কি-লগার কী এবং কিভাবে কাজ করে?

কর্তৃক প্রযুক্তি সারাদিন
0 মন্তব্য 1580 ভিউজ

কি-লগার নামতা শুনে থাকুন আর নাই থাকুন সব সময় এই জিনিস থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করবেন। এই কথা শুধু আমার না সকল সাইবার সিকিউরিটি স্পেশালিস্ট আর যাদের হ্যাকিং সম্পর্কে ধারণা আছে তারাও আপনাকে একই পরামর্শ দেবে। কেননা এই কি-লগারকে হ্যাকাররা ব্যবহার করে আপনার উপর নজরদারি করতে পারে। আর সাইবার অ্যাট্যাকের প্রথম দিক থেকে এই কি-লগার ব্যবহার করা হয়। তাহলে আপনার মনে নিশ্চয় বেশ কিছু প্রশ্ন এতক্ষণে জেগে গেছে। এই প্রশ্ন গুলো এরকম, কি-লগার কিভাবে কাজ করে? কি-লগার হ্যাকাররা কেন ব্যবহার করে? কি-লগার কিভাবে আপনার ডিভাইসে প্রবেশ করতে পারে? তবে চলুন জেনে নেই কি-লগার সম্পর্কিত এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর।

সবার আগে জেনে নিতে হবে যে একটি কি-লগার কিভাবে কাজ করে। একটি কি-লগার একটা স্পাই অ্যাপ্লিকেশান এর মত করে কাজ করে। মানে এটি সবসময় আপনার উপর নজর রাখবে। তবে কি লগার অন্যান্য স্পাই অ্যাপ থেকে ভিন্ন। এই কি লগার আপনার ডিভাইসে একটা ব্যাকগ্রাউন্ড প্রোসেস হিসেবে কাজ করবে। আর এই অ্যাপটি আপনার ডিভাইসের কি-বোর্ডের সকল স্ট্রোক রেকর্ড করে যে আপনি ঠিক কোন সফটওয়্যার বা ওয়েবসাইট এ কী লিখছেন। আর নির্দিষ্ট সমইয়ে যে হ্যাকার সেই কি-লগার বানিয়েছে তার কাছে সে এই রেকর্ডের একতা সুন্দর ই-মেইল লিখে পাঠিয়ে দিবে।

এবার জেনে নেই হ্যাকাররা কেন কি-লগার ব্যবহার করে। এই প্রশ্নের উত্তর খুব সহজ। হ্যাকারদের কাজ হ্যাক করা আর এই হ্যাকিং করার জন্যই তারা কি-লগার ব্যবহার করে থাকে। কি-লগার ব্যবহার করলে আপনার কি-বোর্ডের সবকিছু হ্যাকারের কাছে উন্মুক্ত হয়ে যায়। তাই তারা এই কি-লগার ব্যবহার করে বেশ সহজেই আপনার বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট এর পাসওয়ার্ড ও ইউজার নেম চুরি করতে পারে। আর কোন প্রকার জোরাজুড়ি ছাড়াই তারা আপনার অ্যাকাউন্ট আ অ্যাক্সেস নিতে পারে।

এবার চলুন যেনে নেই কিভাবে আপনার ডিভাইসে একটি কি-লগার প্রবেশ করতে পারে। কি-লগার মূলত ছদ্মবেশ ধারণ করে থাকে। মানে এটি একটা পিডিএফ, ইমেজ, ভিডিও বা অন্য যেকোন প্রকার ফাইলের সাথে সংযুক্ত করা থাকে। যদিও আপনি কোনকিছুর অফিসিয়াল রিলিজ ব্যবহার করে থাকুনন না কেন, সেখানেই এই কি-লগার বসানো যেতে পারে। তাই সবসময় নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইট বা কম্পিউটার থেকেই ফাইল নেওয়ার অভ্যাস করুন। কারণ নিজের কম্পিউটারে কি-লগার আনা মানে নিজের পায়ে নিজেই কুড়ুল মারার মত।

আর সবসময় সাইবার অপরাধ থেকে দূরে থাকুন। কখনো এমন কিছু করবেন না যার ফলে আপনার নামে অপরাধী ট্যাগ লেগে যায়।

0 মন্তব্য
0

তুমিও পছন্দ করতে পার

মতামত দিন