইন্ডোজ ১০ যারা ব্যবহার করেন, তারা টাস্ক ম্যানেজার থেকে এগুলো ঠিক করতে পারেন।
সহজে টাস্ক ম্যানেজার খুঁজে পেতে ‘Ctrl-Shift-Esc’ একসঙ্গে প্রেস করুন। ওপেন হওয়ার পর কোনো ট্যাব না থাকলে ‘More details’ এ ক্লিক করুন। এখান থেকে আপনি অনেক কিছু করতে পারবেন। ‘Startup tab’ এক ক্লিক করুন। উইন্ডোজ ওপেন হওয়ার সময় কী কী লঞ্চ হয়, সেটি এখানে থাকে।
এখান থেকে প্রোগ্রাম বন্ধ করতে রাইট-ক্লিক করুন। ‘Disable’ অপশন পাবেন। এখানে বন্ধ করা মানেই চিরতরে বন্ধ নয়। শুধুমাত্র স্টার্টআপে বন্ধ। আবার একইভাবে এখান থেকে প্রয়োজন মতো ‘Enable’ করে নিতে পারবেন। স্টার্টআপে অনেক প্রোগ্রাম পাবেন, যেগুলোর নাম জানলেও কাজ কী জানেন না।
অপরিচিত প্রোগ্রাম সম্পর্কে জানতে এই টাস্ক ম্যানেজার ব্যবহার করতে পারেন। মাউসে রাইট-ক্লিক করে ‘Properties’ সিলেক্ট করুন। আপনার হার্ডড্রাইভে এটি কোথায় আছে, সেটি বোঝার পাশাপাশি সব তথ্য পাবেন। ডেটা না সরানো: অপ্রয়োজনীয় ডেটা কম্পিউটারে রেখে দেওয়া মানে বোকামি। যেটা প্রয়োজন নেই, সেটি ল্যাপটপ থেকে ডিলিট করে দেওয়া ভালো।
অনেক ট্যাব ওপেন রাখা: এক সঙ্গে ৪০-৫০টা লিংকের ট্যাব যাদের খুলে রাখার অভ্যাস, তাদের ল্যাপটপ কম দিন যায়। আপনার প্রসেসর যত লিংকের জন্য কাজ করবে, তত তাকে তাপ উৎপন্ন করে যেতে হয়। এমনটি হলে ল্যাপটপের আয়ু কমে।বিছানয় রাখবেন না: ল্যাপটপ দীর্ঘ সময় সমতল বিছানায় রাখা ঠিক নয়। এতে তাপ বের হতে পারে না। কম্পিউটার রিপেয়ার ডিরেক্টর অ্যারশন সুলশার বিষয়টি এভাবে ব্যাখ্যা করেছেন, ‘প্রসেসরকে বলা হয় কম্পিউটারের ব্রেন।
সত্যিকার অর্থে এটি অনেক অনেক গরম। অধিকাংশ সময় ল্যাপটপের ফ্যান নিচের দিকে থাকে, যেখানে ছোট তাপ নির্গমন ব্যবস্থা কিংবা বাতাস চলাচলের সুযোগ থাকে। সেটি যদি আটকানো থাকে, তবে তাপ বের হতে পারে না। তখন অভ্যন্তরীণ ক্ষতি হতে পারে। গতিও কমে যায়।’ বাড়তি র্যাম: অল্প খরচে কম্পিউটারের গতি বাড়ানোর একটি উপায় হলো বাড়তি র্যাম যোগ করা। এতে প্রায় সব পিসির গতিই বেড়ে যায়।