অবৈধ পোস্ট সরিয়ে ফেলার জন্য ফেসবুক কিংবা এ ধরনের অন্যান্য অ্যাপ ও ওয়েবসাইটকে নির্দেশ দেওয়া যাবে মর্মে গতকাল বৃহস্পতিবার আইন জারি করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সর্বোচ্চ আদালত। শুনানিতে আরও জানানো হয়, ব্যবহারকারীরা সব পোস্ট রিপোর্ট করবে, সে অপেক্ষায় না থেকে বরং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর উচিত নিজ উদ্যোগে অবৈধ পোস্ট খুঁজে তা মুছে ফেলা। এদিকে ফেসবুক বলছে, এই নির্দেশ বাক্স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। প্রতিষ্ঠানটি এই শুনানির বিপক্ষে আবেদন করতে পারবে না।
অস্ট্রেলীয় রাজনীতিবিদ ইভা গ্লয়িশনিগ-পিয়েশ্চেক সম্পর্কে ফেসবুকে এক অবমাননাকর পোস্ট নিয়ে এই মামলার সূচনা। অস্ট্রেলিয়ার আদালত থেকে বলা হয়েছে, ওই পোস্ট তাঁর সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইন অনুযায়ী ব্যবহারকারীর অবৈধ পোস্ট যতক্ষণ না পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের গোচরে আসবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের দায়ী করা যাবে না। আর গোচরে এলে সঙ্গে সঙ্গে তা সরিয়ে ফেলতে হবে। শুনানির গুরুত্বপূর্ণ তিনটি দিক হলো— ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনো দেশ যদি এমন কোনো পোস্ট খুঁজে পায়, যা ওই দেশের আদালতের নিয়ম অনুযায়ী অবৈধ, তবে ওই ওয়েবসাইট বা অ্যাপকে তা সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিতে পারবে। কোনো অবৈধ পোস্টের একই বার্তার অন্যান্য পোস্ট সরিয়ে ফেলারও নির্দেশ দেওয়া যাবে। গোটা বিশ্ব থেকেই সে অবৈধ পোস্ট সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া যাবে, যদি সে দেশের সঙ্গে কোনো দ্বিপক্ষীয় চুক্তি থেকে থাকে।