সংবাদ তৈরিতে গুগলের ভূমিকা না থাকলেও গত বছর সার্চ ও নিউজ থেকে ৪৭০ কোটি ডলার আয় করেছে এই প্রতিষ্ঠানটি । সে জন্য নিউজ মিডিয়া অ্যালায়েন্সের প্রধান নির্বাহী ডেভিড চ্যাভার্ন মনে করেন, যে সাংবাদিকেরা এই সংবাদ আধেয় তৈরি করছেন, তাঁরাও এই আয়ের ভাগীদার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউজ মিডিয়া অ্যালায়েন্সের এক সমীক্ষায় এই তথ্য জানা গেছে। পরিসংখ্যানটা চমকে ওঠার মতোই। ‘অ্যাভেঞ্জার’ সিরিজের সর্বশেষ দুটি চলচ্চিত্রের টিকিট বিক্রি থেকেও এই পরিমাণ টাকা ওঠেনি। এমনকি পেশাদার ক্রীড়া দলের মূল্যের চেয়েও এটি বেশি।
সমীক্ষার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুগলের ব্যবসার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে সংবাদ। গুগলের ট্রেন্ডিং কোয়েরির (অনুসন্ধানের মূলধারা) ৪০ শতাংশ ক্লিক পড়ছে সংবাদে। কিন্তু এই আধেয়র নির্মাতাদের গুগল পয়সা দেয় না, যদিও তারা কখনো কখনো সংবাদমাধ্যম থেকে শিরোনাম একদম হুবহু তুলে দেয়। এই প্রসঙ্গে ফিলাডেলফিয়া মিডিয়া নেটওয়ার্কের কর্ণধার এগার বলেন, এই সংবাদ যারা তৈরি করে তাদের প্রতি গুগলের বিবেচনা থাকা দরকার। এগার মনে করেন, এই ক্ষেত্রে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সংবাদ প্রতিষ্ঠানের চমৎকার মিথোজীবিতা গড়ে উঠতে পারে।
ব্যাপারটা হলো, তিনি বলেন, গুগলে যে এত মানুষ ঢুঁ মারছে তার প্রধান কারণ হচ্ছে সংবাদ। সে জন্য গুগল থেকে সংবাদ বিযুক্ত হোক, সেটা তারা চাইবে না। কিন্তু তা সত্ত্বেও আমাদের দাবি গুগলের কাছে অনাকাঙ্ক্ষিত মনে হতে পারে। সেটা হলো, আমাদের আধেয় দিয়ে ব্যবসা করে গুগল যে রাজস্ব আয় করছে তার ভাগ আমাদের দিতে হবে অথবা আমরা যে আধেয় তৈরি করছি তার সম্মানী দিতে হবে। গুগলের মূল কোম্পানি অ্যালফাবেট ছাড়া ফেসবুকে সবচেয়ে বেশি সংবাদ প্রচারিত হয়। বিশ্বব্যাপী সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইটে যত পরোক্ষ ক্লিক হয়, তার ৮০ শতাংশই আসে এই দুটি প্ল্যাটফর্ম থেকে। কিন্তু সংবাদমাধ্যম এ থেকে রাজস্ব পাচ্ছে না।
উল্লেখ্য গত বছর মার্কিন সংবাদশিল্প ডিজিটাল বিজ্ঞাপন থেকে আয় করেছে ৫১০ কোটি ডলার। অন্যদিকে নিউজ মিডিয়ার এই হিসাব অনেক কম করেই ধরা হয়েছে। বিশেষ করে ব্যবহারকারীরা গুগলে প্রদর্শিত সংবাদ প্রতিবেদনে ক্লিক করলে কোম্পানিটি যে পরিমাণ ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেয়, সমীক্ষায় তা হিসাব করা হয়নি। সেটি হিসাবের মধ্যে আনলে হয়তো দেখা যাবে, গুগলের আয় মার্কিন সংবাদশিল্পকে ছাড়িয়ে যাবে।