ইন্টারনেট নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

কর্তৃক প্রযুক্তি সারাদিন
0 মন্তব্য 460 ভিউজ

বর্তমান উলেস্নখযোগ্য ব্যবহারকারীর তালিকা জানতে চাওয়া হলে সঞ্জিত চ্যাটার্জি ডিপিডিসি, ডেসকো ছাড়া বাংলাদেশ পুলিশের হেডকোয়ার্টার, সিআইডি, কৃষি মন্ত্রণালয়, নারায়ণগঞ্জ ট্যাক্স অফিস, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ বেতার, বিইউবিটি, জাইকাসহ প্রভৃতি নাম উলেস্নখ করেন। আসছে মার্চ মাসে অ্যান্ড পয়েন্ট সিকিউরিটির ঘোষণা দেবে রিভ অ্যান্টিভাইরাস। বৃহৎ প্রতিষ্ঠানের তালিকাটি তখন আরও দীর্ঘতর হবে বলে আশা করছে রিভ।বাংলাদেশি সাইবার সিকিউরিটি ব্র্যান্ড রিভ অ্যান্টিভাইরাসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জিত চ্যাটার্জি বলেছেন, ‘গত কয়েক বছরে বেশকিছু সাইবার হামলার ঘটনা ঘটেছে। আমরা ধীরে ধীরে সচেতন হওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু যতখানি সাবধানতা আমাদের অবলম্বন করা উচিত ততটা এখনো আমরা করছি না।

সম্প্রতি রাজধানীর কারওয়ানবাজারের সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে রিভ অ্যান্টিভাইরাসের নিজস্ব কার্যালয়ে সঞ্জিত চ্যাটার্জি সাংবাদিকদের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় এসব কথা বলেন। রিভ অ্যান্টিভাইরাস সিইও বলেন, ‘আমরা অনেক প্রতিষ্ঠান দেখতে পাই, যারা সাইবার সিকিউরিটি (নিরাপত্তা) অনেক বেশি সচেতন এবং এর পেছনে ভালো বিনিয়োগ করছেন। অন্যদিকে এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও অনেক বেশি যারা কোনো অ্যান্টিভাইরাসই ব্যবহার করছে না কিংবা ফ্রি অ্যান্টিভাইরাসকেই নিরাপদ মনে করছেন। অন্যদিকে বাংলাদেশে ফিশিং লিংক প্রতিনিয়ত ছড়িয়ে পড়ছে ব্যাপকহারে। যার কারণে আমরা অনেক বেশি সাইবার হামলার ঝুঁকিতে রয়েছি। প্রতিনিয়ত বেড়ে চলা ইন্সটলেশন, উলেস্নখযোগ্য আন্তর্জাতিক পুরস্কার, ব্যবহারকারীর তালিকায় প্রতিনিয়ত নতুন দেশ ও প্রতিষ্ঠান যুক্ত হওয়া এমন আরও নানা অর্জন আমাদের দারুণভাবে আশান্বিত করছে’- বলেন সঞ্জিত চ্যাটার্জি।

রিভের প্রধান নির্বাহী আরও বলেন, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি), ঢাকা ইলেকট্রিক সাপস্নাই কোম্পানি (ডেসকো) কিংবা বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টারের মতো বৃহৎ প্রতিষ্ঠান যখন বাংলাদেশ মার্কেটের শীর্ষে থাকা কোনো অ্যান্টিভাইরাস ব্র্যান্ড ছেড়ে তাদের অ্যান্টিভাইরাস নিচ্ছে, তখন তা তাদের আরও আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। আয়ারল্যান্ড পুলিশ ডিপার্টমেন্টও রিভ অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করছে-যোগ করেন সঞ্জিত চ্যাটার্জি। বাংলাদেশি বহুজাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান রিভ সিস্টেমসের তৈরি রিভ অ্যান্টিভাইরাস ২০১৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশ মার্কেটে যাত্রা শুরু করে। ২০১৭ সালের মার্চ থেকে এটি রপ্তানি হচ্ছে ভারতে এবং নেপালে রপ্তানি হচ্ছে মে থেকে। এ ছাড়াও প্রতিনিয়ত ব্যবহারকারী বাড়ছে মধ্যপ্রাচ্যে, ইউরোপ, আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়ায়।

১৭তম অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ড প্রথমবারের মতো ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় গত বছরের ডিসেম্বরে। এতে সিকিউরিটি ক্যাটাগরিতে ফার্স্ট মেরিট অ্যাওয়ার্ড জিতে নেয় বাংলাদেশি এই সাইবার সিকিউরিটি ব্র্যান্ড। এর আগে রিভ অ্যান্টিভাইরাস পেয়েছে ভাইরাস বুলেটিন এবং অপসওয়াট স্বীকৃতি। মাইক্রোসফট ভাইরাস ইনফরমেশন অ্যালায়েন্সেরও সদস্য রিভ। কেন অন্যসব অ্যান্টিভাইরাস থেকে রিভ আলাদা- এমন প্রশ্নের জবাবে সঞ্জিত চ্যাটার্জি বলেন, ‘এই উপমহাদেশের কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের একটি প্রধান সমস্যা হলো অ্যান্টিভাইরাস ইন্সটল করলে কম্পিউটার স্স্নো হয়ে যাওয়া। আমাদের টার্বো স্ক্যান টেকনোলোজি কম্পিউটার স্স্নো না করেই অনেক বেশি ভাইরাস ও ম্যালওয়ার প্রতিরোধে কার্যকর।

তিনি বলেন, ‘ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানের জন্য রয়েছে দারুণ সব প্যাকেজ। অ্যাডভান্সড প্যারেন্টাল কন্ট্রোল ফিচারের মাধ্যমে বাবা-মায়েরা তাদের সন্তানের অনলাইন কার্যকলাপের ওপর নজর রাখতে পারবেন এবং তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। একই সুবিধা পাবেন কোনো প্রতিষ্ঠানের সুপারভাইজর বা আইটি অ্যাডমিন। ফিশিং ও স্প্যাম প্রতিরোধে রিভ দারুণ কার্যকর। বাংলাদেশের বাজারে আর যেসব অ্যান্টিভাইরাস আছে তাদের মূল প্রতিষ্ঠান এখানে সরাসরি উপস্থিত নেই, যে কারণে গ্রাহকরা সাপোর্ট পেতে সমস্যার সম্মুখীন হন। আমরা নিজেরা এখানে উপস্থিত আর বাংলাদেশে একমাত্র আমরাই দিচ্ছি দিনরাত ২৪ ঘণ্টা গ্রাহকসেবা।

ব্যবহারকারীরা এখনো স্মার্টফোনের নিরাপত্তা নিয়ে খুব একটা সচেতন নন। কিন্তু ফোনের মাধ্যমে তথ্য চুরি এখন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। একমাত্র রিভ অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহারকারীরা প্রতিটি কম্পিউটার লাইসেন্সের সঙ্গে একটি করে মোবাইল সিকিউরিটি ফ্রি পাচ্ছেন। শুধু ভাইরাস থেকে নয়, ফোন চুরি কিংবা হারিয়ে গেলেও রিভ মোবাইল সিকিউরিটির মাধ্যমে তা খুঁজে পাওয়া সম্ভব।

0 মন্তব্য
0

তুমিও পছন্দ করতে পার

মতামত দিন