ফেসবুক হ্যাকড হলে বুঝবেন যেভাবে, রইলো আইডি রক্ষার উপায়

কর্তৃক প্রযুক্তি সারাদিন
0 মন্তব্য 383 ভিউজ

হ্যাকিং করাটা বোধ হয় ইদানীং বেশ সহজই হয়ে গেছে। আজকাল সব ফেসবুক অ্যাকাউন্টই তাই কমবেশি হ্যাকিংয়ের ঝুঁকির মধ্যে থাকে। তাই আজ থাকছে অ্যাকাউন্ট হ্যাকড নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা-

কীভাবে বুঝবেন হ্যাক হয়েছে

অ্যাকাউন্ট হ্যাকড মানে নিজের ব্যক্তিগত তথ্য অন্যের হাতে চলে যাওয়া। কেউ যদি আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে আপনার ক্ষতি করতে চায়, তাহলে আপনার অ্যাকাউন্টে আপনি পাসওয়ার্ড দিয়েও ঢুকতে পারবেন না। কিন্তু আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে ই-মেইল বা পোস্ট যেতে থাকবে। তখন আপনি বুঝবেন আপনি আপনার অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছেন।

অনেক সময় এমনও হতে পারে, আপনি আপনার অ্যাকাউন্টে ঢুকতে পারছেন কিন্তু আপনার নামে আপত্তিকর মেইল বা পোস্ট দেয়া হচ্ছে; সে ক্ষেত্রে আপনি ধরে নিতে পারেন আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে। তাছাড়া আপনার আইডি অন্য কেউ চালাচ্ছে কি না তা আপনি নিজেই দেখতে পারবেন। দেখার জন্য প্রথমে সেটিংস-এ ক্লিক করুন। সেখান থেকে সিকিউরিটি এন্ড লগিন> হোয়ার ইউআর লগড ইন। এখানেই আপনি যাবতীয় তথ্য পাবেন। যদি দেখেন আপনি ওই একই সময়ে লগ-ইন করেননি তবে বুঝবেন আপনার অ্যাকাউন্টটি হ্যাক করা হয়েছে।

হ্যাকড হলে যা করবেন

* ‘হোয়ার ইউআর লগড ইন’ অপশনে গিয়ে যদি বুঝতে পারেন অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ আরেকজনের হাতেও রয়েছে, তবে পাসওয়ার্ডটি পাল্টে ফেলুন। আপনার আগে যদি হ্যাকার পাসওয়ার্ড পাল্টে দেয়, তাহলে আপনি আপনার আইডির নিয়ন্ত্রণ হারাবেন।

* যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফেসবুকে রিপোর্ট করুন যে, আপনার আইডি হ্যাক হয়েছে। ফেসবুকে হেলপ সেন্টার অপশন রয়েছে। সেখানে সিকিউরিটি-আই এর মধ্যে অনেকগুলো অপশন রয়েছে। যেটি সবচেয়ে ঠিক মনে হবে সেটি ক্লিক করে রিপোর্ট জানান ফেসবুককে।

* অনেক সময় বিভিন্ন লিঙ্কে ক্লিক করে যখন কোনো অ্যাপ খোলেন তখনই সেটা আপনার অ্যাকাউন্টের অ্যাপ লিস্টে অ্যাড হয়ে যায়। সেই অ্যাপ থেকেও অনেক সময় আপনার ব্যক্তিগত তথ্য পাচার হয় এবং হ্যাকারদের সুবিধা করে দেয়। ফলে সন্দেহজনক কোনো অ্যাপ চোখে পড়লেই সেটা ডিলিট করুন। এ ক্ষেত্রে সেটিংস> অ্যাপস এন্ড ওয়েবসাইটস এ যান। এখানে অ্যাপ লিস্ট দেখতে পাবেন।

হ্যাকিং থেকে বাঁচতে যা করবেন

* সব সময় ওয়াই-ফাই বা ব্লুটুথ চালু রাখবেন না। এ ধরনের সুযোগ পেয়ে হাতছাড়া করেন না হ্যাকাররা। সব সময় ওয়াই-ফাই বা ব্লুটুথ চালু রাখলে অপরিচিত ব্যক্তিরাও ফোনের মধ্যে কী আছে, তা দেখার জন্য চেষ্টা চালায়।

* টু-স্টেপ অথেনটিকেশন বা দুই স্তরের নিরাপত্তা ব্যবহার করুন। এখন ফেসবুকসহ অনেক ওয়েবসাইট বা সার্ভিস দুই স্তরের নিরাপত্তা দিচ্ছে।

* ক্ষর, চিহ্ন, সংখ্যা প্রভৃতি মিলিয়ে পাসওয়ার্ড জটিল করে তুলুন। প্রতিবছর অন্তত দু’বার পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন।

* প্রতিটি ওয়েবসাইট ব্রাউজের সময় এইচটিটিপিএস ব্যবহার করুন। এইচটিটিপিএস ব্যবহার করতে ‘এইচটিটিপিএস এভরিহোয়্যার’ টুলটি ব্যবহার করতে পারেন। এই টুলটি আপনার ব্রাউজারের সব তথ্য এনক্রিপ্ট করে।

* ওয়াই-ফাই সেটআপের ক্ষেত্রে পাসওয়ার্ড দিন। ডিফল্ট পাসওয়ার্ড ব্যবহার করবেন না।

* সব সময় সতর্ক থাকুন। কোনো অজানা লোকের কাছ থেকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করবেন না।

0 মন্তব্য
0

তুমিও পছন্দ করতে পার

মতামত দিন