জামদানি আমাদের ঐতিহ্য। জামদানি আমাদেরকে পরিচিত করেছে বিশ্ব দরবারে। কিন্তু নির্দিষ্ট এলাকা ভিত্তিক জামদানি তৈরি হওয়ায় প্রসার হচ্ছে না তেমন। এক্ষেত্রে ব্যাপক ভুমিকা রাখতে পারে ই-কমার্স।
দেশে অনেকেই অনলাইনে কেনাকাটায় অভ্যস্ত। জামদানির প্রতি বরাবরই আমাদের দুর্বলতা কাজ করে কিন্তু সহজলভ্য না হওয়ায় চাহিদা থাকলেও এর উৎপাদন সেভাবে হচ্ছে না। এছাড়া আমরা দেখি জামদানির কাজগুলো মূলত একই রকমের হয়, তাই অনেকের আগ্রহ কাস্টমাইজড জামদানিতে কিন্তু একজন কাস্টমারের পক্ষে চট্টগ্রাম বা রাজশাহী থেকে ঢাকা বা নারায়ণগঞ্জ এসে তাতীকে ডিজাইন বুঝানো সম্ভব নয়। ই-কমার্স উদ্যোক্তা বা প্রতিষ্ঠান এ সমস্যার সমাধান দিতে পারে। তবে বিশ্বাস যোগ্য হতে হবে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান টি।
বিশ্বাসযোগ্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান খুজে পেতে ক্রেতাকে কয়েটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, গুছানো পেজ, ক্রেতার রিভিউ, ওয়েবসাইট, পেজ বা ব্লগে পণ্যের পর্যাপ্ত তথ্য সমৃদ্ধ কিনা ইত্যাদি।
জামদানির চাহিদা মেটাতে হলে সাপ্লাই চেইন সহজ করতে হবে। দেশের বড় বড় কয়েকটি জেলা ছাড়া ছোট শহরে নেই জামদানির শোরুম। এ বিশাল শূন্যতা পূরণ করতে ই-কমার্স বা এফ-কমার্সের বিকল্প নাই। আবার বিটুবির মাধ্যমেও ক্রেতার চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে। ঢাকার বা নারায়ণগঞ্জের একজন জামনাদির ই-কমার্স উদ্যোক্তার মাধ্যমে দেশের অন্যান্য উদ্যোক্তারা পণ্য কিনে নিজেদের প্লাটফর্মে বিক্রির মাধ্যমে ক্রেতার চাহিদা পূরণ করতে পারবে। বিটুবি লেনদেনে অব্যশই চেনাজানা প্রতিষ্ঠানের সাথে করতে হবে। নতুবা প্রতারণার সম্ভাবনা থেকেই যায়।
ইন্টারনেটে জামদানির তথ্য স্বল্পতা রয়েছে। ই-কমার্স উদ্যোক্তারা যত বেশি কনটেন্ট আপলোড করবে তত বেশি জামাদানির প্রসার বাড়বে। দেশের অনেক মানুষ দিনের উল্লেখযোগ্য সময় অনলাইনে ব্যায় করে, তাই উদ্যোক্তারা যত বেশি কনটেন্ট তৈরি করবে তত বেশি সম্ভাব্য ক্রেতার কাছে পৌছতে পারবে। এর ফলে এই ঐতিহ্যের প্রসার বাড়বে এবং সবাই নিজ পচ্ছন্দের ডিজাইনের জামদানি কিনতে পারবে।
ই-কমার্সের ফলে ঘরে বসে পণ্যের ডেলিভারি পাচ্ছে ক্রেতারা। এতে সাশ্রয় হচ্ছে ক্রেতার সময় এবং কমছে ভোগান্তি। ক্রেতার চাহিদা বাড়াতে পারলে বসে থাকা তাতীদের কাজে লাগানোর মাধ্যমে উৎপাদনও বাড়ানো যাবে। আর এভাবেই ই-কমার্সের হাত ধরে এগিয়ে যাবে জামদানি শিল্প।