বিশ্বের সবচেয়ে বড় শক্তিশালী কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরির কথা শুনলে প্রথমেই গুগল এবং আইবিএমের মতো প্রতিষ্ঠানের নাম মনে পড়ে। তবে চ্যালেঞ্জ গ্রহণে এবার সেইসব প্রতিষ্ঠানকে পেছনে ফেলে একধাপ এগিয়ে গেছে এক প্রতিষ্ঠান।
প্রতিষ্ঠানটির নাম হানিওয়েল কোয়ান্টাম সলিউশনস। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মহাকাশ ও প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হানিওয়েল ইন্টারন্যাশনাল ইনকরপোরেশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত এটি। এর আগে প্রতিষ্ঠানটি থার্মোস্ট্যাটের জন্য বেশি পরিচিতি পেয়েছিল। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি এক দশক ধরে একটি শক্তিশালী কোয়ান্টাম কম্পিউটার চালু করার কাজ করে যাচ্ছে।
হানিওয়েল বলেছে, তাদের নতুন কোয়ান্টাম কম্পিউটারটি গুগল এবং আইবিএমের তৈরি করা কম্পিউটারের চেয়ে বেশি শক্তিশালী হবে। আগামী তিন মাসের মধ্যেই তারা বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরি করে ফেলবে।
সিএনএনের তথ্যানুযায়ী, ২০১৮ সালে হানিওয়েল কোয়ান্টাম কম্পিউটিং খাতে ঢুকে ‘ট্র্যাপড-আয়ন কোয়ান্টাম কম্পিউটিং’ বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করে। কোয়ান্টাম ভলিউম শব্দটি কোনো সমস্যার তুলনামূলক জটিলতা বোঝায়। যা কোয়ান্টাম কম্পিউটার ব্যবহার করে সমাধান করা যেতে পারে এবং সংখ্যাগতভাবে প্রকাশ করা হয়। কোয়ান্টাম ভলিউম কোয়ান্টাম সিস্টেমের বিভিন্ন মেট্রিকসের সমন্বয় করে কিউবিটগুলোর সামগ্রিক কর্মক্ষমতা পরিমাপ করে।
হানিওয়েল দাবি করেছে, তাদের কম্পিউটারে কোয়ান্টাম ভলিউম হবে ৬৪, যা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। আগামী পাঁচ বছর ধরে প্রতিবছর কোয়ান্টাম ভলিউম বাড়াতে কাজ করবে তারা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোয়ান্টাম কম্পিউটারগুলো শেষ পর্যন্ত জটিল সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারে যা আজকের কম্পিউটারগুলোর জন্য চ্যালেঞ্জ। যেমন আর্থিক বিকল্পগুলোর মূল্য নির্ধারণ বা নতুন ওষুধের বিকাশ।
এদিকে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট প্রটোকল দাবি করেছে, হানিওয়েল ও গুগল ছাড়াও মাইক্রোসফট, আইওন কিউ, কিউসিআই, ডি-ওয়েভ, রিগেটি, ওয়ানকিউবিট ও স্ট্রেঞ্জওয়ার্কস কোয়ান্টাম কম্পিউটিং নিয়ে কাজ করছে।
জানা গেছে, এ কম্পিইটারের প্রখম গ্রাহক হিসেবে স্বাক্ষর করেছেন জে.পি.মোরগান চেজ ( জেএমপি )। তিনি সংস্থাটির জালিয়াতি সনাক্তকরণ এবং ব্যবসায়ের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো ক্ষেত্রগুলোতে বিকাশের জন্য একসাথে কাজ করবে। এমনকি আর্থিকভাবে সহায়তাও করবে।
হানিওয়েলের দাবি, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং পারফরম্যান্সের বিচারে তাদের তৈরি কম্পিউটারটি সবচেয়ে শক্তিশালী হবে। এ ক্ষেত্রে তারা ২০১৭ সালে আইবিএমের তৈরি কোয়ান্টাম ভলিউম কম্পিউটারটিকে ছাড়িয়ে যাবে। কম্পিউটারকে আরো কয়েক গুণ গতিশীল করতেই গত এক দশক ধরে গবেষকরা কোয়ান্টাম কম্পিউটার নিয়ে কাজ করছেন তারা। ফোর্বসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।