এবার মনে হয়, ইন্টারনেট স্যাটেলাইট বানিয়েই ফেলছে ফেসবুক। তারা এমন এক কৃত্রিম উপগ্রহ তৈরির প্রকল্প হাতে নিয়েছে, যার মাধ্যমে পৃথিবীর দুর্গম অঞ্চলে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দেওয়া যাবে। উইয়্যারড সাময়িকিকে এফসিসির (ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশন) দেওয়া তথ্য থেকে এমনটিই জানা গেল। ফ্রিডম টু ইনফরমেশন অ্যাক্ট রিকোয়েস্টের তৈরি করা তথ্যসূত্র থেকে জানা যায়, ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এফসিসি ও ফেসবুকের মধ্যে বেশ কিছু ই-মেইল চালাচালি হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৮ সালে ফেসবুকের পক্ষ থেকে পাঠানো মেইলগুলোতে অ্যাথেনা স্যাটেলাইটের জন্য ছোট অ্যাপ্লিকেশনের কথা উল্লেখ ছিল।
এই বছরের শুরুর দিকে গুজব ছড়াতে থাকে যে প্রতিষ্ঠানটি (এফসিসি) অন্য একটি স্যাটেলাইট প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছে। অ্যাথেনা স্যাটেলাইট নিয়ে এফসিসি থেকে প্রাপ্ত তথ্য প্রকাশ করে আইইইই, সেই তথ্যে ফেসবুকের স্যাটেলাইট তৈরির বিষয়টির দিকে ইঙ্গিত করা হয়। এখন অবশ্য বিষয়টি নিশ্চিত যে স্যাটেলাইট প্রকল্প নিয়ে সত্যি সত্যি ভাবছে ফেসবুক। যেহেতু উইয়্যার্ডকে অ্যাথেনা প্রজেক্টের বিষয়ে ফেসবুকই জানিয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু তারা জানায়নি।
এর আগেও অবশ্য ফেসবুক স্যাটেলাইট প্রযুক্তি নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছিল। ২০১৬ সালে আফ্রিকার কিছু অংশে স্যাটেলাইট ব্যবহার করে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছানোর কথা ভেবেছিল সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমটি। তবে সেবার স্পেসএক্সের একটি রকেটের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের সময় বিস্ফোরণের ঘটনায় সে চিন্তা থেকে তারা পিছু হটেছিল।
পৃথিবীর যেসব অংশের মানুষ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা থেকে বঞ্চিত, সেখানে ইন্টারনেট পৌঁছানোর জন্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমটি বড় ধরনের বিনিয়োগ করেছে। কিছুদিন আগেও ফেসবুক অ্যাকুইলা নামে ড্রোন ব্যবহার করে ইন্টারনেট সেবাদানের প্রজেক্ট হাতে নিয়েছিল, এ বছরের শুরুর দিকে যার ইতি টানা হয়েছে।
ফেসবুকের প্রচারিত ‘কানেক্ট দ্য ওয়ার্ল্ড’ মিশন বাস্তবায়নের পাশাপাশি পৃথিবীর প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোকে ইন্টারনেটে যুক্ত করাটা তাদের ব্যবসায়িক কৌশলের অংশ। যদিও তাদের ব্যবহারকারীর সংখ্যা বর্তমানে ২০০ কোটির বেশি, তারপরও ব্যবসা বাড়ানোর জন্য নতুন নতুন ব্যবহারকারী টানতে তাদের নতুন নতুন কৌশলের আশ্রয় নিতে হচ্ছে।