উইন্ডোজ ৭ অপারেটিং সিস্টেমের জন্য মাইক্রোসফটের সেবা বন্ধ হচ্ছে ১৪ জানুয়ারি। মানে এই সময়ের মধ্যে নতুন সংস্করণে উন্নীত করে না নিলে উইন্ডোজের নানা হালনাগাদ বন্ধ হয়ে যাবে। এমন পরিস্থিতিতে কী করবেন?
যদি কিছু না করেন
উইন্ডোজ ৭ অপারেটিং সিস্টেমের জন্য মাইক্রোসফটের সেবা বন্ধ হচ্ছে ১৪ জানুয়ারি। মানে এই সময়ের মধ্যে নতুন সংস্করণে উন্নীত করে না নিলে উইন্ডোজের নানা হালনাগাদ বন্ধ হয়ে যাবে। এমন পরিস্থিতিতে কী করবেন?
যদি কিছু না করেন
চুপচাপ বসে থাকলে কম্পিউটার নিরাপত্তা ঝুঁকিতে থাকবে। ম্যালওয়্যার আক্রমণের আশঙ্কা দিন দিন বেড়ে যাবে। তবে এভাবেও কম্পিউটার চালানো যাবে। শুধু মাইক্রোসফটের সফটওয়্যারগুলোর হালনাগাদ পাওয়া যাবে না। তা ছাড়া অন্য যেকোনো সফটওয়্যার বা তৃতীয় পক্ষের কোনো অ্যান্টি-ভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করা যাবে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত পুরোনো সংস্করণের উইন্ডোজও ব্যবহার করা যাবে। তবে সর্বাধিক নিরাপত্তার জন্য ভালো হলো, নতুন সংস্করণে হালনাগাদ করে নেওয়া।
নতুন সংস্করণে হালনাগাদ
বর্তমানে প্রায় ৮০ কোটি যন্ত্রে উইন্ডোজ ১০ ব্যবহৃত হচ্ছে। জনপ্রিয়তার দিক থেকে এই সংস্করণটি গত বছরের শুরুর দিকে উইন্ডোজ ৭ অপারেটিং সিস্টেমকে ছাড়িয়েছে। চাইলে উইন্ডোজ ১০ ব্যবহার করতে পারেন।
উইন্ডোজ ৭ ও ৮.১ ব্যবহারকারীদের বিনা মূল্যে উইন্ডোজ ১০-এ হালনাগাদ করার সুযোগ দিয়েছিল মাইক্রোসফট। সে সুযোগ বেশ আগেই শেষ হয়েছে। তবে অনেকে জানিয়েছেন, সময় পার হলেও এখনো বিনা মূল্যে উইন্ডোজ ৭ বা ৮.১ অপারেটিং সিস্টেম থেকে উইন্ডোজ ১০-এ হালনাগাদ করে নেওয়া যাচ্ছে।
কাজটি করার জন্য উইন্ডোজ ইনস্টলেশন টুল নামিয়ে ইনস্টল করে নিন (ঠিকানা: bit. ly/2 FksJuI)। সেখানে ‘আপগ্রেড দিস পিসি’ অপশন পাওয়া যাবে। তবে অবশ্যই উইন্ডোজ ৭ বা ৮.১-এর বৈধ লাইসেন্স থাকতে হবে। প্রক্রিয়াটি শুরু করার আগে প্রয়োজনীয় ফাইল অন্য কোথাও সংরক্ষণ (ব্যাকআপ) করে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়।
চাইলে নতুন কম্পিউটার কিনুন
মানে নতুন কম্পিউটার কেনার পরিকল্পনা যদি থাকে। নতুন কম্পিউটারগুলোতে সাধারণত আগে থেকেই উইন্ডোজের সর্বশেষ সংস্করণটি দেওয়া থাকে।